আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসির একটা মুভিঃ Wild Hogs

আত্মনির্ভরশীল,দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি মুক্ত একটি শিল্পোন্নত আধুনিক সুশিক্ষিত বাংলাদেশ আমরা তরুনরাই গড়ে তুলতে পারি। আর সে জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কাল সাঈদীর রায় দেয়ার পর গ্যাঞ্জাম,বাসায় বসে কাজ নাই তাই একটা মুভি দেখলাম। হাসির একটা মুভিঃ Wild Hogs। ব্যাড বয়েজ খ্যাত টিম অ্যালেন আর অ্যাকশন হিরো জন ট্রাভোল্টার সাথে মার্টিন লরেন্স আর উইলিয়াম মাকাই আছেন এই মুভিটাতে।

এদের মধ্যে একজন ডেন্টিস্ট(লরেন্স/ডওগ),একজন সুইম স্যুট মডেল হতে তালাক প্রাপ্ত সর্বস্ব হারা ব্যাবসায়ী(ট্রাভোল্টা/উডি),আরেকজন বৌএর অত্যাচারে অতিষ্ঠ বেকার(অ্যালান/ববি),আরেক জন কম্পিউটার প্রোগ্রামার গিক,যার মধ্যে গে ভাব প্রবল,ট্রাভোল্টার প্রতি আকর্ষিত(মাকাই/ডাডলি)। যাই হোক,এই চার বন্ধু যৌবনে বেশ উদ্যাম থাকলেও বিয়ের পর মেন্দা মার্কা হয়ে গেছে। তারা নিজেদের ছোট বাইকার গ্যাংটার নাম দিয়েছে ওয়াইল্ড হগ আর তারা সপ্তাহে একদিন বাইক নিয়ে গিয়ে একটা বারে বসে বিয়ার খায় ট্রাভোল্টার বুদ্ধিতে তারা ঠিক করে রোড ট্রিপে বের হবে। প্যাসিফিক অসেন পর্যন্ত। প্রথমে ইচ্ছা না থাকলেও তারা বের হয়,মজাও পায়,তারপর তারা একটা বাইকারদের বারে থামে আর সেখানে 'দেল ফুয়েগ' নামের সত্যিকারের বাইকারদের বুলিং এর শিকার হয়।

তারা ওদের একজনের বাইক রেখে দেয় আর তাদের শহরে ফিরে যেতে বলে। তারা কিছু দূর ফিরে যায়। কিন্তু জন ট্রাভোল্টা আবার ফিরে আসে,চুপি চুপি সব গুন্ডাদের বাইকের ফুয়েল লাইন কেটে দিয়ে বাইক নিয়ে আসে। তার পর তারা ওই গুন্দাদের সামনে দিয়ে আবার সামনে দিকে রওনা দেয়। বাইকাররা ক্ষেপে পিছু নিতে চাইলে পুরো বারে আগুন ধরে সব ধংস হয়ে যায়।

ট্রাভোল্টা ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারে নাই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সে মিথ্যা বলে যে আইনের ভয় দেখিয়ে বাইক নিয়ে এসেছে। সে শুধু পালাতে চায়। অবশেষে তারা মাদ্রিদ নামক ছোট একটা শহরে এসে পৌঁছায়। সেখানের মানুষ দেল ফুয়েগসের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

সেখানে একটা চিলি উৎসব হচ্ছিল। তারা সেখানে ভালই মজা করে ,এমন কি চরম লুল ডাডলিও একটা প্রেমিকা পেয়ে যায়। এদিকে দে ফুয়েগ তাদের খোঁজ পেয়ে পৌছে যায়। তারা লুকায় কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারে তাদের জন্য এ শহরের মানুষ অত্যাচারিত হবে তখন তারা চারজন প্নচাশ জন ভয়ংকর গুন্ডার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। মার খায়,কিন্তু কিছুতেই হার মানে না।

তখন শহরের অন্যরাও তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। আর তখনই সে পুড়ে যাওয়া বারের প্রতিষ্ঠাতা ব্লেড এসে হগদের পাশে দাঁড়ালে বাইকারদের আর কিছু করার থাকে না। খুব সংক্ষেপে বল্লাম,বাট অনেক খুটিনাটি হাসির ঘটনা আছে পুরা মুভিতেই। দেখে মজাও পাবেন,আবার মুভি শেষ করার পর ভালও লাগবে। পরিচালনায় ওয়াল্ট বেকার।

টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।