আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাত শিবির নিধনে আমাদের গাছের আগার দিকে নয়, গোঁড়ার দিকে নজর দিতে হবে বেশী...।।

নিতান্তই একজন জুনিয়র ব্লগার। সাইদির ফাঁসীর রায় নিয়া গত ২/১ দিনের সহিংসতায় জামাত শিবিরের ৭০/৮০ জনের মতো পোলাপান নিহত হইছে...। । অথচ সাইদির এখনও পর্যন্ত কিন্তু কিছুই হয় নাই...। ।

কতটুকু ব্রেন ওয়াস হইলে মানুষ এভাবে (ইসলামের জন্য না)একজন ব্যাক্তির জন্য নিজের জীবন দিতে পারে...?? একটু দৃষ্টি দেই তাদের ব্রেন ওয়াশের ২/১ টা উৎসের দিকে, যেগুলা হয়তো এখনো আমাদের অনেকের দৃষ্টিগোচর হয় নাই...। । ১ম উৎস, আলিয়া মাদ্রাসা...। । (আশা করি এইটা সবাই জানেন) মাদ্রাসা ২ ধরনের আছে, একটা হল আলিয়া(জামাত) আর অপরটি কওমি(সাধারণ হাফেজ-আলেমগন/দেওবন্দের অনুসারী)...।

। আলিয়া মাদ্রাসা গুলা থেকে ৮০% ছাত্র পাস করে বের হয় জামাত শিবিরের কর্মী হয়ে...। । তাঁর অনেক কারন আছে, তাঁর মধ্যে অন্যতম কারন হল ধার্মিক গরীব কিন্তু মেধাবী স্টুডেন্ট গুলাকে তারা লেখাপড়া, ক্ষমতা, চাকুরী, টাকা-পয়সা জাতীয় সুযোগ সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি ধর্মের দোহাই দেয়...। ।

যার ফলে অনেকই ধার্মিকতার কারনেই হোক আর সুযোগ সুবিধার কারনেই হোক পরবর্তীতে ইচ্ছে করেই এই আদর্শ থেকে বের হয়ে আসতে চায় না...। । বা অনেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও তাদের বেরিয়ে আসতে দেয়া হয় না। আর আলিয়া মাদ্রাসা গুলা থেকে ব্রেনওয়াস বেশী হওয়ার কারন হল, দেশের ৯৫% আলিয়া মাদ্রাসা গুলা জামাতিদের দারা নিয়ন্ত্রিত...। ।

এবং ক্লাস থ্রি/ফোরে থাকতেই তাদের ব্রেনওয়াস শুরু করা হয়, এবং দাখিল(SSC), আলিম(HSC) পাস করতে করতে তারা পরিপূর্ণ ব্রেনওয়াশড হয়ে যায়...। । আর কওমি যারা,তাদের সাথে পোশাকে আশাকে জামাতের অনেক মিল থাকলেও, আদর্শের দিকে তারা দুই মেরুর...। । অনেকেই জানেন যে, বহু কওমি মাদ্রাসার আলেম ৭১এ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন...।

। ২য় উৎসঃ বাংলাদেশের স্কুল/সরকারি মসজিদ গুলা। মুসলিম দেশের নাগরিক হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমরা সবাই মসজিদের ইমামদের ভক্তি করি, সন্মান করি, তাদের কথাকে বিশ্বাস করি...। । তাদের পক্ষে সাধারণদের কোনও দলের প্রতি ডাইভার্ট করা অনেক সহজ।

একটা সময় ছিল, বাংলাদেশের সরকারী মসজিদ গুলাতে কওমির আলেমরা কওমি মাদ্রাসার সার্টিফিকেট দিয়ে ইমামতির চাকুরী পেত...। । কিন্তু, গতবার জোট ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে জামাত খুব সুক্ষভাবে একটা আইন চালু করে ফেলে যে, সরকারী মসজিদ গুলাতে ইমামতি করতে হলে অবশ্যই আলিয়ার সার্টিফিকেটধারী হতে হবে। ফলে সরকারী মসজিদ গুলাতে কওমি আলেমদের সংখ্যা কমে যায়, আলিয়া সার্টিফিকেটধারীর সংখ্যা খুব বেড়ে যায়...। ।

একটু চিন্তা করে দেখুন, মসজিদের ইমাম যদি জামাত শিবিরের লোক হয়, তবে তাদের দারা সাধারণ মানুষদের ব্রেনওয়াস করা কত সহজ...। । স্কুলের ধর্মের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও অধিকাংশ জায়গায় এমন অবস্থা দেখা যায়...। আর এভাবেই বেড়ে চলছে বর্তমানে জামাত শিবিরের ব্রেনওয়াসড কর্মীর সংখ্যা...। ।

এ অবস্থা থেকে যদি বেরিয়ে আসতে হয়, তবে আমাদের গাছের আগার দিকে নয়, গোঁড়ার দিকে নজর দিতে হবে বেশী...। । এ ছিল আমার পোস্টের মোদ্দাকথা...। । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.