আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাহারা আপার অমিয় বানী 'আইনী বাহিনীর আত্মরক্ষার গুলিতে সন্ত্রাসী মরাই স্বাভাবিক'



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে যাই বলুক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে যাবে। আত্মরক্ষায় তাদের ছোড়া গুলিতে সন্ত্রাসীরা মরাই স্বাভাবিক। বিচার-বহিভূর্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার প্রতিশ্র"তি রাখেনি- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এ মত প্রকাশের পরদিন এ কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। এইচআরডব্লিউ'র মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাদেশে বিচার-বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, "বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলবে, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে যাবে।

"সন্ত্রাসীরা গুলি করলে আত্মপক্ষ সমর্থনে বা আত্মরক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করতেই হবে। এতে সন্ত্রাসীরা মারা যাবে, এটাই স্বাভাবিক। " বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে 'আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির ৭ম সভা' শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সাহারা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সোমবার প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে দেওয়া প্রতিশ্র"তি রাখেনি সরকার। অন্যদিকে এ ক্ষেত্রে এখন র‌্যাবের পথে হাঁটছে পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০১০ সালে দেশে গুরুতর মানবাধিকার সমস্যা সমাধানে যে প্রতিশ্র"তি দিয়েছিলেন তা রক্ষা হয়নি। বন্ধ হয়নি বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সেইসঙ্গে এসব ঘটনায় জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দণ্ড থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। গত বছর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী [সাহারা খাতুন] র‌্যাবের বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ভুল কিছু করছে না। " ২০১০ সালের বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

এইচআরডব্লিউ'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৪ সালে র‌্যাব গঠন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬২২ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করে র‌্যাব বরাবরই দাবি করে আসছে যে তারা 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন। তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান- এমন মনে করেন খোদ স্বরাষ্টমন্ত্রীও। মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি শুধু সন্ত্রাসীদের পক্ষে?- এ প্রশ্ন তুলে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সন্ত্রাসীরা মারা গেলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। "কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মারা গেলে বা সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। " দেশে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড হয়নি দাবি করে মন্ত্রী জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, "বিভিন্ন ঘটনায় র‌্যাব-পুলিশকে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগে ইতিমধ্যে অনেক সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। " সন্ত্রাসীদের গুলি বন্ধ করার কোনো উপায় নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে সন্ত্রাসীরা মারা যাচ্ছে। তবে অযাচিত বা অযৌক্তিকভাবে কোনো ঘটনা ঘটালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। " স¤প্রতি ভারত-বাংলাদেশের স্বারষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে সাহারা খাতুন জানান, সীমান্ত এলাকায় ফেন্সিডিল কারাখানা বন্ধ করা হচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ফেন্সিডিলের আসা কমেছে।

এছাড়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হত্যাকান্ড বন্ধে আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে অন্যান্য মাদক দেশে প্রবেশ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সভায় টেন্ডারবাজি বন্ধে ইলেকট্রনিক প্রকিওরমেন্ট সিস্টেম চালু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সাহারা বলেন, "শিগগিরই চারটি দপ্তরে এ পদ্ধতি চালু হবে। " সভায় আইনমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। View this link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.