আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেলা লইয়া প্যাচাঁল বাদ দিয়া আহেন এহন ক্রিকেট লইয়া একটু মশকারি করি। অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রবেশ নিষেধ।

আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি

১। গাজী মামা আবার ক্রিকেট লইয়া বেশী ছিরিয়াস। একদিন মামীরে বহুত কষ্ট কইরা হাতে ঠ্যাংয়ে ধইরা রাজী করাইসে মাঠে গিয়া খেলা দেখনের লাইগ্যা। মামী গেসে, বহুত কষ্ট কইরা পয়লা ইনিংস পার করসে। পরের ইনিংসে এক ব্যাটসম্যান এমন জোরে ছক্কা মারসে বল গেসে মাঠের বাইরে।

মামী তহন চিল্লাইয়া কয়: হায় বলডা দেহি হারাই গেলো; যাউগ্গা খেলা দেহনের কাম নাই চল বাড়িত লই। ২। বাবু আছিলো বড়ই ঘাড় ত্যাড়া খেলোয়াড়। একবার এক খেলায় আম্পায়ার তার তিন/চাইরডা আপিলে আউট দেয় নাই। তহন বাবু আম্পায়াররে কয়: স্যার চিনতা করনের লাইগ্যা কি কুনু শাস্তি হইবো? আম্পায়ার কয়: না কুনু শাস্তি নাই।

বাবু কয়: কিন্তু আমি যে চিন্তা করাতসি আপনে একডা বুকচুদ তাইলে কি আমার শাস্তি হইবো? ৩। শহিদ ভায়া ক্রিকেট খেলতো জেম.সেন.হল একাদশে। তয় শুধু প্লেয়ার শর্ট থাকলে তারে নামানো হইতো। দেখা গেসে প্রায় প্রতি ম্যাচে কারো না কারো প্রবলেম থাকে আর শহিদ ভায়া চান্স পায়। কিন্তু প্রতি ম্যাচে ক্যাচ মিস করে।

একদিন এক খেলায় শহিদ ভায়া চাইরডা ক্যাচ মিসাইসে যার কারণে জিতা খেলা হাইরা গেসে। খেলা শেষে দুলাল মিয়া কইলো: আইজকাই তুই আমার লগে আমাগো মুরগীর র্ফামে যাইবি। শহিদ ভায়া কয়: ক্যান? ওই মুরগীর ঘরে গিয়া আমি কি করুম? দুলাল মিয়া: আরে হালায় জীবনে তো কাউরে কইতে পারবি তুই এই জীবনে কিসু ধইরতে পারসিলি। টিম ক্যাপটেন টুটুন চেইত্যা কয়: বাজী রাইক্খ্যা কইতারি, হালায় ওইহানেও মিসাইবো। ৪।

- "তুমারে এইরকম মনমরা লাগতাসে ক্যান? কি হইসে?" - ডাক্তার কইসে আমি আর কুনুদিনও ক্রিকেট খেলতে পারুম না। - হায় আল্লাহ, ওই হালায় মুনে হয় তরে খেলতে দেইখ্যা ফালাইসিলো। ৫। এক আমেরিকান ইংল্যান্ডে গেসে ক্রিকেট খেলা দেখতে। পরত্তম ওভারে ব্যাটসম্যান ছয় বলে চাইর রান করসে।

এরপর আম্পায়ার কইলো ওভার। আমেরিকান খুশী হইয়া কইলো: আরে কি আজিব, শুরু হইলো আর শেষ হইলো। এই খেলা আমার হেভ্ভী পছন্দ হইসে। ৫। ড্যান্সিং মুরশেদ, ভালা ক্রিকেট খেলত।

বেচারা সারা সপ্তাহে অফিসের চাপে না পাইরা প্রতি শুক্রবার যাইতো প্র্যাকটিস করতে। কিন্তু প্রতি শুক্রবার আবার এইডা তার বউয়ের সহ্য হইতো না। একদিন তাই গোস্বা কইরা কইলো: তুমি যদি এই শুক্কুরবার খেইলতে যাও তাইলে কইলাম আমি গলাত দড়ি দিমু। ড্যান্সিং মুরশেদ কইলো: আর মিছা স্বপ্ন দেখাইয়াও না বউ। বউয়ে কইলো: আমার গলাত দড়ি দিমু তুমারে কে কইসে।

আমি তো তুমার কথা কইতাসিলাম। ৬। এক ক্রিকেট পাগল তার অফিসে একটা বোর্ড লাগিয়েছে OUT-L.B.W। বাইরে থাকলে OUT আর অফিসে থাকলে L.B.W। একদিন তার এক বন্ধু বললো: আচ্ছা OUT মানে বাইরে বুঝলাম কিন্তু L.B.W দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছিস ঠিক বুঝলাম না।

- আরে বুঝলি না। L.B.W মানে "Let the Bastards Wait."। কারণ আমার কাছে পাওনাদার বেশী আসে। ৭। একজন বিখ্যাত আরব শেখের সাথে আছরাফুলের দেখা হইসে।

ওই শেখ আবার ৮৩টা বিয়া করসে। আছরাফুল কয়: আপনে হুজুর ৮৩টা বিয়া করসেন, আমি হালায় একটাও করতে পারতেসিনা তয় আপনে মাগার কইলাম আর ২টা বিয়া করলে আপনের বল বদলাইতে হইবো। // ৮। এক সুন্দরী মহিলা গেসে পুলিশরে অভিযোগ করতে: ছার, আমার ইজ্জ্বত লুইট্যা লইসে এক বজ্জাত, লম্পট ক্রিকেটার। পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ক্রিকেটার? মহিলা: ওই লুকের হাতে গলাভস, মাথায় হেলমেট আর পায়ে প্যাড আছিলো।

আর আমার মুনে হ্য় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান আছরাফুল আছিলো। পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ওইডা আছরাফুল? মহিলা: আরে বেশীক্ষণ টিকে নাই তো। শুরুর লগেই শ্যাষ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.