আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূঃখিত জনাব মূসা মিথ্যা আশ্বাস দেয়ার জন্য! আপনি এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছেন, বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন আমি দেখছি আর প্রতিদিন লজ্জা পাচ্ছি!!



মূসা ভাই আপনি এসেছিলেন আমার অফিসে, আপনার এক বন্ধুর মাধ্যমে যিনি আমাদের অফিসে চাকুরী করেন। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন স্পন্সর পাবেন এভারেস্ট এর চূড়ায় উঠে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি আমাদের প্রতিষ্ঠানের পতাকা উড়াবেন শুধু তাই না আমাদের লোগো প্রেসরিলিজ, ব্যানার, ফ্যাস্টুনে ব্যবহার করবেন। আপনার দৃঢ়তা দেখে আমি শিউর ছিলাম আপনি পারবেন আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে। কিন্তু ভাই আমি তো প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা ছিলাম মাত্র, আপনার আমার ফিলিংস এর মূল্য প্রতিষ্ঠানের র্কতৃপক্ষের কাছে শুধুই পাগলামী ছিলো। আপনার উপস্থাপিত ফাইলে অনেক স্ট্রং ডকুমেন্ট ছিলো।

প্রখম আলো যে সামান্য মিডিয়া সাপোর্ট দিয়েছিলো তাতেই আপনি ঐ সময় অনেক দূর পৌছেছিলেন। আমি ফাইলটা বসের কাছে দেয়ার পর এক নজর দেখে হেসে উড়িয়ে দিল। এই ছেলে উঠবে পর্বতের চূড়ায়!! তুমি দিনে দিনে কাজ কর্ম না করে কি নিয়ে ভাবো বুঝতে পারি না। আমি পরাজিত সৈনিক এর মত ঢুলতে ঢুলতে বের হলাম আর ভাবলাম ইস যদি ওনাকে স্পন্সরটা দিতে পারতাম! আমার শুধু মনে হচ্ছিলো মূসা সাহেব পারবেন। যথারীতি পরের দিন মূসা সাহেবের ফোন ...সাহেব স্পনসর এর ব্যপারে কিছু করতে পারলেন।

আমি আমতা করে বললালম মূসা ভাই আপনিতো দেশের সব পর্বত গুলোতে উঠছেন, নেপালের এভারেস্ট পর্বত যখন ফাইনাল চড়তে যাবেন তখন না হয় আমরা স্পন্সর দিবো। মূসা ভাই ঠিক আছে বলে ধন্যবাদ দিয়ে রেখে দিলো। এরপর মূসা সাহেব নেপালে যাওয়ার পূর্বে তার যত ইন্টারভিউ টিভিতে দেখিয়েছে সব ইন্টারভিউই দেখার জন্য এস এম এস করেছে,আমিও আগ্রহভরে দেখেছি। প্রখম আলো মূসাকে নিয়ে ছুটির দিনে প্রচুর লিখতো আমিও মিস করতাম না। হঠাৎ একদিন মূসা সাহেব ফোন দিলেন বললনে ভাই আমারতো নেপাল যাওয়ার সময় হয়ে আসলো একেবারে জয করে তারপর আসবো।

আপনি বলেছিলেন.....। আমি বললাম ব্যপারটা আমি দেখছি। আবার গেলাম বসের কাছে বললাম মূসা সাহেবের কথা কিন্তু বস কোন ভাবেই ইন্টেরেস্টড না। যথারীতি আমি ফেল। মূলত আমারা যারা ব্র্যান্ড ডির্পাটমেন্ট এ কাজ করি তারা বসের কাছে অসহায়।

মূসা সাহেব পর্বত জয়ের জন্য স্পন্সর আনতে না গিয়ে যদি ক্রেস্ট ব্যবসায়ী হতেন ওনাকে সেরা ব্যবসায়ী ঘোষনা করে অ্যাওযার্ড দিতেন আর সু্ভিনরে প্রথম পাতায় ছবি দিয়ে গুনকীর্তন করতেন তাহলে লাখ দুয়েক পেয়ে যেতেন!! বোনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জীবন বাজী রেখে পর্বত পাড়ি দিয়ে দেশের জন্য সন্মান আনতে হতো না!পর্বত বীজয়ের পর ওনাকে একটা এস এম এস পাঠিয়েছিলাম ধন্যবাদ দিয়ে। অনেক ধন্যবাদের ভিড়ে হয়তো হারিয়ে গেছে, হাড়াবেইতো আমিতো তার কোন কাজে আসিনি! ইদানিং টিভি খুললেই একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে পর্বত বীজযকে পূজি করে একটা কর্পোরেট কোম্পানী তাদের প্রোডক্ট এর বিজ্ঞাপন করেছেন। সত্যিই হাস্যকর এবং বিরক্তকর মনে হয় আমার কাছে। কোথায় ছিলেন আপনারা? যতদূর মনে পড়ে আপনাদের কাছেও গিয়েছিলো মূসা। আপনারা বা আমার আগের কোম্পানী যদি মূসাকে স্পনসর করতেন তাহলে এতো কষ্ট আর ধার কর্য করে মূসাকে পর্বত বিজয় করতে হতো না!!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।