আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি-১



আজকাল উচ্চ শিক্ষার্থে অনেকেই অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, কিন্তু কিভাবে আবেদন করবেন তা হয়ত গুছিয়ে উঠতে পারেন না। তাই তাদের জন্য আবেদন পদ্ধতিটি বর্ণনা করার তাগিদ থেকেই এই লেখা, আশা করি ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । উল্লেখ্য যে এই টিপস গুলো মূলত যারা পরিবারের সদস্য ব্যতীত একা মাস্টার্স করতে যাবেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য হবে, তবে অন্যরাও কিছুটা আইডিয়া পাবেন । লেখাটি একাধিক পর্বে দেওয়ার ইচ্ছে আছে। প্রথম পর্বে আলোচনা করছি মূলত আবেদনপত্র ও প্রাথমিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে-- আবেদনপত্র সংগ্রহ ও পূরণ যারা মাস্টার্সের (কোর্সওয়ার্ক) জন্য যেতে চান, তাদের ভিসা সাবক্লাস হবে ৫৭৩ আর এখন পর্যন্ত এ্যাসেসমেন্ট লেভেল হবে ৪ (চার)।

এক্ষেত্রে তারা ভিএফএস (VFS) থেকে (যে সংস্থা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের পক্ষ থেকে ভিসা আবেদনপত্র পদ্ধতি পরিচালনা করে থাকে) আবেদনপত্র সংগ্রহ করে হাতে লিখে পূরণ করতে পারেন অথবা এই লিঙ্ক থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সরাসরি এ্যাডবি রাইটার/রিডার এর মাধ্যমে কম্পিউটার টাইপ দ্বারা পূরণ করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাসপোর্টঃ এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকলেই চলবে। পরে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে নবায়ন করিয়ে নিলেই চলবে। কাগজের পাসপোর্টও গ্রহণযোগ্য হবে যদি সেটির মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকে। ব্যাঙ্ক ড্রাফটঃ ৩৭৬৩০ টাকার ভিসা আবেদন চার্জ ব্যাঙ্ক ড্রাফটে পরিশোধ করতে হবে যা VFS এ অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাঙ্ক এর কাউন্টার থেকে ক্রয় করা যাবে।

অ্যাপ্লিকেশন কভার শীটঃ এখানে পাবেন অথবা VFS থেকে। অ্যাপ্লিকেশন চেকলিস্টঃ এখানে পাবেন অথবা VFS থেকে। ছবিঃ দুই (মতান্তরে তিন) কপি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি (কাঁধ পর্যন্ত)। প্রতিটি ছবির পিছনে নিজের নাম লিখে দিতে হবে। এই ছবিগুলো আবেদনপত্রে নির্দেশিত স্থানে স্ট্যাপল করে দিতে হবে।

স্টেটমেন্ট অফ পারপাসঃ এটা এক পৃষ্ঠার মধ্যে লিখতে হবে। ভাষা যেন সহজ কিন্তু যথাযথ গুরুত্ববহ হয়। আইইএলটিএস ফলাফলঃ এর মেয়াদ থাকতে হবে দু' বছরের নিচে। অফার লেটারঃ এটা ভিসা আবেদনের অন্তত দু'মাস আগে এ্যাপ্লাই করলে ঠিক সময়ে পাওয়া যায়। এখন অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দেয়, তবে অল্প কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকিদেরকে আপনাকে আবেদন ফি পরিশোধ করতে হতে পারে তাদের নির্দেশিত পন্থায়।

যেমন-ব্যাঙ্ক ড্রাফট, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি। এটা যদি আপনাকে ইমেইল করা হয়, তবে তার প্রিন্ট কপি কে মূল কপি হিসেবে ধরা হবে। পরিবার প্রমাণপত্রঃ -পরিবারের সদস্য তথ্য ফর্ম, এটা এখানে পাবেন অথবা VFS থেকে। -পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের (নিজের, মা, বাবা, ভাই, বোন) বার্থ সার্টিফিকেট লাগবে। এটার জন্য ওয়ার্ড কমিশনারের অনুমতিপত্র নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করতে হবে।

