আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিরে দেখা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

চলে যাব...অনেক দূরে...যেতে হবে...যাওয়া দরকার
১২ এপ্রিল ১৯৯৭ ; তেনাগা ন্যাশনাল সপোর্টস কমপ্লেক্স , কুয়ালালামপুর , মালোয়েশিয়া । দিনটির কথা মনে আছে আপনাদের ? আই সি সি ট্রফির ফাইনাল খেলা । কুয়ালালামপুরের আকাশে ছিলো মেঘের ঘনঘাটা । সারাদিন ফিচফিচ করে বৃষ্টির পর দুপুর ৩টা ৪৫ -এ আমপায়ার'রা সিদ্ধান্ত নিলেন বিকেল ৫টা ৪৫ এ খেলা শুরু হয়ে ১৩ তারিখে বাকি অংশ খেলা হবে । সারা বাংলাদেশ তখন চেয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের দিকে ।

টসে জিতে সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান বল করার সিদ্ধন্ত নেয় । শেষ পর্যন্ত কেনিয়া ৫০ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশকে টার্গেট ছুড়ে মারে ২৪১ রানের । খারাপ আবহাওয়া আর বৃষ্টির জন্যে ডাকওর্থ লুইস ক্যালকুলেশন করে সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশকে ২৫ ওভারে ১৬৬ রান করলেই হবে । শেষ ওভারে যেয়ে বাংলাদেশের দরকার পড়ে ১১ রানের । সেই শেষ মুহুর্তের কথা কখনো ভোলার নয় ।

এভাবেই ১৯৯৭ সালে আই সি সি ট্রফি জিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৯৯ এ যায়গা করে নেয় বাংলাদেশ । _______ ১৯৯৯ এ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বাকাপে বাংলাদেশ পড়ে বি গ্রুপে সাথে ছিলো পাকিস্তান , অস্ট্রেলিয়া , নিউজিল্যান্ড , ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং স্কটল্যান্ড । ১৭ মে ১৯৯৯ এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডের সাথে । ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফলাফল : বাংলাদেশ ১১৬ (৩৭.৪ ওভার) নিউজিল্যান্ড ১১৭/৪ ( ৩৩ ওভার ) ২১ মে ১৯৯৯ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ : বাংলাদেশ ১৮২ (৪৯.২ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮৩/৩ (৪৬.৩ ওভার) মেহরাব হোসেন ৬৪ (১২৯) অপির কথা মনে আছে আপনাদের ? মুখটা চাপা দেখতে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিয়ান । ২৪ মে ১৯৯৯ বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ড (বিশ্বকাপের প্রথম জয়) বাংলাদেশ ১৮৫/৯ (৫০ ওভার) স্কটল্যান্ড ১৬৩ (৪৬.২ ওভার) ২৭ মে ১৯৯৯ বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ১৭৮/৭ (৫০ ওভার) অস্ট্রেলিয়া ১৮১/৩ (১৯.৫ ওভার) ৩১ মে ১৯৯৯ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান বাংলাদেশ ২২৩ /৯ (৫০ ওভার) পাকিস্তান ১৬১ (৪৪.৩ ওভার) পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশ সেবার ৫টা ম্যাচ খেলে ২টা জয় পেয়ে ৪ পয়েন্ট পায় ।

এবং প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ে । _______ ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পড়ে বি গ্রুপে সাথে শ্রীলংকা , কেনিয়া , নিউজিল্যান্ড , সাউথ আফ্রিকা , ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কানাডা । ১১ ফেব্রুয়ারী ২০০৩ বাংলাদেশ বনাম কানাডা বাংলাদেশ ১২০ (২৮ ওভার) কানাডা ১৮০ (৪৯.১ ওভার) ১৪ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা বাংলাদেশ ১২৪ (৫০ ওভার) শ্রীলংকা ১২৬/০(২১.১ ওভার) ১৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ২৪৪ রানের টার্গেট দেওয়ার বাংলাদেশ ৮ রানে ১ উইকেট যায় এবং বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায় । ২২ ফেব্রুয়ারী ২০০৩ বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকা বাংলাদেশ ১০৮ (৩৫.১ ওভার) সাউথ আফ্রিকা ১০৯/০ (১২ ওভার) ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৩ বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ ১৯৮/৭ (৫০ ওভার) নিউজিল্যান্ড ১৯৯/৩ (৩৩। ৩ ওভার) ১ মার্চ ২০০৩ বাংলাদেশ বনাম কেনিয়া কেনিয়া ২১৭/৭ (৫০ ওভার) বাংলাদেশ ১৮৫ (৪৭.২ ওভার) ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৬টি ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচেও জিততে পারেনা ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি বাতিল হয়ে গেলে সেখান থেকে ২ পয়েন্ট পায়। সুতরাং প্রথম রাউন্ডেই চলে যেতে হয় বাংলাদেশ কে । _______ ২০০৭ এর মার্চে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ৪টি গ্রুপে বাংলাদেশ পড়ে বি গ্রুপে সাথে থাকে শ্রীলংকা , ভারত এবং বারমুডা । ১৭ মার্চ ২০০৭ বাংলাদেশ বনাম ভারতের প্রথম খেলাতেই বাংলাদেশ জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে । বাংলাদেশ ১৯২/৫ (৪৮.৩ ওভার) ভারত ১৯১ (৪৯.৩ ওভার) ২১ মার্চ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা শ্রীলংকা ৩১৮/৪ (৫০ ওভার) বাংলাদেশ ১১২ (৩৭ ওভার) ২৫ মার্চ বাংলাদেশ বনাম বারমুডা বাংলাদেশ ৯৬/৩ (১৭।

৩ ওভার) বারমুডা ৯৪/৯ (২১ ওভার) বাংলাদেশ প্রথমবারের মত সুপার ৮ এ যায় গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে শ্রীলংকার সাথে । ৩১ মার্চ বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ১০৪/৬ (২২ ওভার ) অস্ট্রেলিয়া ১০৬/০ (১৩.৫ ওভার) ২ এপ্রিল বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ ১৭৪ (৪৮। ৩ ওভার) নিউজিল্যান্ড ১৭৮/১ (২৯.২ ওভার) ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকা বাংলাদেশ ২৫১/৮ (৫০ ওভার) সাউথ আফ্রিকা ১৮৪ (৪৮.৪ ওভার) ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড বাংলাদেশ ১৪৩ (৩৭.২ ওভার) ইংল্যান্ড ১৪৭/৬ (৪৪.৫ ওভার) ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড আয়ারল্যান্ড ২৪৩/৭ (৫০ ওভার) বাংলাদেশ ১৬৯ (৪১.২ ওভার) ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩০/৫ (৫০ ওভার) বাংলাদেশ ১৩১ (৪৩.৫ ওভার) স্যুপার ৮ এর ৭টি ম্যাচের একটিতে জয়ী হয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ৬ষ্ঠ হয় বাংলাদেশ সেবার । কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন হারায় বাংলাদেশ । *** বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে একটি রেকর্ড আছে ।

সেটি হলো : ১৭ বছর ২ মাস ১০ দিন বয়সে তালহা জুবায়ের সর্ব কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসাবে বিশ্বকাপে খেলে । -----_____-----_____-----_____----- *-- এই লেখার সোর্স নেওয়া হয়েছে http://www.espncricinfo.com/ এখান থেকে ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.