আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

!! রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এই ধৃষ্টতা !!

আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যেকোন দলের জন্যই বিশেষ করে যখন তারা বিরোধিদলে থাকে। তাদের আচরন সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই ,গনতন্ত্র বিপর্যয়ের মাঝে পরেছে তাদের আন্দোলনের ফলে হরতাল, বিক্ষোভ, ভাংচুর এগুলিতে রেকর্ড করা দল আজকের এই আওয়ামীলীগ । তবে তাদের যেই বিষয়টি সবচাইতে খারাপ লাগতো সেটি হল বিদেশী যেই কোন বন্ধু কিংবা অতিথি আসতো সেই সময়ও তারা হরতাল দিত। এইটি রাজনৈতিক শিস্টাচার বহির্ভূত। তবে এইবার বোধয় বিএনপি আওয়ামিলিগকেও ছারিয়ে যাচ্ছে।

প্রনব মুখারজির সাথে মাননীয় বিরধি দলের নেতা সাক্ষাৎ করলেন না। যা নিয়ে আমার মতন একজন সাধারন নাগরিকের কথা বলা বোধয় সাজায় না,কেননা এটির পিছনে রাজনৈতিক কি কারন থাকতে পারে আমরা বুঝি না কারন আমাদের মন আর আত্মা রাজনৈতিক ব্যাতিত্তদের মতন ক্ষমতার লোভে এত কলুষিত হয়নি। তাই এই ঘটনাটিকে বর্ণনা করা উচিৎ আমাদের সাধারন মানুষের জিবনের গল্প থেকেই। “দেখুন আপনার বাসায় এরকম অনেক অনাকাঙ্খিত মেহমান অনেক সময়ই আসেন যারা আপনার বাসায় থাকার জন্য নানা রকম টাল বাহানা বানায় কিন্তু একবার বের হয়ে আসলেই কোন প্রকারে আপনার বাসা থেকে তখন দেখবেন আপনাকে আর চেনে না, আর যদি আপনি কোন কারনে তার বাড়িতে যান দেখবেন তাদের আতিথিয়েতা দেখলে বমি আসে তাদের উপর” । যাই প্লিজ বমি আসার আগেই বাস্তব এই গল্পের সাথে আমাদের বিরোধী দলের নেত্রীর কিছু মিল দেখে নিন।

গত কিছু দিন আগে ভারত সফরে সবার সাথে দেখা করলেন কিন্তু দেখা হল না সোনিয়া গান্ধির সাথে, ওই পক্ষ থেকে বলা হল যে সময়ের সঙ্কুলান করা যাচ্ছে না, ব্যাস খালেদা জিয়া বসে গেলেন ওই গল্পের চরিত্রের মতন বললেন অসুবিধা নেই তিনি আছেন আরও কিছু দিন আজমির শরিফ যাবেন,সমুদ্র সৈকত ঘুরবেন এই কাজ ওই কাজ কত কাজ বানালেন হিসেব নেই তার পর দুইদিন পর গ্রিহস্ত মানে হোস্ট ভারত আর না পেরে তার সাক্ষাৎ করালেন সোনিয়ার সাথে,তার পর আসলেন ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে। আর এইবার প্রনব বাবু আসার পর তিনি কি করলেন প্রথমে হরতাল দিলেন আর পরে তার সাথে সাক্ষাতের কথা ছিল সেটি পরিত্যাগ করলেন। জামাত শিবিরের হরতালে কিছুটা যুক্তি আছে তাদের দিক থেকে যে তাদের সবচাইতে বড় নেতার ফাঁসির রায় এসেছে তাদের কিছুটা বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকবেই । তবে এখানে ম্যাদামের হরতাল আর সাক্ষাৎসুচি বাদ দেয়ার কারন কি ঠিক বুঝলাম না। কোমর কিংবা মেরুদণ্ড ভাঙলে সাধারনত জোড়া নিতে সময় লাগে তবে জোড়া লাগলেও মন থেকে সেই সৃতি মুছে যাওয়া মুশকিলই না বরং অসম্ভবও।

তবে আমাদের রাজনীতিবিদ্গন সহজেই সেসব সৃতি ভুলে যান সেটি আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই। ওয়ান এলিভেন এর পর অনেকের হাত-পা,কোমর, মেরুদণ্ড,ঘাড় এর হাড় ভেঙ্গেছে এবং গত চার বছরে সে আবার জোড়াও লেগেছে তবে আসলেই যে হাড্ডির সাথে মগজের যে কোন সম্পর্ক নেই তা আবারো প্রমানিত হয়েছে। বিএনপি আর আওয়ামিলিগের রাজনিতিবিদ্গন এখনো যদি না বুঝেন দেশের মানুষের কথা আর তাদের চিন্তা যদি দেশের তরে এখনো না যায় তবে আর বলার কিছু নেই। তাহলে আবার হাড় ভাঙ্গার জন্য প্রস্তুত হতে হবে এই আর কি । ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।