আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Cyber-cRimE..........

The truth is, everyone is going to hurt you. You just got to find the ones worth suffering for

সভ্যতার শুরু থেকেই মানবজাতি আবিস্কারের চিন্তা ও চেতনায় নিজেদের জ্ঞান কে বিলিয়ে দিয়েছে.একুশ শতকে বিজ্ঞানের সেরা অবদান কম্পিউটার. বিজ্ঞান এর অবদানে ইন্টারনেট এবং সেল ফোন এর সাহায্যে পুরো পৃথিবী কে আমরা পেয়েছি হাতের মুঠোয়.কিন্তু cyber crime এর ভয়ন্কর থাবায় তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের নৈতিকতা বার বার হোচট খেয়ে চলেছে.ইন্টারনেট ,মোবাইল,এবং বিভিন্ন সফ্টওয়ার এর সাহায্যে আইন বহির্ভূত কোনো কাজ করা হলো cyber crime .এই অপরাধ কে কম্পিউটার ক্রাইম এবং হাইটেক ইলেকট্রনিক ক্রাইম বলেও অবিহিত করে থাকেন অনেকে.তথ্যপ্রযুক্তি-টাইকুন বিল গেটস থেকে সুরু করে সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী পর্যন্ত কেউ এই cyber crime এর বাইরে নয়.cyber crime এর মধ্যে রয়েছে ফেসবুকে প্রতারণা,পাসওয়ার্ড চুরি,ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি,পর্ণগ্রাফি ,শিশু পর্ণগ্রাফি,ব্ল্যাকমেইলিং,অনলাইন এ জুয়া,মাদক ব্যবসা,হুন্ডি ব্যবসা,হাকিং-ক্রাকিং,ওয়েব জান্কিং মেইল.ফিনিশ ফার্মিং,স্পামিং ভাইরাস স্প্রেডিং ইত্যাদি.অবৈধভাবে ফোন কোডে ভেঙ্গে ফোন ফ্রিকিং এর মাধ্যমে ষাটের দশক থেকে শুরু হয় cyber crime এর.অপরাধমূলক এইসব কাজমানবসমাজের নৈতিকতা কে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে.সাধারনত 10 থেকে 18 বছর বয়সের ছেলে -মেয়েরা কোনো কিছু না বুঝে নিষিদ্ধ বিসয়ে জড়িয়ে পরে ,পরবর্তীকালে তারাই cyber crime এ জড়িয়ে পরে.হ্যাকার বা ক্রেকার গোস্ঠী দলগতভাবে কোনো ওয়েব এ হানা দিয়ে অপরাধ সংগঠিত করে . উদাহরণসরূপ :-উইকিলিকসের জনক জুলিয়ান আ্যাসাঞ্জ গ্রেফতার হবার পর বেনামী এক হ্যাকার গোস্ঠী যুক্তরাষ্টের বেস কয়েকটি সরকারী ওয়েব সহ পেপাল ও আমাজন এর মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাইট অচল করে দিয়েছে.ইন্টারনেট এর মাধমে বিভিন্ন ধরনের cyber crime ঘটে. *ভাইরাস:-কম্পিউটার ইউজারদের সবচেয়ে বড় শত্রু ভাইরাস.ভাইরাস অদৃশ্য থেকে সয়ন্ক্রীয়ভাবে কম্পিউটার থেকে ডাটা নষ্ট করে..ইন্টারনেট,পেনড্রাইভ ফ্লপি বা এক্সটারনাল ডিভাইস থেকে এসব ভাইরাস কম্পিউটার এ স্থান করে নেয়. *ওয়ার্ম:-ভাইরাস আর ওয়ার্ম প্রায় একই ধরনের হলেও এটি একটু বেসি ভয়াবহ.লোকাল বা ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক থেকে দ্রুত এটি পিসি তে চড়িয়ে পরে ফাইল বা ডাটা গায়েব করে দেয়. *স্পাইওয়ার:-কম্পিউটার ক্রাইম এর আরেক আতঙ্ক হচ্ছে স্পাইওয়ার.এর প্রধান উত্স ভুয়া ওয়েবসাইট.প্রতিনিয়ত ব্যবহারকৃত ব্রাউজার এর মত মাঝে মাঝে একই ধরনের ব্রাউজার এসে করা নাড়বে.