আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তান আনপ্রেডিক্টেবল শব্দটির উপযুক্ত সমার্থক

প্রতিটা মানুষেরই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে একবারের জন্য হলেও পাখি হওয়ার ইচ্ছে জাগে। ‘পাখি যদি হতাম আমি, ঘুরতাম সারা বিশ্ব রে!’ -ছড়াকাররা এমন করে পাখি হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন। সে বাসনা ছড়িয়ে গেছে আমাদের প্রাণেও। পাখি হয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে দেখার বাসনা থেকেই

ক্রিকেটে আনপ্রেডিক্টেবল শব্দটির উপযুক্ত সমার্থক হিসেবে অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে পাকিস্তান নামটি। ক্রিকেটে সর্বাধিক বিতর্কেরও জন্মদাতা পাকিস্তান।

স্পট ফিক্সিং, বল টেম্পারিং, ডোপ কেলেঙ্কারির মতো অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উঠলে অস্বাভাবিক লাগে না। দলীয় কোন্দলের বিষয়টি তো সার্বক্ষণিকই সঙ্গী তাদের। একাধিক ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। এবং পাকিস্তানের মাটি থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেকদিন থেকেই নির্বাসিত। শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ খেলা হয় নি পাকিস্তানের।

দেশের বাইরে হোম ভেন্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা। এবারের বিশ্বকাপের আয়োজকদের একজন হিসেবে নাম ছিলো তাদের। নিরাপত্তার অভাবজনিত কারণে আয়োজকের তালিকা থেকে তাদের নাম কাটা পড়েছে। এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোর জন্য তাই শ্রীলঙ্কাই পাকিস্তানের হোম ভেন্যু। বিতর্কিত ও আনপ্রেডিক্টেবল এই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হচ্ছে আজ।

কোচ ওয়াকার ইউনিস ও দলপতি শহীদ আফ্রিদি ঘোষণা করেছেন, চ্যাম্পিয়ন হতেই বিশ্বকাপ খেলবে তারা। হট ফেভারিট না হলেও দলটিকে হালকাভাবে নিতে চাইছেন না এবারের বিশ্বাকাপের হট ফেভারিট দলগুলোও। দল ঘোষণার পর অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে অনেক জল ঘোলা হলেও পাকিস্তান অধিনায়ক জানিয়েছেন, খোলোয়াড়েরা তেতে আছে মাঠে নামার জন্য। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলা সিরিজে জিতে যথেষ্ট আতœবিশ্বাসী পাকিস্তানি ক্রিকেটারেরা। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডে কাছে হেরেছে, তবে সেটাকে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না তারা।

আজ হাম্বানটোটায় তারা সামনে পাচ্ছে কেনিয়াকে। মাত্র তিনদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়ে আইসিসির একটা সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণিত করেছে তারা। পরের বিশ্বকাপ থেকে হয়তো কেনিয়ার মতো পুঁচকেদের আর বিশ্বকাপ খেলা হবে না। অথচ কেনিয়া দলটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের পর থেকে বেশ ভালো একটা দলে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। ১৯৯৬-এ নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পরাক্রমশালী দলকে ৭৩ রানে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলো আফ্রিকার এ দলটি।

২০০৩ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা দলটি টেস্ট স্ট্যাটাসেরও দাবিদার হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বনি-বনা না হওয়ায় একটু একটু করে দলটি ভেঙে পড়তে পড়তে এখন একেবারে ভাঙাচুরা এক দলে পরিণত হয়েছে এক সময়ে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কেনিয়া। পাকিস্তানের জন্য কেনিয়া তেমন কোনো পরীক্ষা নয়। বিশ্বকাপে এবারই প্রথম দুদল মুখোমুখি হচ্ছে। ওয়ানডেতে মাত্র ৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুদল।

৫টিতেই জয়ী দল পাকিস্তান। পকিস্তানের বিপক্ষে কেনিয়ার সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস ১৭৯ এবং সর্বোনি¤œ ৯৪। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ওটিয়েনোর ৫৯। সেরা বোলিং টমাস ওডোয়োর ২৫ রানে ৩ উইকেট। পাকিস্তানের দলীয় সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে ২৮৬।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইউনিস খানের অপরাজিত ৮৭। সেরা বোলিং শহীদ আফ্রিদির ১১ রানে ৫ উইকেট। সুতরাং এ ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য কেবল নিজেদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ম্যাচ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.