আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনার টেলিফোন কনভার্সেশন

আই এম নো বডি...

শেখ হাসিনার সাথে টেলিফোনে হিলারী ক্লিন্টনের কী কথা হয়েছে তার একটি বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে ফেসবুকে। হিডেন ট্রুথ নামক একটি সংস্থা ১৬ জানুয়ারি তা ফেসবুকে পোস্টিং দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। কারণ, ঐ কথোপকথনে এমন সব কথা স্থান পেয়েছে যা দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিককে ব্যথিত করে। শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে নয়াদিল্লীর নতজানু হিসেবে এবং ওয়াশিংটনের সার্বিক তত্বাবধাে জেনারেল মইনের মাধ্যমে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়। শুধু তাই নয়, একাত্তরের বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তনের চাপ দিয়েছেন হিলারী ক্লিন্টন-এটিও স্থান পেয়েছে।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কেন বাড়াবাড়ি করছেন-তাও নাকি ঐ টেলিকনফারেন্সে স্থান পায় বলে হিডেন ট্রুথ বিতরণকৃত বিবরণে রয়েছে। অথচ হিলারীর টেলফোনের ব্যাপারটি গোপন নয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারী ঐ টেলি কনফারেন্সের পরই বাংলাদেশের মিডিয়াকে তা অবহিত করেছেন। এতদসত্বেও সমসাময়িক অনেক পরিস্থিতি সম্বলিত ফেসবুকের সংলাপ নিয়ে প্রবাসীরা হতবাক হয়ে যান। ওয়াশিংটনভিত্তিক বাংলাদেশ-ইউএসএ হিউম্যান রাইটস কোয়ালিশনের প্রধান ড. গোলাম ফরিদ আকতার ঐ কথোপকথনের একটি কপি প্রেরণ করেন এনার ই-মেইলে।

তিনি কথোপকথনের ট্র্যান্সক্রিপ্টের ব্যাপারে সন্দেহ দূর করতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে এর সত্যতা যাচাইয়ের আহবান জানান। এর সত্যতা নিয়ে সন্দিহান অনেক প্রবাসী মন্তব্য করেছেন, কথোপকথন যদি সত্য হয় তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কী দিল্লীর মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসির কাছে জিম্মি। তাহলে শেখ হাসিনা কী নয়াদিল্লীর পুতুল সরকার? বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কী কোন পদক্ষেপ গ্রহণের এখতিয়ার নেই-এ জিজ্ঞাসাও অনেক প্রবাসীর। উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা সংস্থা এনা অফিস থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করা হয়। সে সময় স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায় যে ঐ ট্র্যান্সক্রিপ্ট অথেন্টিক নয়।

ট্র্যান্সক্রিপ্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে হিলারী-হাসিনার আলোচনার কোন সম্পর্ক নেই। অপর একটি সূত্রে বলা হয়েছে যে, কারা রয়েছে ঐ ট্র্যান্সক্রিপ্টের নেপথ্যে তা জানার চেষ্টা করছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট । পাঠকের সুবিধার্থে এখানে অথেন্টিক নয় তবুও ই-মেইল এবং ওয়েবসাইটে প্রচারিত হাসিনা-হিলারীর বানোয়াট ঐ ট্র্যান্সক্রিপ্টের অনুবাদ উপস্থাপন করা হলো। শুভ সকাল, ম্যাডাম সেক্রেটারী। আপনার কন্ঠস্বর শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

সেক্রেটারী ক্লিন্টনঃ শুভ অপরাহ্ন, ম্যাডাম প্রধানমন্ত্রী। আমি আশা করছি যে আমি খুব ভাল সময়ে আপনাকে পেয়ে গেছি। পিএমঃ জ্বী হাঁ, আপনি খুব ভাল সময়ে আমাকে পেয়ে গেছেন। আপনার বেলায়, যে কোন সময়ই আমার জন্য ভাল সময়। যে কোন সময় আমাকে স্বাচ্ছন্দ্যে ফোন করতে পারেন।

সেক্রেটারীঃ এ্যাম্বাসেডর এট লার্জ স্টিফেন র‌্যাপ তার ঢাকা সফর সম্পর্কে হালনাগাদ খোঁজখবর আমাকে জানিয়েছেন। সত্যি কথা, নয়াদিল্লীর অনুরোধে আমরা তাকে ঢাকা পাঠিয়েছি এবং বিচারকার্য উন্নততরভাবে পরিচালনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। রাষ্ট্রদূত র‌্যাপ ও ঢাকায় আমাদের রাষ্ট্রদূত মরিয়াটির কাছ থেকে শোনার পর আমি আপনাকে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমি এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা উভয়েই মানবাধিকারের বিষয়টির প্রতি সঠিক গুরুত্ব আরোপ করছি। সেই নিরিখে, আমি অপনাকে কল করেছি জানানোর জন্য যে, বিচারের বর্তমানের ধরন ও বিষয়বস্তুর পটভূমিতে আমেরিকা তাকে সমর্থন দিচ্ছেনা। বাংলাদেশকে বিচারের প্রক্রিয়া এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যেন এটি বিরোধীদেরকে শাস্তিদানের হাতিয়ার বা কনড্যুইটে পরিণত না হয়।

