আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ : এমএলএমের ফাঁদে লাখো মানুষ

আমি কিছু জানি না......

ওবায়দুল্লাহ রনি : সাধারণ মানুষকে রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে আইনের মারপ্যাঁচে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। শর্তের বেড়াজালে সরকার সচেতন মহলের সামনেই চলছে তাদের এ ব্যবসা। মাসিক ভিত্তিতে ১০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি লাভের আশায় এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। ২০১০ সালে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টি এমএলএম কোম্পানি রয়েছে। যাদের কয়েকটির এখন কাজ বন্ধ আছে।

এদের মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এ ধরনের ৬১টি কোম্পানির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০৯ এর আওতায় তথাকথিত এমএলএম ব্যবসা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এসব দিক বিবেচনা করে এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্বের কোনো দেশের অর্থনীতিতে এদের কোনো অবদান নেই। তাই বাংলাদেশে এদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান ভোরের কাগজকে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশের অর্থনীতিতে এমএলএম কোম্পানির কোনো অবদান নেই। এরা যেভাবে লাভের কথা বলে তা অমূলক, অযাচিত। এদের নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট আইন করা দরকার। এছাড়া এতো অল্প সময়ে কিভাবে তারা এতো লাভ দেয় সরকারের পক্ষ থেকে সেটি তদন্ত করে নেয়া দরকার। প্রয়োজনে এদেশে এসব কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং ব্যবসা সংক্রান্ত সুস্পষ্ট কোনো আইন নেই, আইনি ব্যাখ্যাও নেই। আর এ সুযোগটিই গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। তথাকথিত ওই সব কোম্পানির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক বা দুদক কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিলেই নির্দিষ্ট আইন না থাকায় তারা আবার আদালতের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করে ফেলছে। গত কয়েকদিন আগে ‘ইউনিপে টু ইউ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যবস্থা নেয়ার কয়েকদিনের মাথায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা আবার খুলে দেয়া হয়। এজন্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট আইন থাকা দরকার বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আর এজন্য গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স¤প্রতি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসায়ী বর্ণনাধারী কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অবাস্তব উচ্চ মুনাফার (কোথাও কোথাও মাসিক ২০ বা তারও বেশি) প্রলোভন দেখিয়ে সরল বিশ্বাসী জনসাধারণের থেকে প্রতারণামূলকভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করছে। এভাবে সংগৃহীত অর্থ বিদেশে স্বর্ণ বা বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি ক্রয় করে জমা রাখা বা ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যবহার হচ্ছে বলে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে বা প্রতিনিধিদের আয়োজিত ছোট ছোট সভায় প্রচারণা দ্বারা সাধারণ জনগণকে প্রলুব্ধ করছে। বস্তুত বাংলাদেশে সংগৃহীত তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতিরেকে বিদেশে স্থানান্তর ও বিনিয়োগ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০৯ এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, অর্থনীতির হিসাবে কোনো অবস্থাতেই এক মাসে ১০ বা ২০ শতাংশ লাভ হতে পারে না।

তাই এ ধরনের লাভ দিতে হলে কাউকে না কাউকে ঠকাতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমএলএম কোম্পানিগুলো একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলার ফলে তারা অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি লাভ দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এজন্য এসব কোম্পানি কোথায় বিনিয়োগ করছে, কিভাবে এতো লাভ দিচ্ছে এটি তদন্ত হওয়া দরকার। তাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি আইন করে তা মানতে বাধ্য করা দরকার। সাবেক এ গভর্নর বলেন, এর আগে যুবকও এ ধরনের লাভ দিতো।

তবে এ টাকা নিয়ে তারা কোথায়, কিভাবে বিনিয়োগ করতো তা কাউকে বলতো না। এভাবে করতে করতে তারা এক সময় হারিয়ে গেছে। তাই এদের জন্য শিগগিরই একটি নীতিমালা করে তা মানতে বাধ্য করা দরকার বলে তিনি মনে করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথমে কয়েক মাসে তাদেরকে ব্যাংক বা অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি লাভ দেয়া হচ্ছে। তবে জমাকৃত আসল টাকা থেকে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট তথাকথিত এসব কোম্পানির হাতে।

