আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিভ্রান্তদের জন্য আমার ছোট্ট দিক নির্দেশনা, অনেক হয়েছে সংঘাত আর না!!

কিছুই লিখতে পারিনা। পুরাই বকলম বলতে পারেন। শুধু পোস্ট পড়তে আসি। সামুতে ঢুকলে যে কিভাবে সময় পার হয়ে যায়। সবাই এত ভাল লিখে দেখে মনে হয়, আহা আমিও যদি এদের মত লিখতে পারতাম হাদিসে আছে- “যারা দেশরক্ষার উদ্দেশ্যে সীমান্ত পাহারায় বিনিদ্র রজনী কাঁটায় তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।

” যারা দেশকে ভালবাসে না অবশ্যই তারা চরম অকৃতজ্ঞ। আর যারা অকৃতজ্ঞ তারা ধার্মিক হতে পারেনা। তারা দেশদ্রোহী ও জঘন্য চরিত্রের লোক। দেশকে হিফাজত না করতে পারলে ধর্মকে হিফাজত করা যায় না, দেশের মানুষকে রক্ষা করা যায়না, তাদের স্বার্থ রক্ষা করা যায়না। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সহজ সরল সাধারণ এবং ধর্মপ্রাণ।

একই সাথে তাদের রয়েছে পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষা ও জ্ঞ্যানের অভাব। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধর্মের লেবাসধারী কিছু মানুষ অন্তরে হায়েনার মতো হিংস্রতা নিয়ে মানুষকে করছে বিপথগামী। বিদ্বেষের আগুন জ্বালিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে আমাদের। ইসলামের সুনাম, মর্যাদা ক্রমাগত নষ্ট করে চলেছে তারা। ইসলামের অপ্রকাশ্য শত্রু তারাই এবং অপ্রকাশ্য শত্রু সবসময় প্রকাশ্য শত্রু অপেক্ষা ভয়ঙ্কর।

আজকে কিছু হিংস্র পশুর দিকনির্দেশনায় যেসব মুসলিম ভাইয়েরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদেরকে আমার একটাই কথা, আপনারা যে নেতার জন্য আজ তাণ্ডবলীলা করছেন তাদের কয়জন আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়ে মাঠে নেমেছে বিচারের প্রতিবাদে। ঢালের মতো আপনাদের ব্যবহার করে তারা কিন্তু ঠিকই নিরাপদে আছে আর আপনাদের ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে, “শৃঙ্খলাপূর্ণ পৃথিবীতে তোমরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করোনা। ’’ (সূরা আরাফঃ ৫২) আরও রয়েছে, “তোমরা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা করবে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না। ’’ (আল-কাসাসঃ ৭৭) যারা অনলাইনে অফলাইনে মুক্তিযুদ্ধ, শাহবাগ সহ সারাদেশের গণজাগরণ সম্পর্কে মানুষের নিকট বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে, জামায়াতের অপকর্ম গোপন করছে তারা কোনভাবেই মুমিন মুসলমান হতে পারেনা।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, “তোমরা সত্যের সাথে অসত্যের মিশ্রণ ঘটাইয়ো না এবং জেনেশুনে সত্য গোপন করো না” (বাকারাঃ ৪২) আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবনাদর্শ থেকে স্পষ্টতই আমরা দেখতে পাই ধর্মের বিরোধিতাকারী কাফের, মুরতাদ, নাস্তিকদের হত্যা করার জন্য নবী (সঃ) বা উনার সাহাবীগন উদ্ধত হতেন না। বরং তাদের ইসলামের পথের আসার দাওয়াত দিতেন, হেদায়াতের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানাতেন। আমাদের প্রিয় নবীজীকে (সঃ) আমরা ভালোবাসি আমাদের জীবনের চাইতেও বেশী এবং এরচে বেশী ঘৃণা করি যারা নবীজীকে (সঃ) নিয়ে মিথ্যা, ব্যঙ্গাত্মক, অশ্লীল কাহিনী রচনা করে। কিন্তু যারা শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে নবীজীর নাম ব্যবহার করে কিন্তু কখনো নিজেদের কর্মে ইসলামের প্রতিফলন ঘটায়না তাদেরকে প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম ও দেশ রক্ষার যুদ্ধ আজ অভিন্ন এবং তা কোনও ভাবেই বিপরীতমুখী নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।