আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১১র্মাচ: ২০তম মৃত্যুর্বাষকিীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনরে মহানায়ক প্রন্সিপিাল আবুল কাসমে : মাঈন উদ্দনি জাহদে।



৫২ এর ভাষা আন্দোলন যখন শুরু- ১৯৪৭ সালরে ১৫ সপ্টেম্বের ‘পাকস্তিানরে রাষ্ট্রভাষা বাংলা না র্উদু’ পুস্তকিা রূপে দাবীর প্রথম ইস্তহিার যখন পশে করা হলো- ঢাকা কন্দ্রেীক বাঙালী বুদ্ধজিীবীদরে কাছ-ে তখন প্রন্সিপিাল আবুল কাসমে তরুণ অধ্যাপক- ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে পর্দাথবজ্ঞিান বভিাগরে। আর ঐতহিাসকি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনরে সূত্রপাতকারী সংগঠন ‘তমুদ্দুন মজলসি’ এর নামতো আজ এ প্রজন্ম জানইে না। ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে তরুণ অধ্যাপক আবুল কাসমে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে এ সংগঠনরে উদ্যোগইে প্রথম জনমত গঠনে তৎপরতা শুরু করনে। শতবাধা ও র্স্বাথান্নষেীদরে অপতৎপরতার মাঝে ৫২ এর ২১শে ফব্রে“য়ারীর রক্তলখো দনিটি ভাষার দাবীকে মুদ্রতি করে দয়ে মহাকালরে তরঙ্গঁে। রফকি, জব্বার, শফকি ও বরকত সইে তরঙ্গঁের রক্তাম্ভরী উজ্জ্বল পতাকা।

তারুণ্যে সইে দীপ্ত প্রাণ জনাব আবুল কাসমে ১৯২০ সালরে ২ জুলাই মাসে চট্টগ্রাম জলোর চন্দনাইশ উপজলোর ছবেন্দী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করনে। তার বাবার নাম মতয়ির রহমান ও মা সালহো খাতুন। জনাব আবুল কাসমে ১৯৩০ সালে চন্দনাইশরে ত্রাহ-িমনেকা উচ্চ ইংরজেী বদ্যিালয় এ বরমা হাই স্কুল থকেে ১৯৩৯ সালে তনিটি লটোর (র্বতমানে অ+) সহ ম্যাট্রকি পাশ করনে ও বৃত্তি পান। ১৯৪১ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলজে থকেে প্রথম বভিাগে আইএসসি (র্বতমান-ে এইচএসস)ি, ১৯৪৪ সালে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয় থকেে ব.িএস-সি (অর্নাস) এ দ্বতিীয় বভিাগে প্রথম স্থান লাভ করনে এবং ১৯৪৫ সালে এম.এস-সি এ দ্বতিীয় স্থান লাভ করনে এবং থসিসিে প্রথম স্থান লাভ করনে। তনিি বশিষ্টি বজ্ঞিানী ডঃ সত্যনে বসুর অধনিে থসিসি সম্পাদনা করনে।

তার থসিসিরে নাম ছলিো ‘থলেি মাইডরে গঠন’। তনিি এ থসিসিে র্সবাধকি র্মাক পয়েে প্রথম স্থান লাভ করনে। এ থসিসিরে সংপ্তি রূপ ইংল্যান্ডরে একটি র্জানালে প্রকাশতি হয়। জনাব আবুল কাসমে ১৯৪৬ সাল থকেে ১৯৫৩ সাল র্পযন্ত ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে পর্দাথবজ্ঞিান বভিাগরে অধ্যাপক হসিবেে কাজ করনে। পরর্বতীতে কছিুদনি চট্টগ্রাম নশৈ কলজেে অধ্যাপনা করনে।

