আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ুন গ্রাফিক্স ডিজাইনে!

আঁকা ঝোঁকাতে ঝোক বেশি! ক্রিয়েটিভ কিছু করতে মন চায়? সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর নিয়ে গাছ, পাখি, ফুল, ফল, বাড়ির দৃশ্য বা কারো নাম বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করে দেন? পার্ট-টাইম বা ফুল টাইম কাজ খুঁজছেন? অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করতে চান? তাহলে ভেবে চিন্তে নেমে পড়ুন গ্রাফিক্স ডিজাইনে। অন্যান্য সব চাকরির থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন। নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন বলার কারণ হলো অন্যান্য সব পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। এটা একটি সন্মানজনক পেশাও। কাজের ক্ষেত্র কোথায় প্রয়োজন নেই একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের? দেখে নিন কোথায় কোথায় তাঁর বিচরণঃ ১. ইন্টার‍্যাক্টিভ মিডিয়া: আমরা টেলিভিশন কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যে মজার মজার কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন দেখে থাকি এই কার্টুন আর অ্যানিমেশন তৈরির কাজ কারা করে বলতে পারেন? একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার! তিনি গল্প, চরিত্র এবং তাঁর প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ক্যারেক্টার তৈরি করেন।

এরপর এই ক্যারেক্টারগুলোকে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলা হয়, সেখানে যুক্ত হয় বিভিন্ন শব্দ, মিউজিক এবং ইফেক্ট। ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ইন্টার্যাতকটিভ মিডিয়ার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হচ্ছে, আর এই ক্ষেত্রে বাড়ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের সুযোগ। ২. ব্র্যান্ড ডিজাইন: একটি ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল কাজের জন্য যত ডিজাইনের প্রয়োজন পড়ে তা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকেই তৈরি করতে হয়। এক্ষেত্রে তাঁকে উক্ত ব্র্যান্ডের টার্গেটেড অডিয়েন্স, প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরণ এবং নামের উপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডের রং নির্বাচন, নির্দিষ্ট কালার স্কিম ডেভেলপমেন্ট, মাস্কট তৈরি এবং কর্পোরেট আইডেনটিটি ডিজাইনের কাজ করতে হয়। এছাড়াও উক্ত কোম্পানির প্রচারণার জন্য যত ধরণের ডিজাইনের প্রয়োজন হয় তাও একজন ব্র্যান্ড ডিজাইনার করে থাকেন।

বর্তমানে মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় প্রতিষ্ঠান, সর্বত্রই ব্র্যান্ড ডিজাইনারের চাহিদা রয়েছে। আর ডেডিকেটেড ব্র্যান্ড ডিজাইনার নিয়োগ দেয়াও এখন কর্পোরেট সংস্কৃতিতে পরিণত হচ্ছে। দিন দিন তাই এ ক্ষেত্রে বাড়ছে কাজের সুযোগ। ৩. লগো ডিজাইন : লগো হচ্ছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয়। এটি দেখেই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চিনে থাকেন তাঁর গ্রাহকরা।

প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে লগো। আর এ কারণেই লগোর পিছনেই ব্র্যান্ড অপটিমাইজেশন বাজেটের একটি বড় অংশ বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণেই লগো ডিজাইনার হিসাবে প্রতিটি প্রজেক্ট থেকে বড় মাপের অর্থ পাওয়া সম্ভব। নতুন প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরির পাশাপাশি পুরাতন প্রতিষ্ঠানের লগো রি-ডিজাইনেরও প্রচুর কাজ থাকে। কোম্পানির লগো ডিজাইনের পাশাপাশি পণ্যগুলোর জন্যও আলাদা লগো তৈরি করে অনেক প্রতিষ্ঠান।

এখানেও প্রজেক্ট মূল্য বেশি হয়ে থাকে। আর বিশ্বব্যাপী যেহেতু কোটি কোটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং প্রতিদিনই প্রচুর নতুন প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করছে তাই লগো ডিজাইনের কাজও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ৪. মার্কেটিং ব্রশিউর : দেখে থাকবেন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রচারের জন্য ব্রশিউর তৈরি করে থাকে। পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য ব্রশিউর বেশ কার্যকরী বলেই প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে বেশ বিনিয়োগ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদেও মার্কেটিং ব্রশিউর যত সুন্দরভাবে ডিজাইন করতে পারে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণও তত সহজ হয়।

