আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ মুজিব ২২ বছর বয়সে এস এস সি পাস করেছেন

আজ আমার মন ভাল নেই

হাসিনা সরকারের আমলে অষ্টম শ্রেণীর 'সাতিহ্য কণিকায় জাতির জনাক বন্ঘবন্দু শেখ মুজিবর রহমান শীর্ষক একটি জীবনী ছিল। বি এন পি সরকার সেই জীবনী বাদ দিয়েছে। তার বদলে বইটিতে 'স্বাধীনতার পথে স্মরণীয় তারা' শীর্ষক জীবনীমালার একটি অংশ হিসেবে বন্ঘবন্দুর সংক্ষিপ্ত জীবনী অন্তর্ভুক্ত করেছে। কিন্তূ দুটি লেখার বক্তব্য অনেকটাই পরস্পর বিরৌধী। আগের লেখাটিতে শেক জিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিশালভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল।

সেই জীবনীতে ১৯৪৮ সালের শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের গঠন ' ৫২ - র ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকার' ৫৫ তে আতাউর রহমানের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যগ, '৬৯ - এ সোহারওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষীকির আলোচনায় পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ নামকরণ প্রভৃতি প্রসন্ঘ কিছুটা অতিরন্জনসহ ছিল। বর্তমান রচনায় এসব পুরোপরি বাদ দয়া হয়েছে। শেখ মুজিব এর জীবনটি লিখেছেন বি এন পির মুখপাত্র দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। তার লেখায় শেখ মুজিব সম্পর্কে সমালোচনামূলক এবং নেতিবাচক দৃষ্টিভ প্রধন্য পায়। যেমন তিনি লিখেছেন, '১০ জানুয়ারি শেখ মুজিব ঢাকায় ফিরে আসেন এবং দেশের শাসন স্বহস্তে গ্রহণ করেন।

কিন্তুু শাসক হিসাবে তিনি সাফল্য দখতে পারেননি। দেশে দুর্ভক্ষ হয়, গুপ্ত হত্যা চলে, রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন নেমে আসে। দেশের পরিস্হি হয়ে ওঠে শ্বাসরুদ্ব। জীবনটি অনয একটি অংশ এরকম, সংবিধান সংশোধনির মাধ্যমে সংসদীয় পদ্বতি বাতিল করে প্রেসিডেন্ট পদ্বতি চালু করা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রেসিডেন্ট হন। তাতে পরিস্হিতি জঠিল হয়ে ওঠে।

সে প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর এক বিক্ষুব্দ অংশের হাতে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হন। অপ্রসঙ্ঘিক ভাবে লখক এরচনার প্রথম দিক শেখ মুজিব ২২ বছর বয়সে এস এস সি পাস করেছেন - এই তথ্যটি জুড়ে দিয়েছেন। জিয়া হচ্ছেন জাতির কান্ডারি। অষ্টম শ্রেণীর ' সাহেত্য কণিকায় একই লখেক (কাজী সিরাজ ঊদ্দীন আহমেদ) জিয়াউর রহমানের জীবনীো লখেছেন। এতে তিনি জিয়াকে জাতির কন্ডরি' বলে অভিহিত করেছেন।

তার বর্ণনা, শেক মুজিবর রহমান পাকিস্তান সৈন্যদের হাতে গ্রেপ্তার বরণ করেন। তার দলের অন্য নেতারা কেউ প্রান ভয়ে পালিয়ে যান ভারতে, কেউ আত্নগোপন করেন। অপ্রস্তুুত, অসংগঠিত ও নেতৃত্যহীন অবস্হা জাতির যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ঠিক তখনি কান্ডারির ভূমিকায় অবতী্র্ন হন সময়ের সহসি সন্তান মেজর জিয়াউর রহমান । প্রভিশনাল বাংলাদেশের সরকারের সুপ্রিম কমান্ডার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। তা স্বাধীনতা ঘোষনায় জাতি দিক-নি্র্দেশনা পায় এবং সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্বে ঝাপিয়ে পড়তে অনুপ্রানিত হয়।

জীবনীটিতে জিয়ার সম্মন্দে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সফল প্রেসিডেন্ট। আধুনিক ও সমৃদ্ব বাংলাদেশের রুপকার তিন। তার দেশ প্রেম ও আপোসহীনতার জন্য দেশ ও জনগণের তার বিরুব্দাচরন শূরু করে। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এসব তথ্যের সাথে বিএনপির প্রচারপত্রের কোন পার্থক্য আছে কি????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।