এভাবে অনেক মানুষের টাকা জমা হওয়ার এক পর্যায়ে হারিয়ে যাচ্ছে ওই সব প্রতিষ্ঠান। অবশ্য মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) প্রতারণা বন্ধে বা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সরকার একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এ খসড়া নীতিমালাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শিগগিরই তা চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করা হবে। নীতিমালার খসড়া প্রণয়নের জন্য আহ্বায়ক করা হয় যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের নিবন্ধক (আরজেএসসি) আহমেদুর রহিমকে। এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা বন্ধে এরই মধ্যে ৬০টির বেশি কোম্পানির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেয়ার কথা আছে। এ তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড, ইউনিপে টুইউ, ইউনিগেটওয়ে, ফোর লাইফ কনসোর্টিয়াম প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যাপার্টমেন্ট মার্কেটিং লিমিটেড, অ্যাসুরেন্স (বিডি) লিমিটেড, অ্যাম্বিশন ড্রিম মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড, বিজ এইম কর্পোরেশন লিমিটেড, ব্রাভো আইটি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, চলনবিল ট্রেড অ্যান্ড কমার্স প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যানকারেজ ট্রেডিং লিমিটেড, ফরএভার লিভিং প্রডাক্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, ফেইথ মার্কেটিং সিস্টেম লিমিটেড, ফোর স্কয়ার এন্টারপ্রাইজ, গেনো ই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড লিমিটেড, গেনোনেট লিমিটেড, গোল্ডেন ফিউচার লিমিটেড, গৃহনির্মাণ মার্কেটিং লিমিটেড, গেনোডার্মা মেইন স্টোককিস্ট (বাংলাদেশ লিমিটেড), গ্লোসিয়ার (বিডি) লিমিটেড, গ্লেন্স গেইন কোম্পানি লিমিটেড, গৃহ-ই-মার্কেটিং লিমিটেড, গ্রিন অ্যাকটিভ বিজনেস সিস্টেম লিমিটেড, গার্ডন নেটওয়ার্ক লিমিটেড, হার্বা লাইফ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইছামতি গ্লোর্ডেন (বিডি) লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল টংচং প্রডাক্টস (বিডি) লিমিটেড, জেফ্রি সোসিং লিমিটেড, কুনতুম বাংলাদেশ লিমিটেড, লয়েড ভিশন ( প্রাইভেট) লিমিটেড, লিবার্টি (বিডি) নেটওয়ার্ক মার্কেটিং (প্রাইভেট) লিমিটেড, লাইফ টাইম কনসেপ্ট লিমিটেড, মাস্ক মার্কেটিং (প্রাইভেট) লিমিটেড, মেগাপোলিশ লিমিটেড, মাল্টি ফোকাস বিজনেস সিস্টেম লিমিটেড, মাল্টি ভিশন ২০১০ লিমিটেড, মাল্টি ভিশন আর্থ (প্রাইভেট) লিমিটেড), ন্যাচারাল হার্বস লিমিটেড, নাফ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ওয়ান মিলিয়ন (প্রাইভেট) লিমিটেড, ওশেন মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড, প্যারামাউন্ট হেলথ অ্যান্ড হার্বাল লিমিটেড, রেইনবো মাল্টি বিজনেস লিমিটেড, রয়াল ড্রিম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, রয়াল ড্রিম লিমিটেড, রয়াল ভিশন (প্রাইভেট) লিমিটেড, রেইজিং বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড, সেঙ্গুইন (বিডি) প্রাইভেট লিমিটেড, শেখ ব্রাদার্স শিপিং কর্পোরেশন লিমিটেড ও এসএমএন গ্লোবাল লিমিটেডসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমএলএম প্রতিষ্ঠানের জন্য যে খসড়া নীতিমালা করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু বস্তুগত পণ্যের ব্যবসা করতে পারবে। কোনো অদৃশ্য পণ্যের ব্যবসা করা যাবে না। যেমন এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনির ট্রি-প্লানটেশন।

এছাড়া কেউ এমএলএম ব্যবসা করতে চাইলে তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে। একই সঙ্গে কোম্পানির অনুমোদিত মূলধনের ১০ শতাংশ জামানত হিসাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রাখতে হবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। নতুন সদস্য নেয়ার ক্ষেত্রে কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের চার্জ, ট্রেনিং ফি বা সিকিউরিটি মানি হিসেবে কোনো অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। পর্যায়ক্রমে তাদের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।

উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার আগে বিএসটিআই, বিসিএসআইআর, ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান অনুষদের সনদপত্র নিতে হবে। কোম্পানিগুলো তাদের বাজারজাতকৃত পণ্যের গায়ে পণ্যের উপাদান, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও পণ্যের গায়ে মূল্য উল্লেখ করতে হবে। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) ব্যবহার করতে হবে। নীতিমালা কার্যকর করতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমএলএম কোম্পানি নিয়ে বলেন, আমরা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি।

অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যবসার জন্য শিগগিরই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। আমরা এমনভাবে নীতিমালা করবো যেন মানুষ প্রতারিত না হয়। এর আগে গত রোববার এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, তিনটি এমএলএম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, গত আগস্ট মাসের ১১ তারিখে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির প্রতারণা বন্ধ করতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এমএলএম ব্যবসার কোনো নীতিমালা বা আইন না থাকায় জনগণ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে। গত বছরের ১০ অক্টোবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এমএলএম কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে একটি নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টম্বর ওই কমিটি একটি খসড়া নীতিমালা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ২০১০ সালে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৭০টি এমএলএম কোম্পানি রয়েছে। প্রকাশ্যে এ ধরনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদের একটি প্রতিষ্ঠান এখন দাবি করে, তাদের ২৮ লাখ ডিস্ট্রিবিউটর। প্রমোশন, মোটিভেশন, এসব ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করে ট্রেনিং দেয়া হয়। তারা মানুষকে, বিশেষ করে, যুব সম্প্রদায়কে লাখ লাখ টাকার মালিক হওয়ার স¡প্ন দেখায়। এ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে এমন কথাও বলা হয়, লেখাপড়ার দরকার নেই, এমএলএম ব্যবসা জীবনের সফলতা এনে দেবে। Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.