ভুল করে একবার ব্রাউজ করলেই ব্যাংকের গোপন কোড ,বিভিন্ন পাসওয়ার্ড মেইল অ্যাড্রেস এবং ব্যক্তিগত ইন্ফরমেশন চুরি করে স্বর্বনাশ করে দেয়. *ফিশিং:- হ্যাকার রা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নকল করে মেইল পাঠিয়ে দিয়ে ব্রাউজ করার অনুরোধ করে। ইউজারদের বোকা বানিয়ে টাকা সংগ্রহ এবং তথ্য সংগ্রহ এদের মূল উদ্দেশ্য. *পর্ণসাইট:- cyber crime বিষেষজ্ঞদের মতে সবচেয়ে বেশি ক্রাইম সংগঠিত হয় পর্ণসাইট এ. ২011 সালে প্রকাশিত 2010 সালের নর্টন cyber crime রিপর্টে দেখা যায় দুই তৃ্তীয়াংশ এডাল্ট ওয়েব ব্যবহারকারীরা নানা ভাবে cyber crime এর সাথে জড়িত. এসব cyber crime প্রতিরোধের জন্য দেশ বিদেশে প্রচলন করা হয়েছে বিভিন্ন আইন এবং নীতিমালার.cyber crime প্রতিরোধে 1997 সালের 11 এ ডিসেম্বর,চিনের পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো 'কম্পিউটার ইন্ফরমেশন নেটওয়ার্ক অ্যানড ইন্টারনেট সিকিউরিটি ও প্রটেকশন ম্যানেজমেন্ট নামে দুই টি আইন পাস করে. যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম cyber আইন চালু হয় 1986 সালে,এই আইন এর নাম কম্পিউটার ফ্রড অ্যান্ড এ্যাবইউজ এ্যাক্ট 1986,এ আইনের আওতায় 1888 সালে রবার্ট মরিস নামে একজন হ্যাকার কে সরকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার কোড ভান্গার কারণে 3 বছরের কারাদন্ড ও দশ হাজার ডলার জরিমানা ও করা হয়.এছাড়া দ্যা ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট এক্ট:1998,দিলিতিং অনলিইন প্রিডেন্টরস এ্যাক্ট 2006,ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোটেকশন এন্ড কম্পিউটার ইন্টুইশন প্রোগ্রাম 1998,চিল্ড্রেনস অনলাইন এর শিকার যে কেউ 999 এ ফোন করে তার অভিযোগ জানাতে পারে.প্রতিবেশী দেশ ভারত cyber crime রোধে ইন্ফর্মেশন টেকনোলোজি এ্যাক্ট নামে প্রথম আইন প্রনয়ন করে 2000 সালে.cyber crime ঠেকাতে ভারতের ভার্চুয়াল পুলিশ কাজ করছে ভারত সরকারের সবচেয়ে দক্ষ cyber টিম কাজ করে মুম্বাই cyber ল্যাব এর অধীনে. বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি কে এগিয়ে নিতে 2002 সালে সরকার জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা 2002 প্রনয়ন করে এবং প্রনীত হয় তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আইসিটি এ্যাক্ট-2006..।2009 এ তা সংশোধিত হয়.এছাড়া 2010 সালে পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন 2010 এ খসড়া প্রনয়ন করা হয়.বাংলাদেশে প্রায় 70 লাখ মানুষ কম্পিউটার ইউজ করেন এবং এদের মধ্যে প্রায় 5 লাখ মানুষ ই ইন্টারনেট ইউজ করে থাকেন.ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী,বিরোধীদলীয় নেত্রী ,মন্ত্রী,সরকারী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওয়েব সাইট গুলা হ্যাক করা হয়েছে.তথ্যপ্প্রজুক্তিতে এগিয়ে থাকা অন্যান্য দেশের চাইতে আমাদের দেশের সেবার ক্রায়ম্গুলা একটু ভিন্ন জাতের.আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেসি ঝুকির মধ্যে রয়েছে শিশু ও নারীরা. a recent case: ঢাকার নামকরা একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী [নাম অনুল্লেক্ষ].