আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তেল আর হজম হচ্ছে না, এখন থেকে ঘি খাবো। সব বিরোধীদলের দোষ।

রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই

এই পোস্টটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের জন্য, যারা প্রতিদিন বাজারে গিয়ে ধান্ধায় পড়েন, কিভাবে কেমনে মাস চালাবেন, তাদেরকে উৎসর্গ করা। বাসায় তেল ছিলো না, গেলাম বাজারে, রূপচাঁদাটাই ব্যবহার করা হয় বাসায়। গতবার কিনেছিলাম ৪৯৪ টাকা দিয়ে, ৫ লিটার। আজ দেখি অনেক দোকানে রূপচাঁদা নাই, যাদের আছে, তারা কেউ বলে ৫৮০, কেউ ৫৭০। অনেক খোঁজাখুজি করে একদোকানে কমে পেলাম ।

৫৬০ টাকা। কি আর করা, বললাম, দেন ৫ লিটার। তেলের ক্যান নেওয়ার পর দেখলাম ৫ লিটারের প্যাকের গায়ে দাম লিখা আছে ৫১০ টাকা। কোম্পানী এই দামের কমেই পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে, কিন্তু পাইকাররা কালোবাজারী করছে তেলের দাম নিয়ে। দোকানী আমার থেকে ৫০ টাকা বেশি চাচ্ছে।

এর কমে দিবে না। কারণ, তার নাকি বেশি দামে কিনা, তাই কমে বিক্রি করবে না। শেষে মেজাজ এমনই খারাপ হলো, তেল না কিনেই চলে আসলাম, পরে বাসার নিচের দোকান থেকে ১ লিটার তেল কিনলাম ১১০টাকা দিয়ে। তাও প্যাকের গায়ে লিখা দামের থেকে ৬টাকা বেশি দিয়ে। এইসব কি মোবাইল কোর্টের চোখে পড়ে না? হিসাব করে দেখলাম, ১ লিটার করে ৫টা ক্যান কিনলে পড়ে ৫৫০ টাকা, তাও ৫লিটার প্যাকের থেকে দামে কম পড়ে।

এটা নিশ্চয়ই কালোবাজারী। মাঝে কিছুদিন চিনির দাম কমে ৫০ টাকায় এসেছিল, এখন আবার ৬০টাকা। ময়দা ৮০ টাকা। ময়দার দাম বেড়ে যাওয়াতে পাউরুটি কিংবা হোটেলে পরটার দামও বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগেও যে পাউরুটি ২৮ টাকায় কিনতাম, গতকাল কিনলাম সেটা ৩৫টাকায়।

নাজিরশাইল, মিনিকেট ৫২-৫৭টাকা। সরকারের নেতারা, মন্ত্রীরা বলবেন, এটা ষড়যন্ত্র, বিরোধীদলের নেতারা কালোবাজারী করছে। তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, সরকার কি বসে বসে আঙুল চুষে? সরকারের কাজটা কি? বাজার মনিটরিং কি শুধু রমজান মাসে? বাকি সময়টাতে মানুষ কি না খেয়ে থাকে? বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ, যদি তেলের দাম কমাতে না পারেন, তাহলে অন্তত ঘি এর দামটা কমাইয়া দেন, তেল এখন আর হজম করতে পারছি না। বাণিজ্যমন্ত্রী একের পর এক আশ্বাস, সংবাদ সম্মেলন করে গেলেন, কিন্তু গত ২ বছরে বাণিজ্য মন্ত্রী কোন কাজটা করে সফল হলেন, সেটা কেউ কি বলতে পারেন? ব্যর্থমন্ত্রীদের জন্যই আওয়ামীলিগের ভরাডুবি হবে একসময়। পেটে যদি ভাত না থাকে, ঠিক মত খেতে না পারি, তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ আর ভিশন ২০২১ শুধুমাত্র সভা-সেমিনার, পাঠ্যপুস্তক আর নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।