আমার আমিকে জানিনা এখনো তাইতো তোমাকেও হয়নী জানা
জাতিগত ভাবে আমরা রাজনীতি প্রিয়। আমরা রাজনীতি যতটা পছন্দ করি আলোচনার বিষয়বস্তু হিসাবে অন্য কোন বিষয় ততটা পছন্দ করি না বলেই আমি মনে করি। এটা মন্দ না। গঠনমুলক রাজনৈতিক আলাপ আমাদের রাজনীতি সচেতন করতে পারে যদিও আমরা রাজনৈতিক ভাবে দুভাগে বিভক্ত জাতি কতটা রাজনীতি সচেতন তা নিয়ে আমার যতেষ্ট সন্দেহ আছে । যাই হোক এ রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে আমরা যে ভাবে প্রতিনিয়ত নিজেদের দুর্বলতা নিয়ে চিৎকার করি তা আমাদের মানসিক ভাবে কি হেয় করে না ? আমরা কি নিজেদের দিন দিন ছোট ভাবতে শিখছি না ? আমার মনে হয় শিখছি ।
আমরা নিজেদের ইতিবাচক দিক নিয়ে যত কথা বলি,ব্লগে যত লেখালেখি করি তার চেয়ে নেতিবাচক দিক বেশি আলোচিত করি। এই আলোচনা গুলো আমদের নিজেদের সম্পর্কে নিজেদের খারাপ ধারনা দিচ্ছে। আমরা নিজেদের ছোট ভাবতে শিখছি। এর পরিনাম ভাল হবে বলে আমার মনে হয় না। যে জাতি প্রতিনিয়ত হীনমন্যতায় ভোগে তার সামনে কি অপেক্ষা করছে ভেবে দেখেছেন ??
আসুন না আমারা আজ থেকে ইতিবাচক ভাবে নিজেদের কথা তুলে ধরি,আমাদের সামান্য আলো দিয়ে অন্যদের আলোকিত করি।
তাহলে কি আমরা নিজেদের সমালোচনা করব না ?
আমার উত্তর হল : অবশ্যই করব,কঠোর ভাবে করব।
কিন্তু তার পাশাপাশি যেন আমরা যা পারি তা যেন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে ভুলে না যাই। তাতে করে আমরা নিজেদের ইতিবাচক ভাবে ভাবতে শিখব,আমারাও যে বিশ্ব দরবারে একটা সম্ভাবনাময় জাতি তা সবাই জানবে।
যখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে কোন দলকে হারায় আমর গর্বে বুক ফুলে উঠে,বাংলাদেশের কেউ যখন নোবেল পায় আনন্দে আমার চোখে পানি আসে। এও জানি দুঃখ আর দারিদ্রে ভরা এদেশ ।
আমাদের অনেক আশাই এ দেশ পুরন করতে পারে না। তবু আসেন না আমাদের যা আছে তাই দিয়ে সুখি হবার চেষ্টা করি । নিজেদের ইতিবাচক ভাবে ভাবতে শুরু করি। প্রতিদিন বাংলাদেশ নিয়ে দুইটি নেতিবাচক পোষ্টের পাশাপাশি একটি ইতিবাচক পোষ্ট লিখি। এভাবেই হয়তো আমরা বদলে যাব।
ধন্যবাদ সবাইকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।