আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রথম ছবি ব্লগ : ইস্তানবুল, তুরস্ক।

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

জীবনে অল্পই ভ্রমন কাহিনী পড়েছি। লেখকের দৃষ্টির সাথে পাঠকের চোখের মিল হয় না। আর বর্তমানে বিশ্বের সুন্দর ও আকর্ষনীয় দেশ,শহর ও প্রাকৃতিক দৃশ্য টিভিতে এত বেশী দেখায় যে জায়গার বর্ণনা পড়া প্রায়ই বিরক্তিকর হতে পারে। ট্যুরিস্ট ভিউ আর এক্সপ্লোরার ভিউ দুটি আলাদা। নিজের জীবনে যেসব পর্যটক প্রিয় জায়গায় গিয়েছি তার খুব কম জায়গা থেকেই আনন্দ পেয়েছি।

বেশী বেশী মানুষ আর জায়গাটার রূপ বদলে হয়ে যায় ট্যুরিস্ট প্লেস! বেশীর ভাগ জায়গাতেই দেখেছি মানুষের ভীড়ে সব জায়গা একই রকম লাগে! স্থাপনা বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাপিয়ে মানুষ বা মানুষের নিয়ন্ত্রন বেশী চোখে পড়ে। সেজন্য নিজে নিজে বা বন্ধুদের সাথে বিলের পাশে,ক্ষেতের পাশে,রেল লাইনের পাশে, এয়ারপোর্টের রানওয়েতে,এক্যোয়ার করা বাইলজুরী গ্রামে অদেখা সৌন্দর্য আবিস্কার করতাম। এর মাঝে কিছু কিছু পরবর্তীতে সত্যিই জনপ্রিয় হয়েছে কিন্তু তখন আর নিজে সেখানে যেতাম না কারন সৌন্দর্যটা পাবলিক হয়ে গেলে তার চরিত্র বদলে গিয়ে আর সব কিছুর মত হয়ে যায়! তাই সবসময় সাধারনে চোখে নিজস্ব "দৃশ্য" আবিস্কার করাই আমার নেশা। তুরস্কে গিয়েছি বেশ কয়েকবার। ইস্তানবুল তুরস্কের বিখ্যাত শহর।

একসময় বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের রাজধানী কন্সটান্টিনাপোল পরে হয় অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ইস্তানবুল। কৃষ্ন সাগর আর ভুমধ্যসাগর দুটিকে এক করেছে যেই সরু বসফরাস চ্যানেল সেটির দুইকুল ধরেই গড়ে উঠেছিল এই শহর। এর পশ্চিমের তীর ইউরোপের মুল ভুখন্ডের সাথে যুক্ত আর পূর্বের তীর এশিয়ার ভুখন্ডের সাথে। চলেন দেখি কি দেখলাম আমি। মোবাইলে ও ৪ বছর পুরানো ক্যামেরায় তোলা নন টেকি ও এ্যামেচার হাতের তোলা সব ছবি! অনেক বড় শহরটা অনেক ঐতিহ্যবাহী।

এর মাঝে আছে অনেক স্থাপনা। এর একটা হলো হাজিয়া সোফিয়া। বাইজেন্টাইন আমলে এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাথেড্রাল পরে অটোমানরা একে মসজিদে রুপান্তর করে বর্তমানে এটি শুধুমাত্র যাদুঘর হিসেবে ব্যাবহৃত হচ্ছে। আলোকিত হাজিয়া সোফিয়া অটোমানরা হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদ বানিয়েই থামে নাই তার আঙ্গিনাতেই বানায় তৎসম বড় আরেকটি মসজিদ। নীল পাথরে তৈরী মসজিদটি সুলতান আহমেত মসজিদ বলেই জানে সবাই।

সুলতান আহমেত চত্বরে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনাই আছে যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে মিত্রশক্তি তুর্কী ও জার্মানদের বন্ধুত্বের নিদর্শন এই পানির ঝরনা ঐ জায়গার পার্কিং এড়িয়ে দেখুন, আমাদের পরিচিত দৃশ্য তবে আমি ইস্তানবুল দেখেছি অন্য চোখে, বসফরাসের দুই কুলেই আমার দেখা আসল ইস্তানবুল। এটা গ্যালাতাসারায় বিশ্ববিদ্যালয় তুর্কীরা ওদের পতাকা সব জায়গায় লাগিয়ে রাখে! সাগরপাড়ে বাড়ীগুলো আতি চমৎকার ইউরোপ এশিয়ার সেই বিখ্যাত ব্রিজ ( পূর্ব পাড়) পশ্চিম তীর বসফরাসের তীরে ইস্তানবুল একটি সরকারী স্থাপনা ছবিগুলো তেমন আকর্ষনীয় নয় জানি কিন্তু ইস্তানবুল বেড়াতে এলে দেখবেন এই ছবিগুলো মানে এই ছবিগুলোর দৃশ্য খুব পরিচিত মনে হবে। এটাই বলা যায় নরমাল ভিউ! চারদিকে 'ডোনার' কাবাবের দোকান। বাংলাদেশে ইদানিং শর্মা নামে চলছে তবে উত্তরা ৪ নং এ একটা তুর্কিশ কাবাবের দোকান আছে সবশেষে চলুন একসাথে উড়ে যাই ইস্তানবুল থেকে আগামীর ইউরো ভ্রমনের উদ্দেশ্যে অনেক বিরাট আকারের বিরক্তিকর এই ব্লগ পড়ায় ধন্যবাদ আগেভাগেই! তুর্কী চা ও মিষ্টি 'বাকলাভা' খাইয়ে বিদায় দিতে চেয়েছিলাম আপনাদের কিন্তু ঐ ছবিটা আপলোড না হওয়ায় একটা তুর্কী গানের লিংক দিলাম ইউটিউবে যেয়ে শুনতে পারেন ভাল লাগতে পারে! http://www.youtube.com/watch?v=7fO2CkHSYVo

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।