আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ কুয়েতে বিক্ষুভ হতে যাচ্ছে, এবার কি কুয়েতের পালা, দেখা যাক কি হয়।



প্রধানমন্ত্রীর অপসারণ ও বড় পরিসরে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিক্ষোভ করতে যাচ্ছে কুয়েতের তরুণসমাজ। তবে সে দেশে কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সফলতা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাফি অ্যান্ড আল-সুর আল-খামস (ফিফথ ফেন্স) নামের একটি সংগঠন বিক্ষোভের প্রধান আয়োজক। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের আল-মোহাম্মদ আল-সাবাহকে অপসারণ করে আল-সাবাহ পরিবারের বাইরের অন্য কাউকে এ পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কুয়েতে গত ২৫০ বছর ধরে শাসন করছে আল-সাবাহ পরিবার।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কুয়েতের আমির জাবের আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর ভাতিজা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের আল-মোহাম্মদ আল-সাবাহ ২০০৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর দায়িত্বে রয়েছেন আল-সাবাহ পরিবারের সদস্যরা। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে পার্লামেন্টের দুটি অসহযোগিতা প্রস্তাব থেকে বেঁচে গেছেন। তবে কুয়েতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত ক্ষমতা আমিরের হাতে।

কুয়েত বিশ্বের চতুর্থ বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ। উপসাগর অঞ্চলগুলোতে মধ্যে কুয়েতের পার্লামেন্ট সবচেয়ে বেশি স্পষ্টবাদী। তবে সেখানে কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি নেই। ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনয়নের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গঠিত হয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে কুয়েতের তরুণেরা এ বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে।

সফল গণ-আন্দোলনের মুখে ইতিমধ্যে তিউনিসিয়া ও মিসরের প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।