বরিশাল থেকে আসা মেয়েটি ফার্মগেট ছাত্রী হোস্টেলে থাকে.স্কুল কলেজ এর সাংস্কৃ্তিক অনুষ্ঠানগুলোতে বরাবর ই প্রথম হত.ঢাকায় এসে মিডিয়া তে কাজ করার প্রবল ইচ্ছা জন্মে .একদিন মাগাজিন এ এ্যাড ফার্ম এ ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন দেখে ফোন করে বিস্তারিত জেনে নেয়.ফোনের কথোপথনের দুইদিন পর নয়াপলটনের বিজ্ঞাপন অফিসে যায় এবং তাকে সাবানের এ্যাড এর জন্য সিলেক্ট করা হয়.দুইদিন পর ইরা [কাল্পনিক নাম] ফটোসেশনের জন্য বিজ্ঞাপন অফিসে যায় এবং তার মত আরো কিছু মেয়ে কে ও সেখানে দেখা যায়.ঘটনার 3 দিনের মাথায় এ্যাড ফার্ম ইরা কে ফোন করে 50 হাজার টাকা নিয়ে দেখা করেতে বলে .টাকা নিয়ে না দেখা করলে তার ছবিগুলো সুপার ইম্পস্ড করে পর্ণ সাইটে পোস্ট করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়.ইরা এর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে.সে কারো সাথে বিসয়টি শেয়ার করতে পারছিল না. অগত্তা বাধ্য হয়ে ইরা প্রবাসী বড় ভাইয়ের দিয়া চেইন এবং কানের দুল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়.রুম মেটর মায়ের কাছে 38.000 হাজার টাকায় গয়না বিক্রি করে টিউশন ফী দিবে বলে. টাকা দেবার বদলে ম্যানজার ইরা কে তার সব ছবি ফেরত দেয় .সফট ছবি ফেরত চাইলে তাকে বুঝানো হয় সেগুলা কম্পিউটার থেকে মুছে গেছে.কিছুদিন পর আবার ম্যানাজার ইরা কে ফোন করে বলে তার কু প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে ফাসিয়ে দিয়া হবে.এই ঘটনার পর ইরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরে.সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়.ইরার ফোন বন্ধ পেয়ে বরিশাল থেকে ছুটে আসেন বাবা ও বড় ভাই.অসুস্থ ইরা বড় ভাই কে সব খুলে বলে. বড় ভাই পরিচিত মানবাধিকার কর্মী ও পুলিশ নিয়ে এ্যাড ফারম এর ম্যানজার কে গ্রেফতার করে এবং সফট কপিগুলো উদ্ধার করে.এভাবে একজন ইরা অভিভাবকের বুদ্ধিমত্তার কারণে মানসম্মান বাঁচাতে পেরেছে .কিন্তু এমন শত শত ইরা না বুঝে cyber crime এ জড়িয়ে পরে অন্ধকারে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে.হোসেইন[২০১১] আইসিটি একট 2006 এর অধীনে প্রথম মামলা 30 নভেম্বর 2010.ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতির প্রথম শ্রেনীর একজন ছাত্রীর সাথে ভর্তি সুত্রে পরিচয় হয় তার.ঘটনা প্রেক্ষিতে সঞ্জয় মেয়েটিকে একটি দৈনিক প্রকাশনায় চাকরি এর ব্যবস্থা করে দেয়.পরে সুযোগ বুঝে মেয়ে টিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ,মেয়েটি বার বার তা প্রত্যাক্খান করে . পরে মেয়েটি শিকার হয় Cyber-cRimE এর.দুই বন্ধু মিলে মেয়েরিকে ফাঁসিয়ে দেয় .টাকা চেয়ে হুমকি দেয় এবং মেয়েটির বিয়ে ও ভেঙ্গে দেয়. সাহসী মেয়ে 30 এ নভেম্বর 2010 সালে মামলা ঠুকে দেয় .অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইটিসি এক্ট 2006 এর 57 এবং 66 ধারায় মামলা হয়েছে.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।