আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেড সী বা মৃত সাগরের রহস্য

SHADOW OF LOVE

জর্ডানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগর পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে লবনাক্ত জলাশয় গুলোর মধ্যে একটি। সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি লেক যার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,২৪০ ফুট। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থে সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার। এবার চলুন ডেড সী এর রহস্য সম্পর্কে আরও কিছু জানা যাক। ডেড সী বা মৃত সাগর কে মৃত বলা হয় কেন? কারন এ সাগরে কোন মাছ বা জলজ প্রানি বাঁচে না।

কেবল কিছু ব্যক্টরিয়া ও ছত্রাক জাতীয় অনুজীব পাওয়া যায়। এ জন্যই একে মৃত সাগর বলে। এতে কোন মাছ নেই বলে এর উপর দিয়ে কোন পাখিও উড়ে না। ডেড সী বা মৃত সাগরে কোন মানুষ ডুবে যায় না কেন? সবাই জানে ডেড সী বা মৃত সাগরে কোন মানুষ ডুবে যায় না। কারন কি তা জানেন? কারন হল মৃত সাগরে পানির ঘনত্ত্ব খুব বেশি।

পানির ঘনত্ত্ব বেশির কারন হচ্ছে লবন। অন্যান্য মহা সাগরে লবনের পরিমান শতকরা ৫% – ৬%। কিন্তু এ মৃত সাগরে লবনের পরিমান ২৫% – ৩০%। তাছাড়া এর লবনাক্ততা স্বাভাবিক সাগরের থেকে ৮.৬ গুন বেশি। লবনের কারনে এখানে অনেক সাগরের ঢেঁউয়ে অনেক ফেনা জন্মে, এবং তীরে অনেক লবন জন্মে।

তাছাড়া অন্যান্য সাগরের রাসায়নিক উপাদানের থেকে এ সাগরের রাসায়নিক উপাদানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আর পানির এ ঘনত্ত্বের কারনে এখানে প্লবতা বেড়ে যায়। প্লবতা আবার কি তাই না? প্লবতা বা buoyancy হচ্ছে, কোন তরল পদার্থে অন্য কোন পদার্থ নিমজ্জিত (ঢুবালে) করলে উপরের দিকে এক প্রকার বল প্রয়োগ করে এবং ঐ পদার্থের ওজনকে বাধা দেয়, এই বাধা দান কারী বল ই হচ্ছে প্লবতা। প্লবতার কারনে কোন বস্তু মৃত সাগরে ফেললে তা ভাসিয়ে রাখে। তাই মানুষ এ মৃত সাগরে বসে বা শুয়ে থাকতে পারে।

ধন্যবাদ সবাইকে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।