পিএমঃ ম্যাডাম সেক্রেটারী, আমি আপনার উদ্বেগ সম্পর্কে সচেতন এবং আমি ইতিমধ্যেই আমার আইনমন্ত্রীকে বলেছি রাষ্ট্রদূত র‌্যাপের সুপারিশ/পরামর্শ গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করার জন্য। আমরা নয়াদিল্লীর সক্রিয় সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই বিচারকার্য হাতে নিয়েছি। আমি নিশ্চিত যে, ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত আপনাকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত অবহিত করবেন। সেক্রেটারীঃ প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্র এমন কতগুলো মূল্যবোধ ও নীতিমালার প্রতিনিধিত্ব করে যা নয়াদিল্লীর পছন্দনীয় নাও হতে পারে। অবশ্যই, আমরা নয়াদিল্লীর অধিকাংশ সাজেশনের প্রতি মনোযোগী হব, তবে আমি মনে করি যে, এ ব্যাপারে আপনাকে আগে-ভাগে সতর্ক করার দরকার আছে।

পিএমঃ ম্যাডাম সেক্রেটারী, আমরা আপনার উদ্বেগকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করছি এবং আপনাকে বলতে চাই যে, এটি আমাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে ছিল এবং আমাদের দেশের জনগণ বিচারকার্য দেখতে চায়। সেক্রেটারীঃ অবশ্যই, তবে তা এমনভাবে হওয়া উচিত-যাতে তা আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পায়। আমি নিশ্চিত, এমনকি যে সকল লোক আপনার পার্টিকে ভোট দিয়েছে তারাও যে ফরম ও ফরম্যাটে বিচার কার্য পরিচালিত হচ্ছে তা গ্রহণ নাও করতে পারে; আমাদের দৃষ্টিতে, তা ত্রুটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । ম্যাডাম প্রধানমন্ত্রী, আপনাদের অঞ্চলে শান্তি আনয়নের জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামা কাজ করে যাচ্ছেন। তাই, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোন কর্মকান্ডকে অনুমোদন দেবে না যা কতগুলো আইনসম্মত রাজনৈতিক দলকে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে বাধ্য করবে এবং আপনার ও আশপাশের এবং আমাদের জন্য অধিকতর সমস্যা সৃষ্টি করবে।

পিএমঃ আমি তা বুঝেছি। আমি বুঝেছি। চিন্তা করবেন না। আমরা তা ঠিক করে নেব। বিষয়টির প্রতি অত গুরুত্ব আরোপ করবেন না।

যেভাবে করার আমি ঠিক সেভাবেই করছি। তবে অনেকগুলো কালপ্রিট রয়ে গেছে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া একান্ত জরুরী। সেক্রেটারীঃ এম্বাসেডর র‌্যাপ আমাকে আরো জানিয়েছেন যে, বিচার বিভাগে আপনার সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে এবং আমাকে বলা হয়েছে যে, আপনি যেভাবে চান ঠিক সেভাবেই রায় হচ্ছে। সর্বোপরি এটি কিন্তু ভালো নয়। আপনাকে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

পিএমঃ ধন্যবাদ, ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আপনার এবং প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনের পরামর্শকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সেক্রেটারীঃ এবার আসা যাক মূলকথায়-যে কারণে আমি ফোন করেছি-আপনি হয়তো দেখেছেন, ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে আপনি যে আচরণ করছেন তা ওয়াশিংটন পোস্টের মত পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। আমি ভাবছি, ঐ কারণে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমরা কতটা ব্যথিত তা এখন আপনাকে জানানো উচিত। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই ব্যথিত এজন্যে যে ড. ইউনূস নোবেল প্রাইজ পাবার অনেক আগে থেকেই ক্লিন্টন পরিবারের পারিবারিক বন্ধু।

প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনও আমার মতই ব্যথিত। আশা করছি, আপনি জানেন যে ড. ইউনূসের পুরষ্কার প্রাপ্তির জন্যে তিনি (ক্লিন্টন) কতটা পরিশ্রম করেছেন। আমি জানি, প্রতিটি মানুষেরই ব্যক্তিগত ইস্যু থাকে, কিন্তু ড. ইউনূসের মত জাতীয় আইকন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ীকে নিয়ে এমন করা উচিত হচ্ছে না। পিএমঃ ম্যাডাম সেক্রেটারী, প্লিজ শুনুন, শুনুন---- সেক্রেটারীঃ ম্যাডাম প্রধানমন্ত্রী, আমাকে আগে কথা বলতে দিন, আমি আরো আশা করছি যে আপনি জানেন, প্রেসিডেন্ট ওবামাও ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের বড় একজন ভক্ত। তাঁর মা মাইক্রো-ফাইন্যান্সের ব্যাপারে থিসিস লেখার পর থেকেই ঐ ব্যাপারে তাঁর যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।

