আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই আমার বাংলাদেশ। নীলফামারীতে তিন দিনব্যাপী শিশু উন্নয়ন মেলায় বাদাম বিক্রি করছে অসহায় দুই শিশু। আর অন্য দিকে ঘটছে কি??

স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই.......

দৃশ্যটা খুব চমৎকার। একদিকে বড় বড় ভক্তারা শিশু উন্নয়ন মেলায় বড় বড় ভক্তিতা দিচ্ছে, আর অন্যদিকে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া দুই অসহায় শিশু মেলায় বাদাম বিক্রি করছে। নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্ল্যান বাংলাদেশের সহযেগিতায় ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশুদের নিয়ে উন্নয়ন মেলা গত শুক্রবার শেষ হয়েছে। শিশুরা মেলায় নাচ, গান আবৃত্তিসহ নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অথচ এই মেলা প্রাঙ্গনে সুবিধাবন্চিত দুই শিশুকে বাদাম বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আমাদের দেশে দারিদ্র্যপীড়িত অনেক অভিভাবক তাদের শিশু সন্তানদের স্কুলে না পাঠিয়ে জীবিকার তাগিদে কাজে লাগিয়ে দেয়। তারা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ে। যে বয়সে শিশুরা বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে তারা বাদাম বুট বিক্রি করছে, চায়ের দোকান কিংবা হোটেলে কাজ করছে, রিক্সা চালাচ্ছে, ইট ভাটায় মাটির কাজ করছে, ইট পাথর ভাংতাছে ও ওয়েল্ডিং এর মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। অনেকে আবার কাজ না পেয়ে টোকাইয়ের কাজ করছে। আর এদিকে আমরা শিশুদের নিয়ে কত কথাই না বলি।

শিশুদের উন্নয়ন, শিশু শ্রম বন্ধ, সবার আগে শিশু বাচুক, শিশুরাই জাতির অহন্কারসহ কত কি। কিন্তু কথার সাথে কি আমারদের কাজের মিল আছে? আসলে আমরা আমাদের সন্তানদের কখন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করাবো, কখন কম্পিউটার কিনে কার্টুন দেখাবো, কখন তাদের বিদেশে ভালো লেখাপড়ার জন্য পাঠাবো সে চিন্তায় ব্যষ্ত থাকি। থাকতো অন্যর শিশু?? আর আমরা বড় বড় কথাতো বলি মাইকের সামনে, বড় বড় জনসভায় নিজেদের সম্নান পাওয়ার জন্য। গরীব অসহায় শিশুদের কি? বাঙালি ভালো হও, নিজের চরিত্র ঠিক করো। তারপর জনসভায় কথা বলো.....


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।