শিক্ষা সনদঃ এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সকল পাবলিক পরীক্ষার মূল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট। এগুলো লেমিনেটেড করা থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে অথবা বোর্ড থেকে নুতনভাবে তুলে আনতে হবে। আর্থিক প্রমাণপত্রঃ -আর্থিক নিশ্চয়তা ফর্ম, এখানে পাবেন অথবা VFS থেকে। এটা প্রত্যেক স্পন্সর আলাদা আলাদা ভাবে এক কপি করে পূরণ করে সাক্ষর করবেন ও নোটারী পাবলিক দ্বারা সত্যায়িত করাবেন। এটার সাথে প্রত্যেক স্পন্সরের এক কপি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি অপর পিঠে নাম লিখে সনযুক্ত করতে হবে।

-এক্ষেত্রে কাগজপত্রের পরিমাণ বা প্রযোজ্যতা নির্ভর করে আবেদনকারী কিভাবে বা কার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার জন্য ফান্ড দেখাচ্ছেন। স্পন্সরঃ সাধারণত নিম্নলিখিত ব্যক্তি কে ফান্ড এর স্পন্সর হিসেবে দেখানো যাবে-- -আবেদনকারী নিজে -আবেদনকারীর স্ত্রী/স্বামী -আবেদনকারীর মা-বাবা (একক বা যৌথ ভাবে) -আবেদনকারীর খালা/ফুফু/চাচা/মামা (একক বা যৌথভাবে, তবে এক্ষেত্রে এরূপ স্পন্সরকে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া'র স্থায়ী অধিবাসী/নাগরিক বা নিউজিল্যান্ডে'র নাগরিক হতে হবে) স্পন্সর প্রমাণপত্রঃ স্পন্সর এর বৈধতা'র প্রমাণস্বরূপ যেসব কাগজপত্র লাগবে তা নিম্নরূপ- স্পন্সর চাকুরীজীবি হলেঃ -স্পন্সরের ডিক্লারেশন ফর্মঃ এটা সাধারণত আবশ্যক নয়, তবে দিলে ভাল। এটা প্রত্যেক স্পন্সরের জন্য (যদি একাধিক হয়) আলাদা আলাদাভাবে টাইপ করিয়ে নোটারী পাবলিকের দ্বারা সত্যায়িত করিয়ে নিতে হবে। এটা নোটারী পাবলিকই সাধারণত তৈরি করেন। -৩ মাসের পে স্লিপ -এ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার -ভিজিটিং কার্ড -চাকুরী'র সার্টিফিকেট -এক বছরের বেতনের স্টেটমেন্ট (কোন খাতে কত প্রাপ্ত, বেতনের চেক নং ও তারিখ ইত্যাদি) -এক বছরের পার্সোনাল এ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট (যেখানে মূলত বেতনের টাকাটা জমা হয়।

উল্লেখ্য যে এই এ্যাকাউন্টে এমন পরিমাণ টাকা যেন জমা না থাকে যেটার উৎস সঙ্ক্রান্ত কাগজপত্র দেখানো সম্ভবপর নয় বা যেটা স্পন্সরের আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বা যেটা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন হয় নি। যেমন-সরাসরি ক্যাশ ডিপোজিট, ব্যবসায়ের লাভ (এমন ব্যবসা যেটা চাকুরীজীবি স্পন্সরের আয়ের মূল উৎস নয়), কারো কাছে থেকে ক্যাশে প্রাপ্ত ব্যক্তিগত পাওনা ইত্যাদি। ) -এক বছরের সর্বশেষ আয়কর সার্টিফিকেট (TIN সহ) -এক বছরের সর্বশেষ অর্থ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত এ্যাসেসমেন্ট ফর্মসমূহ যথাক্রমে আইটি-১১ গ, আইটি ১০বি এবং আইটি ১০বি-বি। এক্ষেত্রে অনেকসময় দেখা যায় যে বিভিন্ন সম্পত্তির হিসেবের ঘরে "পূর্বের ন্যায়" কথাটি লেখা থাকে। সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে এ্যাসেসমেন্ট ফর্মসমূহ থেকে হিসেব শুরু হচ্ছে, সেটা জমা দিতে হবে যাতে পূর্বের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভবপর হয়।

