আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“পেজখোলাইজেশন” একটি রোগের নাম, বাংলাদেশে রেড এলার্ট জারি!

জীবন আসলে চিল্লাপাল্লা ছাড়া কিছুই না। সেটাই করতে চাই, মনের সুখে, ইচ্ছা মতন। বাংলা দেশে নতুন একটা রোগের আবির্ভাব হইসে। রোগটার নাম “পেজখোলাইজেশন”। রোগে আক্রান্তদের প্রধান সিমটম হচ্ছে, রাতে, দিনে, সকালে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, ভোরে... মানে সর্বক্ষণ ফেসবুকে পেজ খোলে বেড়ানো।

মনে করুণ পত্রিকায় একটা নিউজ আসলো, “গোলাবি বিবি আজ ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ইসলামাবাদ যাচ্ছেন”। এই নিউজ থেকে অনেক গুলো পেজ ঘণ্টা খানিকের মাঝে তৈরি করে ফেলবেন “পেজখোলাইজেশন” রোগে আক্রান্তরা। বিভিন্ন বর্ণীল নামও তাঁদের কাছে রেডি। যেমন, ১) গোলাবি এখন ট্রেনে। ২) ট্রেন চলেছে রাত দুপুরি, গোলাবি যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ি।

৩) গোলাবি প্রচুর হট রমণী, পিতা তাহার পাকিস্তানি। ৫) গেলমানদের জানেমান, ইসলামাবাদে চলে যান। ৬) শ্বশুর বাড়ি মধুর হাড়ি, ফাকিস্থান আর কতো দেরী। ইত্যাদি... ইত্যাদি...। “পেজখোলাইজেশন” সৃষ্ট সমস্যাবলী: ১) মস্তিষ্ক বিকৃতি।

২) মানসম্মান বোধ হ্রাস পাওয়া (এইটা একদম গুরুতর পর্যায়ের)। ৩) স্বভাবে ভিক্ষুক সত্তার আভির্বাব (রাইতে দিনে লাইক, শেয়ার ভিক্ষা চাওয়া)। ৪) ঘুম হালকা হয়ে যাওয়া (অল টাইম চিন্তা করে খালি, কোন টাইমে একটা পোস্ট দিলে সব থেকে বেশি লাইক পাওয়া যাবে। মানে মানুষ কোন টাইমে বেশি খোশ মেজাজে থাকেন সেটা নিয়ে নিয়মিত গবেষণা। ফলে এলার্মের মত হালকা শব্দ হলে লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠে পরে।

কানে বাজে “বাজান, রাইত ৮ টা বাজে। স্ট্যাটাস দেয়ার টাইম হইসে”। ) ৫) মস্তিষ্ক ছাগ বান্ধব পরিবেশের উৎপত্তি। (কেননা ছাগ বান্ধব পোস্ট গুলা বেশির ভাগ সময় বিতর্কিত হয়। ফলে কমেন্ট, লাইক আর শেয়ারের কাটতি বেশি হয়।

) যেহেতু ইহা একটি মানসিক রোগ, তাই এর প্রভাব গুলও মানসিক। এর ফলে শারীরিক স্বাস্থ্য ভঙ্গ না ঘটলেও সামাজিক জীবন ভেঙ্গে পড়ে। মানুষকে অতিরিক্ত পেইন দেয়ার ফলে সামাজিক ভাবে সে অবহেলার স্বীকার হয়। ধীরে ধীরে সে এক ঘরে এবং হাসির পাত্র হয়ে পড়ে। প্রতিরোধ/প্রতিকারঃ এর সহজ কোনও প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয় নাই, তবে গবেষণা চলছে।

রোগে আক্রান্তদের বিভিন্ন মানসিক সেবা সহায়তা কেন্দ্রে কাওউন্সিলিং করা কয়। প্রজন্ম চত্বর সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে “পেজখোলাইজেশন” নামের একটি বিভাগ খোলার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন রয়েছে। এছাড়াও সারাদেশের সরকারী বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ সমূহের পাঠ্যক্রমে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার আইনটি সংসদে পাশের অপেক্ষায় দিন গুনছে। রোগটি মহামারি আকার ধারণ করার আগেই সুশীল সমাজ দৃষ্টি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.