তাই আমি আপনাকে ফোন করেছি এটা জানানোর জন্যে যে, আমি এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা কতটা ব্যথিত ড. ইউনূসকে ঘিরে আপনার কর্মকান্ড নিয়ে। পিএম ম্যাডাম সেক্রেটারী, আমি ভাবছি আপনি জেনে থাকবেন যে, ঐ ব্যাপারটি আমাদের নয়। নরওয়ে সর্বপ্রথম অভিযোগ উত্থাপন করে যে ড. ইউনূস তহবিল স্থানান্তর করেছিলেন। যাহোক, ঘটনাটি আমাদের অভ্যন্তরীণ, তাই আমরা আমাদের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী সবকিছু করবো। সেক্রেটারীঃ ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার, আমি ভাবছি ঐ ব্যাপারে বেশী দূর যেতে হবে না।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও, আমি হয়তো সঠিক তথ্য পাইনি। আপনার সরকার কীভাবে ক্ষমতায় এসেছে সে ব্যাপারে আমরা যতটা জানি, তার চেয়ে অনেক বেশী জানেন আপনি। এটা ভুলে যাবেন না যে, ঐ নির্বাচনের পরই আমরা আপনাকে স্বাগত জানিয়েছিলাম অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলে। আপনি জানেন প্রধানমন্ত্রী, নয়াদিল্লীতে আমাদের অত্যন্ত ভালো বন্ধুদের পরামর্শক্রমে ঐ নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা আগেই তৈরী করা ছিল। আমরা সেভাবেই কাজ করেছি, তারা (নয়াদিল্লী) যেভাবে পরামর্শ দিয়েছে।

এবং দয়া করে এটা ভুলবেন না যে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জেনারেল মঈন কীভাবে আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, আমি এটা বলতে চাচ্ছি না যে খুব শীঘ্র আমরা আপনার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করবো। আমি শুধুমাত্র চেষ্টা করছি ইতিহাসের চহিদা অনুযায়ী সবকিছু সঠিক পথে আনতে। পিএমঃ ম্যাডাম সেক্রেটারী, আমরা সবসময় স্মরণ করি আপনার সাপোর্ট ও সহায়তার কথা। আপনাকে সন্তুষ্ট রাখতে আমরা সবকিছু করবো।

এ নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করবেন না। এখন আমাকে জানতে দেবেন কি কখন আসছেন বাংলাদেশে? সেক্রেটারীঃ আমন্ত্রণের জন্যে ধন্যবাদ। টেলিফোনে সময় দেয়ার জন্যেও অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পিএমঃ ম্যাডাম সেক্রেটারী, ঢাকায় আসার সময় আপনার স্বামী প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন এবং কন্যা ও জামাতাকে সাথে আনবেন প্লিজ। অপর প্রান্ত থেকে হিলারী টেলিফোন রেখে দেন।

হিলারী-হাসিনার টেলি কথোপকথনের উপরোক্ত ট্র্যান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে হিডেন ট্রুথ নামক একটি সংস্থা-যা প্রচারিত হয়েছে ফেসবুকে। ১৬ জানুয়ারি বেলা ১টা ২৮ মিনিটে প্রকাশিত ট্র্র্যান্সক্রিপ্ট বার্তা সংস্থা এনাকে প্রেরণ করেছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক বাংলাদেশ-ইউএসএ হিউম্যান রাইটস কোয়ালিশনের প্রধান ড. গোলাম ফরিদ আকতার। বাংলাদেশ সময় ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকায় ফোন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হিলারীর কি কথা হয়েছে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারী আবুল কালাম আজাদ প্রেস ব্রিফিং দেন। সে সময় জানানো হয় যে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন হিলারি।

প্রেস সচিব আরো বলেন, শিশু মৃত্যুহার কমানোর জন্য জাতিসংঘের বিশেষ পদক গ্রহণ করায় হিলারি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিরাম চেষ্টা এবং সামাজিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক কাজের সফলতা অর্জনের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসিনার প্রশংসা করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের উন্নতিতে মার্কিন সরকারের সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন। ফোন করার জন্য হাসিনা তাকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ সফর করার জন্য হিলারিকে আহ্বান জানান। হিলারি সাদরে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

১৬ জানুয়ারি বিভিন্ন দৈনিকে তা ছাপা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বার্তা সংস্থা এনার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনের অফিসে। ১৭ জানুয়ারি অপরাহ্নে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র এনাকে জানান যে, ফেসবুকে প্রচারিত টেলি কনফারেন্সের তথ্য অথেন্টিক নয়। মুখপাত্র বলেন, , ১৫ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। তারা ডিসকাস করেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্ক আরো উন্নত করার লক্ষ্যে।

একইসাথে তারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গিকারের পুনর্ব্যক্ত করেন। ঐ সময় হিলারী ক্লিন্টন উল্লেখ করেন যে, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে কোন তদন্ত হলে তা যেন নিরপেক্ষতার সাথে আইন অনুযায়ী করা হয়। অবান্তর কথোপকথনের ট্র্যান্সক্রিপ্ট তৈরীর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার দাাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ। তারা এনাকে বলেছেন, এহেন অপতৎপরতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে জনমনে ভ্রান্ত ধারণা তৈরীর জঘন্য অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। একইসাথে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির মতলববাজিরও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।

সূত্রঃ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।