আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেন্ডুলকারের আয় দিনে দেড় কোটি!



এদিকে ৯ আর ২০; ওদিকে ১২ নয়তো ১৩। কী? এ বছর প্রথম ২৭ দিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা শচীন টেন্ডুলকারের চুক্তির অঙ্ক। প্রতিটির সঙ্গে ‘কোটি’ বসিয়ে যোগ করুন। প্রায় ৪০ কোটি! প্রথম ২৭ দিনে এরই মধ্যে ৪০ কোটি রুপির চুক্তি সেরে ফেলেছেন টেন্ডুলকার। ভারতীয় এক দৈনিক তাই হিসাবটা দিচ্ছে এভাবে, এ বছর প্রতিদিন গড়ে টেন্ডুলকার আয় করেছেন দেড় কোটি রুপি! ভারতীয় লিটল মাস্টার বড় বড় সব চুক্তি সেরে ফেলেছেন কয়েক দিনের ব্যবধানে।

কোকাকোলার সঙ্গে তিন বছর মেয়াদি চুক্তি করেছেন পেপসির সাবেক পণ্যদূত। সেই অঙ্কটাও ২০ কোটি রুপির। কয়েক দিনের মধ্যে টেন্ডুলকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান অমিত এন্টারপ্রাইজ (৯ কোটি), পোশাক প্রস্তুতকারক এসকেএনএলের (১২-১৩ কোটি) সঙ্গে। এর মধ্যে পুনেভিত্তিক রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান অমিত এন্টারপ্রাইজ তাঁকে দুটি বিলাসবহুল বাড়িও দিচ্ছে। প্রতিটির বাজারদর আড়াই কোটি রুপি।

‘আসলে পুনের বাইরে আমাদের সে রকম পরিচিতি নেই। শচীনকে এ কারণেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে। আশা করছি, মুম্বাই ও নাসিকে আমাদের প্রকল্পগুলো শুরু করতে এটি সহায়ক হবে’—বলেছেন অমিত এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান কিশোর পাটে। পোশাক প্রস্তুতকারক এসকেএনএলের পণ্যদূত হিসেবে এরই মধ্যে কাজ করছেন ভারতের বড় দুই তারকা অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খান। এবার টেন্ডুলকারকে দিয়ে সুলভ একটা ব্র্যান্ড বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে এসকেএনএল।

কোকাকোলার ‘হ্যাপিনেস অ্যাম্বাসেডর’ও হয়েছেন টেস্ট-ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান-সেঞ্চুরির মালিক। কোকাকোলার হয়ে বিশ্বকাপের আগে-পরে ব্যাপক প্রচারণা চালাবেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি এ ক্ষেত্রে হয়ে যাবে তাঁর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। ধোনি যে পেপসির দূত। সব মিলে টেন্ডুলকার ১৭টি পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করছেন।

বিশ্বকাপের মৌসুমে আরও কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর আকাশছোঁয়া চুক্তির খবরের জন্য তৈরি থাকুন। যদিও এসকেএনএলের পরিচালক অশেষ আমিন দাবি করছেন, ‘এই চুক্তির সঙ্গে বিশ্বকাপ মিলে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ’ সে যা-ই হোক, টেন্ডুলকারের আয়ের এই ‘স্ট্রাইক রেট’ দেখার পর ভারতীয় একটি পত্রিকা মন্তব্য করেছে, এমন গড়-স্ট্রাইক রেট বিশ্বকাপেও যেন থাকে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।