আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওজন কমাতে লেবু-মধু পানীয়

বাংলাদেশের মানুষকে ফিটনেস, খাদ্যাভ্যাস , শরীর চর্চা এবং সুস্থ্য জীবন যাপন সম্পর্কে সচেতন করাই আমার লক্ষ্য |আমার ব্লগ : http://fitnessbd.com

ওজন কমাতে অনেকে অনেক কিছু পান করেন বা খান| যেমন: ওজন কমানোর চা, সোনা পাতা, ওজন কমানোর ওষুধ ইত্যাদি| এগুলোর কোনো কার্যকারিতা আছে কিনা তা সন্দেহ আছে| থাকলেও এগুলোর side effect থাকতে পারে| কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান মধু ও লেবু আসলেই যে কার্যকরী, তা পরীক্ষিত এবং সারা বিশ্বে সমাদৃত ও স্বীকৃত | ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর পানীয় সম্পর্কে অনেকেই জানেন | ওজন কমানো ছাড়াও লেবু ও মধুর অনেক গুনাগুন আছে| কেন ওজন কমায় ? মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায়| কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়| এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে| ফলে যখন আমরা বেশি চিনি খাই, তখন অধিক ক্যালরি শরীরে জমা ছাড়াও এইসব পুষ্টি উপাদানের চিনি হজম করতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়| তাই ওজন বাড়তে পারে| কিন্তু মধুতে এসব উপাদান থাকার ফলে এগুলো হজমে সহায়ক এবং ফ্যাট ও cholesterol কমায় | তাই এই পানীয় ওজন কমায় |তাছাড়া সকালে উঠেই শরীর যদি পানি জাতীয় কিছু পায়, তবে তা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে| ফলে একই রকম শারীরিক পরিশ্রম করেও আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির কারণে ওজন কমতে পারে| লেবু-মধু পানীয় বানানোর প্রণালী: এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানি, অর্ধেক/২ চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু | গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন লেবু-মধু পানীয়| আপনি চাইলে এর সাথে সবুজ চা (Green Tea) মেশাতে পারেন| লেবু-মধু পানীয় লক্ষ্য রাখবেন: আগে পানি হালকা গরম করে, তারপর তাতে লেবু ও মধু মেশাবেন| মধু কখনই গরম করতে যাবেন না| যদি ঠান্ডা পানিতে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হবে, মানে আপনার ওজন বাড়বে| লেবু-মধু পানীয়র উপকারিতা: এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের (detoxify) করে| শরীরের ভেতরের নালী গুলোর সমস্ত ময়লা বের করে দেয় metabolism/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে ঠান্ডা লাগলে এই পানীয় কফ বের করতে সাহায্য করে| এবং ঠান্ডা লাগলে, গলা ব্যাথা করলেও এটি উপকারী | এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শরীরের শক্তি বাড়ায়, অলসতা কমায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে মধুর উপকারিতা: মধুতে glucose ও fructose আলাদা ভাবে থাকে,কিন্তু চিনিতে তা একসাথে থাকে|fructose তাড়াতাড়ি glucose এর মত শরীরে ক্যালরি হিসাবে জমা হয় না| তাই চিনির মত মধু সহজে ক্যালরি জমা করে না| ফলে অল্প মধু খেলেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম| মধু শরীরকে রিলাক্স করে, মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে এবং সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টি বায়োটিক, যা শরীরের সমস্ত ক্ষতিকর bacteria কে মেরে ফেলে infection দূর করে | ফলে শরীরের কাজ করার প্রণালী উন্নত হয়, এবং হেলদি থাকে মধু হজমে সহায়ক | তাই বেশি খাবার খাওয়ার পরে অল্প মধু খেতে পারেন মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে মধু natural sweetener| তাই মধু সহজে হজম হয়| চোখের জন্য ভালো গলার স্বর সুন্দর করে শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায় ulcer সারাতে সাহায্য করে বিভিন্ন রকম রোগ সারায় নালী গুলো পরিষ্কার করে ঠান্ডা লাগলে, জ্বর, গলা ব্যাথায় ভালো ওষুধ হিসাবে কাজ করে মধু Anti-oxidant| ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে| ত্বকের ভাজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে| বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায় শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায় | লেবুর উপকারিতা: লেবুতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা antiseptic ও ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করে এছাড়া লেবুতে থাকে Calcium, Potassium, Phosphorus, Magnesium , যার কারণে হাঁড়, ও দাঁত শক্ত হয় লেবুর এই উপাদান গুলো টনসিল ও urine infection প্রতিরোধ করে এছাড়া লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে লেবু বুক জ্বালা, ulcer সারাতে সাহায্য করে Arthritis এর রোগীদের জন্য ভালো |কারণ লেবু diuretic | লেবু শরীরের ক্ষতিকর bacteria গুলোকে ধবসংশ করে লেবু antioxidant ও anti-aging তাই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার রাখে, Acne দূর করে| ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে| Black heads ও ত্বকের ভাজ পড়া কমায় লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে লেবু হজমে সহায়ক ও হজমের সমস্যা দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরের ভিতরের toxin দূর করে, অন্ত্র নালী, Liver ও পুরা শরীরকে পরিষ্কার রাখে পেট ফুলা (bloating) ও flatulence এর সমস্যা কমায় রক্ত পরিশোধন করে ঠান্ডা লাগলে, জ্বর, গলা ব্যাথায় ভালো ওষুধ হিসাবে কাজ করে| শ্বাস কষ্ট ,হাপানি হলে ভালো কাজ করে| শ্বাস নালীর ও গলার infection সারাতে সাহায্য করে কখন খাবেন? সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসাবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়| এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন| সাবধানতা : যাদের gastric এর সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না | কারণ লেবু acidic| তাই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এটি খাবেন| তাছাড়া লেবুর acid দাঁতের enamel এর জন্য ক্ষতিকর, তাই এই পানীয় খাবার সাথে সাথে কুলি করবেন, অথবা পানি খাবেন| একটা কথা মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য এই পানীয় শুধুই সহায়ক মাত্র| সম্পূর্ণ ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে অবশ্যই থাকবে হেলদি/ balanced diet, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং হেলদি জীবন যাত্রা| ইমেইলে নিয়মিত নতুন পোস্ট পেতে ফিটনেস বাংলাদেশ ব্লগ এ subscribe করুন |

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।