তনিি ১৯৪৭ সালরে ১ সপ্টেম্বের ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে কয়কেজন শকি ও শর্ািথীর সহযোগতিায় ভাষা আন্দোলনরে প্রথম সংগঠন ‘তমদ্দুন মজলশি’ প্রতষ্ঠিা করনে। ভাষা আন্দোলয়রে প্রাথমকি অবস্থা সর্ম্পকে বলতে গয়িে ভাষা সনৈকি ডক্টর নুরুল হক ভূঁইয়া বলনে ঃ- ‘একবোরে প্রথম দকিে তো রাষ্ট্রভাষা সে বাংলা হতে পার,ে এ ব্যাপারটি অনকেইে বুঝতে চানন। ি এর গুরুত্ব অনুধাবন করনে ন। ি বাংলা ডপর্িাটমন্টে (ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে) তো রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে চরম নর্লিপ্তি ভূমকিা পালন করে। কোনো বাংলার শকি এ ব্যাপারে তখন আগ্রহ পোষণ করে এগয়িে আসনে।

ি প্রথমদকিে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নটি নয়িে ইউনভর্িাসটিি ক্যাম্পাসে আমাদরে রীতমিত নাজহোল হতে হয়ছে। ে... সর্মথক কছিু ছাত্র ও তমদ্দুন মজলসিরে র্কমী ছাড়া কউে প্রত্যভাবে রাষ্ট্রভাষা নয়িে তৎপর ছলিনে না। ’ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনরে সংগঠন ‘তমদ্দুন মজলসি’ ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে ক্যাম্পাসে ও বাইরে জনমত গঠন- অনুকূল পরবিশে তরৈীর ল্যে র্কমতৎপরতা অব্যাহত রাখ। ে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে দণ-িপশ্চমি লনে এবং ফজলুল হক মুসলমি হল মলিনায়তনে আলোচনা সভা ও সাহত্যি সভা’র আয়োজনরে মধ্য দয়িে তাদরে র্কাযক্রম চালয়িে যায়। ১৯৪৭ সালরে ১৩ নভম্বের ফজলুল হক হলে তমদ্দুন মজলসিরে উদ্যোগে এমনি একটি অনুষ্ঠানে কয়কেজন মন্ত্রীসহ কবি জসীম উদ্দীন, কাজী মোতাহার হোসনেসহ অনকে বুদ্দজিীবীর সমাবশে হয়ছেলি- যা ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ‘রাষ্ট্রভাষা ’ আন্দোলনে নতুন প্রাণ সঞ্চার কর।

ে পরর্বতীতে এ দাবীকে পুরণ ও দমানো নয়িে রাজনীতি শুরু হয়- যার মোম উদ্দশ্যে ছলিো অনকেরে মন্ত্রী হওয়া। ভাষাসনৈকি ও অসাধারণ কথাশল্পিী অধ্যাপক শাহদে আলী বলনে ঃ ‘ভাষা প্রশ্নটি আবুল কাসমে তার দবিারাত্ররি স্বপ্ন করে তুলছেলিনে। আমরা ছলিাম তার স্বপ্নরে সাথী। আমাদরে তখন আর অন্য কোনো ভাবনা ছলিনা। ঢাকা হলে (র্বতমান শহীদুল্লাহ হল) একটি একতলা দালানরে পশ্চমি দকিরে বারান্দায় প্রায় ভাষার্কমীদরে বঠৈক হতো।

পুকুররে দণ-ির্পূব কোণে ছলি এ দালানট। ি অনকে পোষ্টার আমরা এ বারান্দায় বসে লখিছে। ি’ ১৯৪৭ সালরে ১৫ নভম্বের রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে ভাষা সনৈকি আবুল কাসমেরে নতেৃত্বে সরকাররে কাছে স্মারকলপিি দওেয়া হয়। যা ১৮ নভম্বের দনৈকি আজাদ পত্রকিায় স্বারকারীগণরে নামসহ প্রকাশতি হয়। ১৯৪৭ সালরে ৬ ডসিম্বের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে প্রথম প্রতবিাদ সভা আয়োজন করে ‘তমদ্দুন মজলসি’ ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে বটতলায়।

