আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধন্যবাদ,মাননীয় আপোষহীন বিরোধী দলিয়-নেত্রী!(রাজাকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায়।)

। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অকপটে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় আপনার অবস্থান পরিস্কার করার জন্য। আজ থেকে আমাদের অভিধানে গণহত্যা এবং ফ্যাসিবাদের নতুন সংজ্ঙা সংযুক্ত করা হলো।

ভালো লাগলো আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে এইবার অন্তত বলেননি আপনিও যুদ্ধাপরাধের বিচার চান। কিংবা স্বচ্ছ আতশ কাচের মত বিচার আপনার কাম্য। কিন্তু,যদি,এবং,তবে থেকে বেরিয়ে এসে প্রথমবারের মত আপনার অবস্থান সত্যিকার অর্থেই স্বচ্ছ করেছেন। মনে হয় যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে এই স্বচ্ছতাই দাবি করে আসছেন। আমরাও আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম" হ্যা অথবা না" কিন্তু,যদি,এবং,তবে শুনতে শুনতে আমরা একটু দ্বিধা-দ্বন্ধে ছিলাম।

যেখানে গো.আজম,নিজামি,মুজাহিদ,কামরুজ্ঝামান,সাকা,কাদের মোল্লাকে দিয়ে শুরু না করে মোশারফ হোসেনের পিতা কিংবা নুরু মাওলানাকে দিয়ে বিচার শুরু করলে মনে হয় বিচার স্বচ্ছ হতো। কারন আপনার পুরো রাজনিতিটাই হোচ্ছে রাঘব-বোয়ালদের রক্ষা করার রাজনিতি। চুনো পুটিরা হবে আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার দাবার গুটি। তাইতো ২১শে আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার তুচ্ছ। যেমন তুচ্ছ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা।

এমনকি জিয়া হত্যার বিচারও আপনাদের কাছে গৌণ, ক্ষমতার রাজনিতির কাছে। সাবাশ, সব কুটিল ষড়যন্ত্র যখন ব্যার্থ। তখন ধর্ম নিয়ে রাজনিতি করার খেলায় আরো একধাপ এগিয়ে গেলো বিএনপি। যা শুরু হয়েছিলো জিয়ার বিসমিল্লাহ দিয়ে। যে ধর্ম পালনের কোন লক্ষণই দেখা যায় না দেশনেত্রীর চাল চলনে অথবা আচার ব্যাবহারে সেই ধর্মের জন্য কি মায়া কান্না।

ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নাকি মুখোমুখি। এইসব বক ধার্মিকদের কথা মাথায় রেখেই মনে হয় আমাদের মহানবী বলেছিলেন যা নিজে পালন করোনা তা অন্যকে বলার কোন অধিকার তোমার নেই। উনি কোন এক বালকের অতিরিক্ত মিস্টি খাওয়া কমাতে গিয়ে ,প্রথমে নিজের উপর প্রয়োগ করে তারপর উপদেশ দিয়েছিলেন কি করতে হবে। আপনার দলের সব দাবি শাহাবাগের মঞ্চ থেকে জানানোর দাবি জানাবেন কিন্তু শাহাবাগের দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে আপনার খুবই কস্ট। তাই প্রধানমন্ত্রী নব প্রজন্মের দাবীর সাথে সহমত প্রকাশ করায় তা বিচারে হস্তক্ষেপের সামিল।

কি বিচিত্র যুক্তি। দেশের সরকার প্রধান যদি জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান এতে-তো প্রতিটি নাগরিকের খুশি হওয়ার কথা। সরকার গণদাবীর কাছে মাথা নত করেছে এই কথা ভেবে। মানুষ তার দাবী জানায় কেনো !নিশ্চই তা বাস্তবায়নের জন্য। নাকি তা নিয়ে কু-রাজনিতি করার জন্য।

একেই বোধহয় বলা যায় চোরের মায়ের বড় গলা। সরকারের পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছেন উনি সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার মধ্যে। আশা করি অন্য ধর্মের সকল মানুষ তার এই বক্তব্যের মধ্যে সঠিক মেসেজটি পেয়ে গেছেন। আসুন আমরা যুদ্ধাপরাধের কথা ভুলে গিয়ে তাদেরকে ভালোবেসে দেশে পাকিস্তানি গণতন্ত্র চালু করে তালেবানি শাসন কায়েম করি। কি সুন্দর আহ্বান দেশবাসীর প্রতি।

সাপের সাথে বসবাস করার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকুক। গণতান্ত্রীক শাসন ব্যাবস্থায় সরকারের ব্যার্থতা,দুর্ণিতি,অপশাসন সব ভুল গুলো জগণের সামনে তুলে ধরাই বিরোধী দলের দায়িত্ব । আপনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় জনগন রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কিন্তু আপনি যে উদ্দেশ্যে আহ্বান করেছেন সেটি একটি অশুভ শক্তিকে সমর্থনের জন্য। আর বিরোধী দলিয় নেত্রী হিসেবে সরকার আপনার প্রতিপক্ষ হোলেও শাহাবাগকে উদ্দেশ্য করে সন্দেহাতিত বা কাল্পনিক নেতিবাচক মন্তব্য না করাই ভালো।

শাহাবাগের আর্তনাদ গুলশানে না পৌছালেও সারা বাংলাদেশে পৌছেছে। যেমন ৯২ সালে জাহানারা ইমামের ডাকে সবার ঘুম ভাঙলেও আপনার ঘুম ভাঙ্গেনি। যাই হোক আপনি শুভ চিন্তা না করে ,অশুভ শক্তি এবং পথকেই বেছে নিয়েছেন। এখন দেখা যাক জনগণ আপনার ডাকে সারা দিবে কিনা তা জনগণই ভেবে দেখবে। আমি মনে করি শাহাবাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অর্থ হোচ্ছে পুরো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।

আপনি হায়েনাদের কালো দুষিত রক্ত দেখে ভুলে গেছেন আমার ভাই-বোনের লাল রঙের রক্তের কথা। বাংলার মানুষ কিন্তু ভুলে যায়নি হায়েনা ,নরপিশাচদের নৃশংসতা। আমরা কোনদিন ভুলে যেতে চাইনা এবং পারবোও না। কি করে ভুলবো ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ ঘুমিয়ে আছে বাংলা মায়ের বুকে। কি করে ভুলি ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের ব্যাথা।

আল্লাহ আমাদের শক্তি দিন অপশক্তিকে মোকাবেলা করার। । জয় বাংলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।