এ কারণেই এ ধরণের ডিজাইনগুলো ভাল মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের দিয়ে করাতে চায় প্রতিষ্ঠানগুলো, আর এর প্রজেক্ট মূল্য অনেক বেশি হয়। বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রচারের সংস্কৃতি যত বাড়ছে, মার্কেটিং ব্রশিউর ডিজাইনের কাজের ক্ষেত্রও তত বড় হচ্ছে। ৫. ওয়েবসাইট ডিজাইন : একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য অন্যতম বৃহৎ কাজের ক্ষেত্র ওয়েবসাইট ডিজাইন। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেন প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনের কাজের পরিমান বাড়ছেই। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।

৬. মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন : ২০১৫ সাল নাগাদ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের বাজার গিয়ে দাঁড়াবে ১০০ বিলিয়ন ডলারে। এই যে বিপুল পরিমাণ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির চাহিদা, এই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ডিজাইন করবে কারা? গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা! একটি অ্যাপ্লিকেশনের প্রধান দুটি অংশ, ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট। তার মানে বিশাল এই বাজারের অর্ধেক কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কব্জায়ই! মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইনে কাজের ক্ষেত্র নিয়ে আর বেশি কিছু বলার দরকার আছে কি? ৭. ম্যাগাজিন : অনলাইন এবং প্রিন্টেড যত ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয় সেগুলোতে নানাভাবে সৃজনশীলতা দেখানোর সুযোগ রয়েছে। কাভারপেজ ডিজাইন থেকে শুরু করে শেষ পাতা পর্যন্ত, সর্বত্রই একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ছোঁয়া থাকতেই হয়। এছাড়াও ম্যাগাজিনগুলোতে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ক্রিয়েটিভ তৈরি, পাঠকের পড়ার সুবিধা নিয়ে চিন্তা করা এবং সে অনুযায়ী ডিজাইনে পরিবর্তনের কাজও করতে হয় একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে।

এ কারণে ম্যাগাজিনগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। ৮. কর্পোরেট রিপোর্টস : কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব রিপোর্ট কিংবা প্রেজেন্টেশন তৈরি করেন তা সবসময়ই সুন্দর এবং সৃজনশীল উপস্থাপনায় থাকে। প্রতিবেদনের তথ্য প্রতিষ্ঠানের অন্য কোন বিভাগ থেকে আসলেও এটি উপস্থাপনার কাজ কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকেই করতে হয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন কোম্পানির কর্পোরেট রিপোর্ট তৈরি করেও ভালমানের আয় করতে পারেন। ৯. সংবাদপত্র : গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া সংবাদপত্র! মোটেই সম্ভব নয়।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারই একটি সংবাদপত্রকে পাঠযোগ্য সংবাদপত্রের মতো করে তোলেন! এখানে ডিজাইন পেশার সন্মানটাও অনেক বেশি। হতে পারেন ডিজাইন উদ্যোক্তা! কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রি করতে পারবেন। ধরুন, আপনি একটি বিজনেস কার্ডের ডিজাইন করলেন যেটির সম্পাদনা যোগ্য একটি ফাইল আপনি বিক্রি করতে চান। আপনি উক্ত কার্ডের ডিজাইনটি এই সাইটে দিলে সাইটের ক্রেতারা সেটি পছন্দ করবেন এবং কিনবেন। আর যতবার এই একই ডিজাইন বিক্রি হবে এর নির্মাতা ততবার নির্দিষ্ট হারে আপনি উক্ত পণ্য বিক্রির টাকা পাবেন।