পাকস্তিান প্রতষ্ঠিার মাত্র ১১৪ দনিরে মধ্যে এ দাবী তৎকালীন মতাসীনদরে কাছে সুখকর ছলি না। কন্তিু অধ্যাপক আবুল কাসমে তার র্কমতৎপরতা চালয়িে যান নরিবচ্ছিন্নি ভাব। ে তমদ্দুন মজলসিরে এক ঘরোয়া সভায় ‘প্রথম রাষ্ট্রভাসা সংগ্রাম পরষিদ’ গঠতি হয়। ডক্টর নুরুল হক ভূঁইয়া আহবায়ক, অধ্যাপক আবুল কাসমেকে ট্রজোরার করা হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনরে এ উদ্যোগী র্কমীর সহযোগতিা রাজনতৈকি সংগঠনগুলো কি করছেনে- তা স্পষ্ট করে গছেনে এ ভাষা সনৈকি।

‘এ আন্দোলনকে সর্মথন ও সাহায্য করবার জন্য আমরা বভিন্নি প্রতষ্ঠিানরে কাছে যাই। কন্তিু লীগ, কংগ্রসে, কমউিনষ্টি র্পাট,ি ছাত্র ফডোরশেন (তখনকার বামপন্থী ছাত্র প্রতষ্ঠিান)- এদরে প্রত্যকেে আমাদরে নরিাশ করে ফরিয়িে দয়ে। মুসলীম লীগ একে মোটইে আমল দয়েন। ি কংগ্রসে নতো ও র্কমীরা তো ভাষা আন্দোলনরে নাম শুনে আঁতকে ওঠনে। একদনি কমরডে মুজাফ্ফর আহমদের সভাপতত্বিে র্পাটরি (কমউিনষ্টি) মটিংি চলাকালে ভাষা আন্দোলনরে পে সর্মথন আদায়রে জন্য আমরা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরষিদরে করকেজন র্কমীসহ সখোনো উপস্থতি হই।

আমাদরে বক্তব্য শুনে র্পাটরি প থকেে জানয়িে দনে, এই আন্দোলনকে সর্মথন করা তাঁদরে পে সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, তনিি রাষ্ট্রভাষার দাবী সম্বলতি স্মারকলপিতিে দস্তখত করতওে অস্বীকার করনে। ছাত্র ফডোরশেনও এতে যোগদান করতে অস্বীকার করনে। ’ ১৯৪৮ সালরে ১৬ ফব্রে“য়ারী ‘তমদ্দুন মজলসি’ ও ‘রাষ্ট্রবাষা সংগ্রাম পরষিদ’র নতেৃবৃন্দরে ববিৃতি প্রকাশতি হয়। জনগণকে আকুল আহ্বান করা হয়- রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবীতে জলোয়-জলোয়, গ্রাম-েগঞ্জে আন্দোলন গড়ে তোলার।

১৯৪৮ সালরে ১১ র্মাচ ভাষা আন্দোলনরে অবস্মিরণীয় দনি। এই দনিইে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে প্রথম গণ বািভে সংগঠতি হয়। এর ফলে তৎকালীন সরকার রাষ্ট্রভাষার স্বপে চুক্তি স্বার করতে বাধ্য হয়ছেলি। আর ১১ র্মাচরে চুক্তরি ফলে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার পে একটি দাললিকি ইস্যু পয়েছেলি এটা ভঙ্গ করার। প্রায় ৪ বছর পর ১৯৫২ সালে খাজা নাজমি উদ্দনি এ চুক্তি লংঘন করায় ৫২ এর ২১শে ফব্রে“য়ারীর বষ্ফিোরণ ঘট।

ে বলা যায় ৪৭ থকেে ৫২ র্পযন্ত রাষ্ট্রভাভার প্রায় প্রতটিি ঘটনা প্রবাহরে সঙ্গে যুক্ত দলিনে প্রন্সিপিাল আবুল কাসমে। শুধু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃততিে নয় বরং বাংলাকে জীবনরে প্রতটিি র্পযায়ে প্রচলন করার জন্য তনিি তৎপরতা চালয়িছেলিনে। বাংলা ভাষা ও বানান সংস্কার, পরভিাষা তরৈী, বাংলা কলজে প্রতষ্ঠিা ইত্যাদি মাধ্যমে তনিি বাংলা ভাষাকে উচ্চতর শ্রণেীতে পড়ানোর র্যর্থাথ উদ্যোগ ননে। জ্যামতি,ি ত্রকিোণোমতি,ি পর্দাথবদ্যিা, রসায়নসহ বজ্ঞিানরে পরভিাসা তরৈীতে অসামান্য ভূমকিা রাখনে। তনিি নজিইে ১০০টরি মত পরভিাসা তরৈী করছেনে উচ্চতর র্পযায়ে বজ্ঞিান পড়ানো সুবদর্িাথ।

