আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন হিসু করলেও ইস্যু বের হয়।



দেশটা এখন আর আমাদের 'মা" নয় 'মাসী' হয়ে গেছে, আর ইস্যু হয়ে গেছে আমাদের পিসু মশাই। কিছুতেই পিছো ছাড়ছেনা। একটার পড় একটা লেগেই আছে। এতসব ইস্যু'র গোলক ধাঁধায় পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের জাতিয় জীবনের আসল উদ্দেশ্য। আমরা প্রতিষ্টিত করতে পারছিনা আইনের শাসন, নিশ্চিত করতে পারছিনা গণ মানুষের অধিকারের সাম্য- উন্নত জীবন তো অনেক দূরে- নুন্নত'তর জীবনও অনেকে যাপন করতে পারছেনা, বলাহয় আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদের অভাব।

আসলে অভাবটা সম্পদের না সদিচ্ছার তা আমি না বোঝলেও কোন কোন জনগন বোঝে নিশ্চয়। তবে সম্পদ বা ইচ্ছার অভাব থাকলেও বিশৃঙ্খলা বাড়াতে আমাদের ইস্যুর অভাব নেই। এখন আবার কোনটা কার ইস্যু ঠিক বোঝাও যাচ্ছেনা। একই ইস্যুতে আদর্শগত ভাবে সম্পুর্ণ বিপরীত দুটি সংগঠনের পালটা পালটি হরতাল ও হয়েছে। দুই দলের ই দাবি আদালতের রায় মানিনা।

গোলাম আজমের মামলার রায়। তবে কেউ মানোক বা না মানোক আদালত আদালতের নিয়েমে চলবে তাই আমরা আশা করি। সাম্প্রতিক কালে আর একটি রাজপথ ইস্যু ছিলো "কোটা"। একটা গ্রাম্য প্রবাদ আছে এই রকম- " কোটা দিয়ে বেগুন পাড়া" মানে বেগুন গাছ এত বড় হয়ে গেছে যে আর হাত দিয়ে নাগাল পাওয়া যাচ্ছেনা। কোটা চাই।

বাংলাদেশের চাকরীর ও একি অবস্থা, আর নাগাল পাওয়া যাচ্ছেনা। মেধা আমাদের খাটো হয়ে গেছে। এবার মেধাতে কোটা লাগাতেই হবে। আগেত পরীক্ষা পাসের পর চাকরীতে নিয়োগ প্রদানে সময় মেধাতে কোটা লাগানো হতো। ছোট ছোট কোটা হলেই চলত।

এবার পরীক্ষাতেই কোটা, আরে পাস যদি না করে তাহলে সে কোটা পাবে কেমনে? তাই পরীক্ষার আগেই কোটা লাগাও। ব্যাস- এসে গেলো নতুন ইস্যু, শুরু হয়ে গেলো নতুন আন্দোলন। কোটা ভেঙ্গে কুটি কুটি করে ফেলতে হবে; আচমকা ভৌতিক কোটা দিয়ে এই ইস্যুটা সরকারই তৈরি করেছে। আমার এক বন্ধু কোটা বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় অংশিদার, ছাত্রলীগের পেদানি খেয়ে রনে ভঙ্গ দিয়েছে। আসলে এই দেশে কিছুই বোঝা যায়না- এদের আন্দোলন একটা সরকারি সিদ্ধান্তের উপর, কোন রাজনৈতিক ইস্যুতে তারা আন্দোলন করেনাই, কিন্তু ছাত্রলীগ কেন তাদেরকে পেটালো? বোধগম্য নয়।

সোস্যাল মিডিয়া আর এক ভয়ংকর জিনিস, সেখানে এটিকে শিবিরের আন্দোলন আক্ষা দিয়ে একে দেশ ও জাতীয়তা বিরোধী ব্যপক প্রচার চালিয়েছে। জানিনা কি কারণ। আমি সাধারণত এইসব ইস্যু নিয়ে তেমন কিছু লিখিনা, কারণ এইসব বড় ধারালো জিনিস, পোলসিরাতের মত। সুক্ষ রেখা ধরে এগুতে হয়। যে কোন দিকে একটু কাত হলেই বিপদ, নব্য রাজাকর উপাধি এসে ঘাড়ে পড়বে, নাহয় ইন্ডিয়ার দালাল।

ইদানিং খারাপ ভষার প্রচলন বাংলাদেশে সাভাবিক হয়ে গেছে। এটা সম্প্রসারিত হয়েছে মহান সংসদ থেকে। এখন গালি গালাজ সোস্যাল মিডিয়ার "গোল মরিচ"। তাই সেখানে কিছু লিখতে ইচ্ছে করেনা। বা মন্তব্যও করতে ইচ্ছে করেনা।

