আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিল বোর্ড কমেন্টস



প্রথম আলোর এই কমেন্টের কন্টেট টা খুবই অবজেক্টটিভলি লিখা বিধায় কাট-পেস্ট করলাম: নুর ইলাহি: ইস্যু একঃ বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড এই মুহূর্তে মামলার প্রধান ৮ আসামির সবাই গ্রেফতার হয়ে জেলে আছে। অভিযোগ পত্র জমা দেওয়া হইছে ৫ই মারচ। বিচারের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হইছে ৮ই জুলাই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ১৮ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন অধিবেশন-১ এ হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটি গত ৩০ জুন আদালতে এসে পৌছায়।

গত ২৫শে জুলাই পর্যন্ত ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ইস্যু দুইঃ পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ইসুতেই বিশাল ভুল আছে। এই সেতু প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কোন বৈদেশিক সাহায্য এসে পউছায়নি- একটা টাকাও নয়। এমন কি পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছিল, সেইটাতেও একটি টাকাও ছাড় করা হয়নি। এই ইস্যুকে মুলত "দুর্নীতির ষড়যন্ত্র" বললেই ঠিক হবে।

বিসয় টা ঠিক এমনই, ধরেন আমি আপনাকে মেরে ফেলার কথা ভাবছি-এইটা আমার দোষ, যদিও আমি হাতে ছুরি-চাকু কিছুই নেইনাই। এরপরেও শুধু বিশ্ব ব্যঙ্ক কে খুশি করবার জন্য আবুল কে সরানো হইছে। ইস্যু তিনঃ র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেন। তার বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবং র্যাবের দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা এখনো চলমান।

যদিও বেশ দেরি করা হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার আগাবে। ইস্যু চারঃ হলমার্ক ইস্যু। এইখানে সরকারের অন্তত একজন নেতার নাম বলেন যিনি দায়ী থাকতে পারেন। খেয়াল করলে দেখবেন, হলমার্ক এর প্রতিটা লোণ অথবা ওভার ড্রাফ্ট (যেগুলি দিয়ে প্রতারনা করা হয়েছে এবং ৪ হাজার কোটি টাকা সরানো হয়েছে) ইস্যু করা হয়েছিল ্রেফারবিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে-এইখানে বর্তমান সরকার কিভাবে দায়ী বিসয় টা আজ পর্যন্ত বোধগম্য নয়। যাই হউক, সেইখানেও সাফল্য আছে।

হলমার্কের মালিক পক্ষের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজকেই এক জন কে জামিন দেওয়া হয়ে (চেয়ারম্যন জেস্মিন রহমান) এই সর্তে যে তাকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভালো কথা, এই "দুর্নীতি" সোনালী ব্যাঙ্কের দুর্নীতি হিসাবেও পরিচিতি পাইছে। ইস্যু পাঁচঃ ডেস্টিনি ডেস্টিনি কবে চালু হয়েছিলো জানেন? ২০০১ সালের ৫ই জানুয়ারি। এই প্রতিষ্ঠানের সবথেকে দুর্নীতি গ্রস্ত প্রকল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করা "বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী"-এর অনুমোদন কারা দিয়েছিল জানেন? না জানলে খোঁজ খবর নিন ভাই।

এই সরকারের ব্যর্থতা হইলো,ডেস্টিনিরে দেস্তিনির মতবাটপারি করতে না দেওয়া। তাই এই প্রতিষ্ঠানেরসকল আরথিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে,যেটাকে আপনারা ডেস্টিনির দুর্নীতি বলে জানেন। সেইটা কিভাবে সরকারের দুর্নীতি হয়, এই বিসয়টা বিবেচনার দাবি রাখে। ইস্যু ছয়ঃ সাগর-রুনি। না, এই ইস্যুতে সরকারের দালালি করব না।

এইখানে সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি ব্যর্থ। এই হত্যারবিচার এবং খুনিদের শাস্তি হবে এইটা আমরা আশা করতেই পারি। ইস্যু সাতঃ শেয়ার বাজার কেলেংকারি একটা গল্প বলি, এক গ্রামে এক দরবেশ এসে ঘোষণা দিলেন তিনি গ্রামের সব বানর পিস প্রতি এক টাকা করে কিনবেন, কিন্তু কেউ আগ্রহ দেখাল না বানর বিক্রির জন্য। এর পড়ে তিনি ঘোষণা দিলেন, ৫ টাকা করে কিনবেন। কিছু মানুষ বানর ধইরা বিক্রি করল।

কিছু দিনপরে সেই বানর তিনি ৪টাকা করে বিক্রি করে দিলেন, সেই একই গ্রামের মানুষের কাছে। এইভাবে বেশি দামে কিনে অল্প দামে বিক্রি কইরা কইরা একদিন তিনি ঘোষণা দিলেন, প্রতি পিস বানর ৫০০০০ টাকায় কিনবেন, মানুষে বানর ধইরা পুরায়ে ফেলল। এরই মধ্যে কিছু মানুষ দরবেশের কাছে থাকা বানর গুলারে ৫০০০০ টাকা কইরা কিনেও ফেলল। এবং এক দিন সকালে সেই শেষ বানর কিনা মানুষ গুলা দেখল দরবেশের আস্তানা খালি। এইখানে দোষ কার?বিচারের ভার আপনাদের উপরে দিলাম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।