ে তার প্রকাশতি বইগুলো হলো ঃ- একুশ দফার রূপায়ন, আধুনকি চন্তিাধারা, সংগঠন, মুক্তি কোন পথ,ে প্রষেণা, ইসলাম কি দয়িছেলি ও ইসলাম কি দতিে পার,ে পাকস্তিানে রাষ্ট্রভাষা, একমাত্র পথ, বর্বিতনবাদ, সৃষ্টতিত্ত্ব ও আল্লাহর অস্তত্বি, দুইটি প্রশ্ন, শ্রণেী সংগ্রাম, শাসনতান্ত্রকি মূলনীত,ি ইসলামী রাষ্ট্রনীত,ি বজ্ঞিান বস্তুবাদ ও আল্লাহর অস্তত্বি, কোরানকি র্অথনীত,ি আমাদরে ভাষার রূপ, ভাষা আন্দোলনরে ইতহিাস, বুঝে নামাজ পড়, ঝপরবহপব ্ গড়ফবৎহ ঃযড়ঁমযঃং, টহরাবৎংধষ রফবড়ষড়মু রহ ঃযব ষরমযঃ ড়ভ সড়ফবৎহ ঃযড়ঁমযঃং, এছাড়া ৪০টরি অধকি পাঠ্য পুস্তকও তনিি রচনা করছেনে যা আমাদরে উচ্চতর কাসে বজ্ঞিান পড়ায় বাংলা র্চচায় অশষে অবদান রাখছ। ে তারই উদ্যোগে প্রকাশতি হয়ছেলি পত্রকিা ‘র্বাষকি তরুণ’ (১৯৪০), ‘সাপ্তাহকি সনৈকি’ (১৪ নভম্বের, ১৯৪৮) ও ‘মাসকি দ্যুত’ি (১৯৪৯)। তনিি ১৯৫২ সালে রাজনতৈকি দল খলোফতে রব্বানী র্পাটি প্রতষ্ঠিা করনে। যুক্তফ্রন্টরে ব্যানারে নর্বিাচতি হয়ছেলিনে জাতীয় আইন পরষিদরে সদস্য হসিবে। ে জাতীয় স্বীকৃতি হসিবেে তনিি ‘বাংলা কলজে’ ছাত্র মজলসি পুরস্কার ও রাইর্টাস গোল্ড পুরস্কার (১৯৬৪), বাংলা একাডমেী পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (১৯৮৭), স্বাধীনতা দবিস পুরস্কার (১৯৯৩), ইসলামকি ফাউন্ডশেন পুরস্কার ও চট্টগ্রাম সমতিি পদক (১৯৮৮) এবং জাতীয় সংর্বধনা র্স্বণপদক (১৯৮৯) লাভ করনে।

বাংলাদশে জাতীয়তাবাদী (বএিনপ)ি পদক (১৯৮১), বাংলাদশে আওয়ামী লীগ পদক (২০০০), মাতৃভাষা পদক :তমদ্দুন মজলসি (২০০০), মাওলানা ইসলামাবাদী পদক (১৯৯৫)। এ মহান ভাষা সনৈকি ১৯৯১ সালরে ১১ র্মাচ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করনে। এ মহান ভাষা সনৈকিরে অবদান ও রচনাগুলো র্চচার কোনো রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নইে, নইে কোনো জাতীয় স্মরণ। প্রজন্ম থকেে প্রজন্ম যদি ছড়য়িে দওেয়া না যায় আমাদরে র্কৃতমিান মুখ গুলো। তাহলে আমাদরে আগামীর পৃথবিী হবে স্বাভাবকি ভাবে আলোহীন তমসার দনিরাত্র।

ি ভাষার র্গবে মহীয়ান এ জাতি কী ভাববনো তাদরে র্কীতমিান মুখায়বগুলো নয়ি?ে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।