গ্রাফিক রিভারের গড় হিসাবে প্রতিটি ডিজাইন ১২০ থেকে ১৫০ বার বিক্রি হয়। এ হিসাবে একটি ডিজাইন ১৫ ডলার করে বিক্রি হলেও মোট বিক্রির পরিমাণ দাড়ায় ১ হাজার ৮০০ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ৭০০ ডলার। কোন কোন ক্ষেত্রে মাত্র একটি ডিজাইন বিক্রি করেও একেকজন ডিজাইনার আয় করেছেন ৫ থেকে ৭ হাজার ডলার পর্যন্ত। গ্রাফিকরিভার ডটকমে গেলেই আপনি এই বিক্রির পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সাইটে আপনি অনেক ছোট ছোট ডিজাইনও বিক্রি করতে পারবেন।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স যেমন বাটন, ব্যানার, বিভিন্ন ধরণের টেবিল, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি তৈরি করেও জমা দিতে পারেন। বিভিন্ন শেপ, লগো এবং কার্ড ছাড়াও আরও অনেক ধরণের ডিজাইন দিতে পারবেন। এখানে আপনাকে অনেক ভালমানের ডিজাইন দিতে হবে এবং সেটা যদি সাইট কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয় এবং ডিজাইনটা মানসম্মত ও অন্য কোনো ডিজাইন এর অনুকরণে না হয় তাহলেই তারা সেটা বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে দিবে। যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হলে তারাই ডিজাইনটির একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিবে, এটি ১ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম অবস্থায় ৪০% অর্থ ডিজাইনারকে দেয়া হবে, ধীরে ধীরে সেটা ৭০% পর্যন্ত হতে পারে।

আবার ৯৯ ডিজাইনস সাইটেও আপনি ডিজাইন বিক্রি করতে পারেন তবে তার জন্য আপনাকে কমপক্ষে একটি কন্টেস্ট এ বিজয়ী হতে হবে। আপনি নিজের একটা পোর্টফোলিও সাইট তৈরি করে রাখতে পারেন এবং সেটার মার্কেটিং যদি ঠিকমতো করতে পারেন তাহলেও প্রচুর পরিমানে কাজ পেতে পারেন। বাংলাদেশি এমন অনেক ডিজাইনার আছে যারা ওডেস্ক অথবা ৯৯ ডিজাইন, অথবা আরও অনেক মার্কেটপ্লেসে কোনো বায়ার এর কাজ করেছে এবং বায়ার তাকে তার ফার্মের জন্য স্থায়ী ডিজাইনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তাছাড়াও ডিজাইন সম্পর্কিত বিভিন্ন সাইট এ নিজের কিছু ডিজাইন আপনি ফ্রি হিসেবে সাবমিট করে রাখতে পারেন আর ডিজাইন সম্পর্কিত ব্লগগুলোতে নিজের ডিজাইন স¤পর্কিত লিখা প্রকাশ করে নিজের পরিচিতি বাড়াতে পারেন এতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকগুন বেড়ে যাবে ও নিজেকে ভাল ডিজাইনার হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রকাশ করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা: গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা মূল বিষয় না।

তবে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাফিক্স ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা কিংবা ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী কর্মী চেয়ে থাকেন। তবে ডিগ্রি কোন ব্যাপারই নয়, যদি আপনি কাজটি ভালোভাবে জানেন এবং সৃজনশীল হয়ে থাকেন। এই যেমন আমি একজন ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার, তবে এখন পেশা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং। এজন্য আমার ফাইন আর্টস কিংবা গ্রাফিক্স বিষয়ে লেখাপড়া করতে হয়নি। গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হওয়ার জন্য: ১. কম্পিউটারে গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন সফটওয়্যারগুলোর ব্যবহার জানতে হবে।

যেমন: অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর, অ্যাডবি ফটোশপ। ২. দক্ষতা, ক্রিয়েটিভ ভিশন এবং কমিউনিকেশন স্কিল ভালো করতে হবে। ৩. ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত কোনো ডিগ্রি থাকা ভাল। ৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রির সর্বশেষ সংবাদ সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে হবে। ৫. একটা ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের কাছে প্রফেশনাল দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় প্রতি মাসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কত হতে পারে? এ সম্পর্কে ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনার স্যালারিজ-এর মতে, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি বছরে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ১ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমাধারীর বেতন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে ব্যাচেলর ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের বেতন মাসিক ৪০ হাজার টাকা থেকে ২-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। [সূত্র: বিডিজবস] এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি একটি লগো ডিজাইন করলে ৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এটি ৫ থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে।

