আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বই মেলায় জন জোয়ার

স্বাধীন বাংলা

বই মেলার জনস্রোত তীব্র হয়ে ওঠে সন্ধ্যায়। ভেতরেই শুধু নয়, ভিড়ের এ স্রোত আছড়ে পড়ে আশপাশের সব এলাকায়। শাহবাগ মোড় থেকে পাশাপাশি দুটি সারি এসে থামে মেলার উত্তর প্রবেশমুখে। একইভাবে শহীদ মিনারের সামনে থেকে সর্পিল আকৃতির দুটি সারি এসে থামে দক্ষিণের প্রবেশমুখে। মানুষের সব সারি মিলিত হয় একবিন্দুতে, বইমেলায়।

এদিকে মেলার বাইরের রাস্তায়ও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ধূলি-ধূসরিত চারপাশ। ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে মাটিতেও পড়ে যায় কেউ কেউ। মেলার মূল সড়কের ডিভাইডারে ছিল বসার প্রতিযোগিতা। কোথাও দাঁড়ানোর এতটুকু ঠাঁই নেই।

সন্ধ্যায় মেলায় ঢুকেছে যত লোক, ঢুকতে না পেরে ফিরে গেছে এরও বেশি। যারা মেলায় প্রবেশের সুযোগবঞ্চিত হয়েছে, তারা দোয়েল চত্বর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিশাল এলাকা কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিয়ে কিংবা রাস্তায় জমে ওঠা নানা পণ্যের অস্থায়ী মেলায় ঘুরে সময় পার করেছে। আশানুরূপ বিক্রি হয়নি_এ বক্তব্য ছিল প্রকাশকদের। তবে তাতে মন খারাপও নয় তাঁদের। প্রকাশকদের অভিমত, 'বিক্রি না হোক, মানুষ মেলায় এসেছে, বই দেখেছে।

একুশের জন্য মানুষের এমন উচ্ছ্বাসই বা কম কি!' মেলায় আসা এসব মানুষই একদিন বই কিনবে, বই পড়বে_এভাবেই বললেন অনুপম প্রকাশনীর কর্ণধার মিলন নাথ। তিনি বলেন, 'প্রকাশনা ব্যবসা কেবল বিক্রি নয়, আবেগেরও বিষয়। মানুষ যে উচ্ছ্বাস নিয়ে বইমেলায় এসেছে, ঘুরে ঘুরে বই দেখেছে, সেটাই অনেক বড় ব্যাপার। '

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।