মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
ভদ্র লোক শব্দটার প্রচলন ঠিক কত শতাব্দী থেকে শুরু হয় তা নিয়ে বিস্তর গবেশনা করে কেউ যদি বের করতে পারে, তাহলে নিশ্চত বলা যায় শব্দ বিষয়ে নোবেল দেয়ার প্রচলন চালু হবে। যাই হোক ফিরে আসি মূল বিষয়ে।
চা দোকানে বসে নিপাট ভদ্র লোক চায়ের কাপে চুমুক দিলেন, ধূমায়িত চায়ের সাথে সমান তালে গন্ধ আসছে দামী সিগারেটের। পাশে দাঁড়িয়ে ভদ্র লোককে গভীর মনযোগে দেখছে এলাকার মজনু পাগলা।
ভদ্র লোক কিছুটা অসস্থি নিয়ে বলেলন কিরে পাগলা চা খাবি? মাথা নেড়ে সায় দিয়ে পাগলা বসে পড়লো ভদ্র লোকের পাশে। ভদ্র লোক পাগলার সাথে আলাপের সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চাইলেন না। বলেলন আচ্ছা পাগলা তোরে কয়টা কথা জিজ্ঞাস করি? মাথা নেড়ে সায় দিয়ে পাগলা শব্দ করে চায়ে চুমুক দিল।
ভদ্র লোকঃ আচ্ছা পাগলা বলতো দেশের সকল শিক্ষিত ও জ্ঞানী লোকের বসাবস কোথায়?
পাগলাঃ ধুর বেডা বেক্কেল এইডার মতন সহজ কথা আছে নি, শক্ত কিছু ক। হের পরেও কইতাছি হুন, দেশের বেবাক শিক্ষিত ও জ্ঞানী মাইনসের বসাবস হইল ফেসবুক আর ব্লগে।
ভদ্র লোকঃ এইটা কিভাবে? একটু বুঝিয়ে বল।
পাগলাঃ ধুর বেডা বেক্কেল এইডার মতন সহজ কথাডাও বুঝলি না। ভালা কইরা চাইয়া দেখ, তোরার এক ডজন ডিগ্রিওয়ালা প্রানমন্ত্রী হোক আর এইট পাশ নেত্রীই হোক যেই বেডিই কোন একখান কথা কয় হেইডারে লইয়া তোরা যেমতে হগতে মিললা কপচানী শুরু করোস এই দুইহানে, তারমাইনে তোরার হগল শিক্ষিত ও জ্ঞানী মাইনসের বসাবস হইল ফেসবুক আর ব্লগে।
ভদ্র লোকঃ তা না হয় বুঝলাম, কিন্তু তুই কি মনে করিস না, এই যে ফেসবুক আর ব্লগে নেতা-নেত্রীদের সমালোচনা করা হয়, তাদের ভুল-ত্রুটি নিয়ে কথা হয় এইটা দেশ প্ররিচালনার ক্ষেত্রে কাজে আসে?
পাগলাঃ ধুর, তোরে মনে করছি অল্প বেক্কেল, এহন দেহি তুই পুরাই বেক্কেল। তুইতো ভোট দিছিলি দেখছিলাম।
এহন তুই ক, তুই যারে ভোট দিছিলি তার আকামের কথা যহন কেও লেহে তুই তারে কি ছাইড়া দেস? ছাড়োস না। তুই তারে তোরার ভাষায় গদাম মারস। তাইলে ক দেহি তোর দলের ভুল লইয়া লেখলে যেইহানে তোরমত ছাগের ছাও ছাইড়া কতা কয় না তোর দলের নেতারা কি করবার পারে।
ভদ্র লোকঃ আচ্ছা পাগলা বলতো ফেসবুক আর ব্লগে কি ভাবে জনপ্রিয় হওয়া যায়?
পাগলাঃ এইডাতো পানির লাহান সোজা।
ভদ্র লোকঃ কি ভাবে?
পাগলাঃ ক্যান জনপ্রিয় হইবার চাস নাকি? তাইলে নীলক্ষেত যা, রসময়গুপ্ত কিন্না পড়া শুরু কর।
ভদ্র লোকঃ ফেসবুক আর ব্লগে জনপ্রিয় হওয়া জন্য রসময়গুপ্ত পড়তে হবে কেন?
পাগলাঃ আরে বেডা বেক্কেল, ফেসবুক আর ব্লগে যহন তোর বিপক্ষ পার্টি কিছু লেখবো তারে ডাইরেক রসময়গুপ্তের ভাষায় বয়ান দেওন শুরু করবি, দেখবি তোর দলের মাইনসে তোরে কান্দে তুললা নাচবো। তুই জনপ্রিয়, তুই ঘুমাইতে যাস এমন লেহায়ও হাজার হাজার লাইক কেমন্ট পাইবি।
ভদ্র লোকঃ তুই এত কিছু জানস কিন্তু তোকে পাগল বলে কারা?
পাগলাঃ ক্যান তোর লাহান ভদ্র মাইনেস।
কথপোকথনের মাঝে কেউ একজন পাগলকে মন্ত্রী বলে ডাক দেয়ায় পাগল নিজের সন্মান রক্ষা করতে স্থান ত্যাগ করায়, জনৈক পাগলা ও ভদ্র লোকের আলাপচারিতার সমাপ্তি ঘটে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।