আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রমত্তা পদ্মা আজ ফসলের ক্ষেত

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

দুপাশে ফসলের জমি, মাঝ দিয়ে চলে গেছে চওড়া রাস্তা। রাস্তায় যান্ত্রিক বাহনের চাকার দাগ। দেখেই বোঝা যায় প্রতিদিনের ব্যবহার হয় এ রাস্তা। বেশ কিছুদুর আগানোর পর দেখা গেল কিছু ঘর-বাড়ি, ফসল মাড়াইয়ের যন্ত্রপাতি। ট্রাক্টর সহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি।

রয়েছে টয়লেট, টিউবওয়েল। বাড়ি সংলগ্ন উঠোনে চলছে শষ্য মাড়াই। না... যা ভাবছেন তা নয়, এটি বাংলাদেশর সচারচর কোনো গ্রামের বর্ননা দিচ্ছি না। বলছি পদ্মার চরের কথা। রাজশাহী মহানগরীটি একেবারেই পদ্মার তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে।

শহর রক্ষার স্বার্থেই বাধ দেয়া হয়েছিল পদ্মার পাড় ঘেষে। একাধিক বাধ দেয়া হয়েছে পদ্মার ভেতরে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার জন্য। ফলশ্রুতিতে যে পদ্মার বুকে ঢেই খেলতো পানি, আজ সেখানে ঢেউ খেলে সবুজ ফসলের মাঠ। শহরের দক্ষিনপ্রান্ত ঘেষে চলে গিয়েছে পদ্মা। সেই পদ্মায় বালি জমে এখন মুল শহরের সমউচ্চতায় চলে এসেছে।

ফলে ভর বর্ষা মওসুমেও চরে পানি থাকে মাত্র কয়েক ফুট। মুল পদ্মার গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে অনেক দূরে সরে গেছে। আর তাই পদ্মার চরে এখন রয়েছে হাজার হাজার একর জমি। সেখানে চাষাবাদ হয় ডাল, সবজি থেকে বহুবিধ ফসল। এই বিস্তর এলাকাটিকে মুল শহরের সাথে সংযোগ করে নিলে শহরের পরিধি বাড়ে।

অথবা যেভাবে চাষাবাদ চলছে সেভাবে আরো সুন্দর ভাবে চাষাবাদ করা যেতে পারে পলিযুক্ত চর এর মাটিতে। মোট কথা এই বিস্তর প্রান্তরকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে রাজশাহী তথা দেশের স্বার্থেই। লেখাটি Click This Link প্রকাশিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।