আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই বেশ্যা মেয়েটির কথা মাঝে মাঝেই মনে পড়ে!(১৮+)

কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর

১৯৯১ এর কথা। আমি তখন ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সেকেন্ড ইয়ার এ পড়ি। থাকি জহির রায়হান ছাত্রাবাসে। একদিন আমার ফুফাত ভাইয়ের কেব্‌ল ফ্যক্টরীর হেড মিস্ত্রীর অনুরূধে তার ছোট ভাইয়ের বিয়েতে বর যাত্রী হলাম সংগে ক্যামেরা। মূলত ক্যামেরার জন্যে ই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দাওয়াত পেলাম।

কনের বাড়ী ঢাকার দক্ষিনখান এ। বিয়ে বাড়ীতে যা হয়, অনেক হই হুল্লোড় আর ছবি তুললাম। একটা সুন্দরী বেয়াইন ও ছিল যা না বললে মিথ্যা বলা হবে। মূলত সুন্দরী বেয়াইন এর সাথে আড্ডা আর ছবি তুলতে তুলতে ই বর-কনের সাথে সদরঘাটের দিকে রওয়ানা হলাম। বর কনে কে নিয়ে বরিশাল যাবে আর আমার গন্তব্য সদরঘাট পর্যন্ত।

তার পর আমাকে ছাত্রাবাসে ফিরতে হবে পরের দিন ক্লাস টেস্ট আছে। তখন রামপুরা থেকে সদরঘাট পর্যন্ত মুড়ীর টিন জাতীয় কিছু বাস চলত। ভাবলাম তাতে করে গুলিস্হান গিয়ে ৬ নম্বর বাসে সাত রাস্তা নেমে হোস্টেলে। কিন্ত বাসে যত্রীদের এতটাই ভীড় ছিল যে আমার পক্ষে উঠা সম্ভব হলনা। আস্তে আস্তে হাঁটা শুরু করলাম গুলিস্হানের দিকে।

একটু সামনে আসতে ই দেখলাম ইংলিশ রোড। বিভিন্ন সাইন বোর্ডে ইংলিশ রোড লেখা দেখে মনে একটা কৌতুহল জাগল তখনকার দিনে ঢাকার বিখ্যাত পতিতালয়ের ব্যপারে। হাঁটছি আর উকি ঝুঁকি মারছি গলির এ দিক সেদিক। ঠিক কোন জয়গাতে পতিতালয় আমি জানতামনা। এক সময় দেখলাম একটা বাড়ীর সামনে অনেক মানুষের জটলা।

আর বাড়ীর গেটে,সিড়ীতে, বেলকনীতে বিভিন্ন ধরনের মেয়ে কেউ শাড়ী পড়া, কেউ স্যালোয়ার কামিজ ওড়না বিহীন ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপ্‌স্টিক মেখে বিভিন্ন ভঙীতে খদ্দের কে আকৃষ্ট করায় ব্যস্ত। কেওবা ইশারা করছে ভিতরে যাওয়ার জন্যে। আমি খুব মনোযোগ দিয়ে ওদের কে দেখছিলাম আর অনেক রকম চিন্তা করছিলাম। এমন সময় কেউ একজন বলে উঠল পুলিশ! পুলিশ! মূহুর্তের মধে স্হানটা ফাঁকা হয়ে গেল আমি একা রয়ে গেলাম। আমি কিছু ভেবে উঠার আগে ই কয়েকটা মেয়ে আমাকে চ্যং দোলা করে ভিতরে নিয়ে গেলো।

আমার তখন কি যে অবস্হা বলে বোঝাতে পারবনা। ভয়ে আমার আমার শরীর কাঠ হয়ে যাচছিল আর ভাবতেছিলাম আজকে ই বুঝি আমার কৌমার্যের যবনিকা হবে কোন এক ব্যশ্যার কাছে। নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলাম কেন আসলাম এখানে। ওরা আমাকে তল্লাশী করে সংগে যা টাকা পয়সা ছিল নিয়ে নিল এমনকি প্যান্টের পকেটে থাকা রুমালটা। বললাম এবার আমাকে যেতে দাও।

সংগে সংগে একজন আমার কান ধরে বলল কোথায় যাবি নাগর? এই খানে চুপ করে বস্‌। ভয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি। আমার দুপাশে তাকিয়ে দেখলাম ছোট ছোট পর্দা দিয়ে ঘেরা কিছু খুপরি। এর সব গুলোতে ই বিভিন্ন শ্রেনীর নাগররা তাদের পছন্দ মত ব্যশ্যাদের নিয়ে আনন্দ লীলায় মেতে আছে। কোন কোন পর্দার নীচে দিয়ে নগ্ন দুই জুড়া পা দেখা যাচ্ছে।

আবার কোন কোন পর্দার ভিতর থেকে যৌন লীলায় মত্ত যুগলের অস্ফুট শব্দ আসিতেছে। ওখানকার পরিবেশটা এতটাই শ্যাত্‌ শ্যেতে যে আমার দাড়িয়ে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। বেশ কিছুক্ষণ পর একজন সর্দার্ণী গোছের মহিলা আরেকজন যুবতীকে আমাকে দেখিয়ে বলল এই ডিস্‌কো ছেঁড়ারে চোদা(নাওযুবিল্লাহ)। আমি ঐ মহিলার কাছে হাত জোড় করে মাফ চাইলাম। কিন্ত সে কিছুতেই মানবেনা, তার ভাষায় ঐ মেয়ের সাথে আমার যৌন ক্রীয়া করতেই হবে না হলে বড় সর্দারনী যেতে দিবেনা।

আমি অনেক অনুনয় করে বুঝাতে চেষ্ঠা করলাম আমি এ কাজ কিছুতেই করবনা। এক পর্যায়ে ওকে বললাম তুমি সর্দারনীকে বলো আমি তার সাথে যৌন ক্রীয়া করেছি। এ কথা বলার সাথে সাথে তার সেকি গর্জণ"হারামীর বাচ্চা আমরা বেহালালী পয়সা খাইনা" অর্থাৎ আমার সাথে কাজ না করে পয়সা নিলে তা তার জন্যে বেহালালী। আমি থ মেরে গেলাম বলে কি মেয়েটা? পরক্ষণেই আমার দুচোখ দিয়ে পানি এসে গেল এ জন্যে যে আর বোধ হয় এখান থেকে বেরুতে পারবনা এ পাপ কাজ সম্পন্ন না করে। অনেক চেষ্ঠা করে এক সময় ওরা ব্যর্থ হল এবং আমাকে ঘাড় ধরে এক ধাক্কা দিয়ে গেট দিয়ে বের করে দিল।

এখনো মাঝে মাঝে ঘটনাটা মনে পড়ে আর ভাবি সেই দেহ পসারিনীর যেটুকু হালাল হারাম ধারনা আছে কোন কোন সময় আমাদের তা ও হয়ত থাকেনা। থাকলে আমাদের দেশে ঘুষ আর দূর্নীতি অনেক কমে যেত। এটা আমার বাস্তব অভিঞতা। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম যা আমার একান্ত কাছের দু এক জন বন্ধু ছাড়া আর কারো সাথে এর আগে শেয়ার করিনি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।