আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরম বন্ধু মুবারকের জন্য উদ্বিগ্ন ইসরায়েলে

কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর

'পরীক্ষিত বন্ধু' হোসনি মুবারকের মসনদ হুমকির মুখে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটির আশঙ্কা, মুবারকের পতন হলে ইসলামপন্থী কোনো দল মিসরের ক্ষমতা নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে মারাত্মক নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেই এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম ছিল মিসর।

১৯৭৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে তিনটি বড় যুদ্ধে জড়ায় দেশটি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৯৭৯ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর দেশ দুটির সম্পর্ক পুরো বদলে যায়। ওই চুক্তি ছিল ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের প্রথম সমঝোতা। ফলে আরব দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র হয়ে ওঠে মিসর। মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ওই চুক্তি স্বাক্ষর করলেও ১৯৮১ সালে ক্ষমতা নেওয়া মুবারকই ইসরায়েলের বড় বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

মিসরের সঙ্গে ১৩০ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে নিশ্চিন্ত হয় ইসরায়েল। সেই পরম বন্ধু মুবারকের পদত্যাগের দাবিতে গণ-আন্দোলন শুরু হওয়াতেই নেতানিয়াহু উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো মিসরের আন্দোলনকারীদের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় এ উদ্বেগ বেড়েছে। ইসরায়েল ইতিমধ্যেই মুবারকের পক্ষ নেওয়ার জন্য পশ্চিমাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা খুবই উদ্বেগ ও সতর্কতার সঙ্গে মিসরের ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করছি।

প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর সর্বশেষ তথ্য জানানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ' তিনি বলেন, 'আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, মিসরের সঙ্গে শান্তি অব্যাহত রাখা। আমরা কেউই সেই কঠিন দিনগুলোতে ফিরতে চাই না। আশা করছি, খুব দ্রুত মিসরে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। ' মিসরে ইসলামপন্থীদের উত্থানের আশঙ্কা ব্যক্ত করে নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা ভয় পাচ্ছি, দেশটিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুযোগে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতা দখল করতে পারে।

এটা ঠিক যে, ইসলামপন্থীদের কারণে এ আন্দোলন হচ্ছে না। কিন্তু মুবারকের পতন হলে তারা রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের সুযোগটিকে কাজে লাগাতে পারে। অতীতে ইরান এবং আরো কয়েকটি দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে। ' ইসরায়েলি কূটনীতিকরা বলছেন, নেতানিয়াহু স্পষ্টতই মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিয়ে শঙ্কিত। বর্তমানে নিষিদ্ধ এ ইসলামপন্থী দলটি মিসরের সবচেয়ে সুসংগঠিত বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃত।

দলটি চলমান মুবারকবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভের মুখে শাহ দেশ ছেড়ে পালালে ক্ষমতার শূন্যতা পূরণ করেন নির্বাসন থেকে দেশে ফেরা আধ্যাত্বিক নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি। বর্তমানে ইরানকে সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে ইসরায়েল। সূত্র: বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক/বাংলা এক্সপ্রেস



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।