একটি ওয়েবসাইটটের প্রথম পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন করে পাওয়া যায় ২শ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। ব্র্যন্ড অপটিমাইজেশন এবং ব্রশিউর তৈরির প্রজেক্টগুলোও ৩০০ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে আয় করতে পারেন ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। কোথায় শিখবেন? প্রফেশন হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনকে নিতে অবশ্যই কোনো ভালোমানের ডিজাইনার বা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের অন্যতম পথিকৃত প্রতিষ্ঠান ডেভসটিম ইনস্টিটিউট হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ! আমরা আপনাকে সুপার দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে তৈরি করার লক্ষ্যে ৩ মাসব্যাপি ‘প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন’ প্রশিক্ষণটির আয়োজন করেছি। কি কি শেখানো হবে? বর্তমানের বাজার চাহিদা বোঝার জন্য একজন ডিজাইনারকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সফটওয়্যারের ব্যবহার জানা জরুরী। ৩ মাসব্যাপি এই কোর্সে কোর গ্রাফিক্স ডিজাইন, টাইপোগ্রাফি, গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার ও টুলের ব্যবহার, মার্কেটট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা ও অনলাইন মার্কেটেপ্লেসে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে তাত্বিক ও ব্যবহারির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইন্টার্নশীপ, লাইফ টাইম সাপোর্টের পাশাপাশি রয়েছে ডেভসটিমের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ। বিস্তারিত কোর্স আউটলাইন দেখুন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আমাদের কম্পিউটার ল্যাব এবং সুবিধা আমাদের কম্পিউটার ল্যাবে প্রতিজন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কম্পিউটার, এখান থেকেই একজন শিক্ষার্থী প্র্যাকটিস শুরু করতে পারবেন।

আর লেকচারের পাশাপাশি বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে লাইভ কাজ করে দেখানো হয় প্রতিটি ক্লাসে। আর ক্লাশ শেষে প্রতিদিন বিভিন্ন ভিডিও এবং পিডিএফ রিসোর্স সরবরাহ করা হয় যেখান থেকে একজন শিক্ষার্থী তার বিষয়গুলোকো আরও ভালোভাবে আয়ত্ব করতে পারেন। ক্লাশ শেষে ওডেস্ক সহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করতে হয় সেটিও দেখিয়ে দেয়া হবে। যারা শেখাবেন • মোহাম্মদ বাহারুল আলম, ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার ভর্তি এবং প্রশিক্ষণ ফি আমাদের আপকামিং ব্যাচটির ক্লাশ শুরু হবে ১০ মার্চ থেকে। ক্লাশ হবে সপ্তাহে দুদিন।

প্রতি রোব এবং সোমবার দুপুর ২টা ৪৫ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ ফি: ১৫,০০০ টাকা (এক্স: ভ্যাট)। আরোও বিস্তারিত জানতে চাইলে বা ইভেন্ট সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে ইভেন্ট ওয়ালে করতে পারেন। আলোচনার জন্য যোগ দিতে পারেন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে। ডেভসটিম ইনস্টিটিউট সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ১. ফেসবুক পেজ: http://facebook.com/DevsTeamInstitute ২. আমাদের টুইটার: http://twitter.com/DevsTeamInst ৩. ফেসবুক গ্রুপ: https://www.facebook.com/groups/DevsTeam ৪. আমাদের লিংকেডিন: http://www.linkedin.com/company/devsteam আমাদের অফিসের ঠিকানা: ডেভসটিম লিমিটেড স্যুট# ১২১২, লেভেল#১২, মাল্টিপ্লান সেন্টার ৬৯-৭১ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা – ১২০৫ ফোনঃ ০২৯৬৬২৬৪৪, ০১৭১১২৬৭৯১১, ০১৮১২-১৫৪৪৫৯, ০১৯১১-৪৬৪৭১০ আসন সংখ্যা সীমিত।

আপনার আসনটি আগেভাগে বুকিং করে রাখুন। আপডেটেড থাকার জন্য আমাদের ফলো করবেন আশা করি। :-) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.