তার পরও মাঝে মাঝে লিখি। এখন যোদ্ধাপরাধের বিচার চলছে, আন্তরজাতিক বিশ্ব একে বিতর্কিত ট্রাইবোনাল কইলেও বিচারত হচ্ছে! সাধীনতার ৪২ বছর পর হলেও সেই সব অপরাধের বিচার আমরা পাচ্ছি এটই হর মূল কথা। তবে সরকার কেনো এবং কিভাবে হাই কোর্টের আগে রাই বলে ফেলে সেটা বোঝতে পারিনা। কয়দিন আগে মিডিয়া গরম করা খবর ছিলো আল্লামা সফি সাহেব এর একটা ওয়াজের ছোট একাটা ভিডিও ক্লিপ নিয়ে, উনি মেয়েদেরকে তেতুলের সথে উপমিত করেছেন। সাধারণ ভাবে কথা বলায় উপমা দেবার স্বাধীনতা আছে সবার, তবে একজন একজন উঁচু স্থরের মানুষ বা সফিসাবের মত একজন আলেম যখন উপমা দেবেন তিনি অবশ্যয় বিতর্কিত ভাষা ব্যবহার করবেনা, কররে সেটা বিতর্ক আসতেই পারে।

তবে আমার খটকা লাগে অন্য যায়গায়। ডাক্তার জাকের নায়েক একবার এক নাস্তিকের ঈশ্বর সম্পকিত প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন ‌‍" আপনার প্রশ্নের উত্তরটা আমি বলছি, আল্লা নাই এই কথার মাধ্যমে আপনি আমার কালিমার অর্ধেকটা মেনে নিয়েছে"। এক শ্রেণির লোক যারা জাকির নায়েক কে পচন্দ করেনা তারা তার বক্তব্যের আগ পাছ কেটে কেবল রাখলেন "আমি বলছি আল্লা নেই" সাথে অন্য একটা লেকচার থেকে "আমি জাকির নায়েক" কথাটা এনে জোড়ে দিলো। দিয়ে প্রচার করতে লাগলো জাকির নায়েক মুরতাদ সে বলেছে আল্লা নাই। ঘটনাটা হয়ে গেলো কাদজল মাখা নুংড়া পরিবেশের মত।

আমার মনে হয় সফিসাবের বক্তব্যকে মিডিয়া এবং সরকার কিছুটা ঘেচাং রেটে কাটছাট করেছে। বিষয় বস্তু বাদ দিয়ে উপমাটাকে উলে ধরেছে। উনি কেন বলেছেন কোন কথার পরিপেক্ষিতে বলেছেন সে সব উয্য। যাক, রাজনিতি কি জিনিষ সফিসহেব ও বোঝে গেছেন। যে আওয়ামিলিগ উনাকে টেনে উপরে তুলেছিলেন সেই আওয়ামীলিগ ই ফেলে দেয়ার জন্য ধাক্কাচ্ছেন।

কতটা কাজ হবে ভবিষ্যতই বলেদেবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো জামাত। মানে তারা বাংলাদেশ চায়নি। সে যুক্তিতে জামাত অবশ্যয় বাঙলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখেনা। হাইকোর্ট জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে, ব্যাস এসে গেলো নতুন ইস্যু।

আবার হরতাল। হরতাল তো হরতাল নয় যেন গাড়ি ভাঙ্গার উৎসব। এক দিকে চলছে এই জামাত ইস্যু, আর অন্যদিকে চলছে চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ফিনিশিং টাচের চর্চা। যুবলিগ ছাত্রলিগ আওয়ামীলিগের বিষফুড়া। তবে এই ফুড়া নিজ গেহ ব্যথায়না ব্যথায় অন্যদের দেহ সুতরাং এরা উপকারী বিষফুড়া।

কিন্তু সাম্প্রতিক কালে তারা নিজকে কামড় দিয়েছে। যুবলিগ নেতা মিল্কীকের মারকেটের সিসি কেমেরার সামনে গুলি করে খুন করেছে আরেক যুবলিগ নেতা। মিডিয়া করেছে ভিডিও টেলিকাষ্ট। পাঞ্চাবি টুপি পড়ে ছদ্দ বেশ ধরেও পাড় পাননি মহান ঘাতক। আচ্ছা সে অন্য ছদ্দ বেশ না ঘরে মওলানার বেশ কেনো ধরেছিলো? আমি বলতে পারবোনা।

তবে অনেকে বলেন, ৫ তারিখের রাতে ছদ্দবেশের সফলতা তাকে অনুপ্রানিত করেছে এই বেশে আক্রমন করতে। দোষটা হেফাজত অথবা জামাতের উপর দিয়ে যাবে। কিন্তু প্রভু উল্টা বুঝলে। এই ঘটনা ধরে আবার চলে এলো সেই পুরোনো ইস্যু, ক্রসফায়ার। এটা যে একটা নাটক সেটা বুঝা যাচ্ছে, তবে বুঝা যাচ্ছেনা কাদেরর বাঁচাতে এই নাটক করা হচ্চে।

এমন ও হতে পারে মিল্কীর ভাই সেনা অফিসার, এখন তাদের পাশে পাওয়া সরকারের প্রয়োজন। তাই মন রক্ষার কবজ হিসাবে ক্রস ফায়ার নামক ট্র্যাজেডিক ড্রামা করতে সরকার বাধ্য হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।