স্পন্সর ব্যবসায়ী হলেঃ (এক্ষেত্রে আমার ধারণা নিতান্তই নগণ্য বলে আমি ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়ে লিখছি, ভুলচুক হলে তা সংশোধন করে দিলে খুবই খুশি হব। ) -স্পন্সরের ডিক্লারেশন ফর্মঃ এটা সাধারণত আবশ্যক নয়, তবে দিলে ভাল। এটা প্রত্যেক স্পন্সরের জন্য (যদি একাধিক হয়) আলাদা আলাদাভাবে টাইপ করিয়ে নোটারী পাবলিকের দ্বারা সত্যায়িত করিয়ে নিতে হবে। এটা নোটারী পাবলিকই সাধারণত তৈরি করেন। -ভিজিটিং কার্ড -দুই বছরের পার্সোনাল/কোম্পানী এ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট (যেখানে মূলত স্পন্সরের আয়ের টাকাটা জমা হয়।

উল্লেখ্য যে এই এ্যাকাউন্টে এমন পরিমাণ টাকা যেন জমা না থাকে যেটার উৎস সঙ্ক্রান্ত কাগজপত্র দেখানো সম্ভবপর নয় বা যেটা স্পন্সরের আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বা যেটা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন হয় নি। যেমন-সরাসরি ক্যাশ ডিপোজিট, কারো কাছে থেকে ক্যাশে প্রাপ্ত ব্যক্তিগত পাওনা ইত্যাদি। ) -ব্যবসা সংক্রান্ত সকল নথিপত্র, যেমন-পার্টনারশীপ/মালিকানা ডীড, ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি। -দুই বছরের সর্বশেষ আয়কর সার্টিফিকেট (TIN সহ) -দুই বছরের সর্বশেষ অর্থ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত এ্যাসেসমেন্ট ফর্মসমূহ যথাক্রমে আইটি-১১ গ, আইটি ১০বি এবং আইটি ১০বি-বি। এক্ষেত্রে অনেকসময় দেখা যায় যে বিভিন্ন সম্পত্তির হিসেবের ঘরে "পূর্বের ন্যায়" কথাটি লেখা থাকে।

সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে এ্যাসেসমেন্ট ফর্মসমূহ থেকে হিসেব শুরু হচ্ছে, সেটা জমা দিতে হবে যাতে পূর্বের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভবপর হয়। -------------------------------------------------------------------- উপরোক্ত সকল কাগজ পত্র (স্টেটমেন্ট অফ পারপাস, ব্যাঙ্ক ড্রাফট, অ্যাপ্লিকেশন কভার শীট, স্পন্সরের ডিক্লারেশন ফর্ম, ডিটেইলস অফ রিলেটিভস ফর্ম, এ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট বাদে, এগুলোর শুধু মূল কপি লাগবে) ফটোকপি সহকারে মূল সংস্করন VFS এ জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আগেই এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখা হবে সর্বোত্তম। কাগজপত্র নির্ধারিত দিনে VFS এ জমা দেওয়ার পরে নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীকে ওখানেই নেওয়া তার ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও ডিজিটাল ছবি ও জমা দিতে হবে। এরপরে তাকে দূতাবাসের সাক্ষাৎকারের জন্য তারিখ ও সময় নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে, যদি তা প্রয়োজন হয়।

কোন কাগজ যদি বাংলায় থাকে তবে তা ইংরেজিতে অনুবাদ করিয়ে নোটারী পাবলিক দ্বারা সত্যায়িত করিয়ে মূল বাংলা কপির সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে। এই কাগজপত্র সাধারণত নিম্নরূপ ক্রমানুযায়ীদু'টি সেট করে জমা দিতে হয়। (এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কাগজের বাম কোণায় ছোট স্লিপের সাহায্যে ঐ কাগজের সঙ্কক্ষিপ্ত বর্ণনা জেমস ক্লিপ দিয়ে আটকে দিলে খুবই ভাল। ) সেট-১ঃ ১। সকল স্পন্সরের একটি করে ডিক্লারেশন ফর্মের মূল কপি ২।

ব্যাঙ্ক ড্রাফটের মূল কপি ও পাসপোর্টের প্রথম ৫ পৃষ্ঠার ফটোকপি ৩। অ্যাপ্লিকেশন কভার শীটের মূল কপি ৪। ছবিসহ আবেদনপত্রের মূল কপি ৫। পরিবারের সদস্য তথ্য ফর্মের মূল কপি ৬। স্টেটমেন্ট অফ পারপাসের মূল কপি ৭।

অফার লেটারের ফটোকপি ৮। আইইএলটিএস ফলাফলের ফটোকপি ৯। সকল প্রয়োজনীয় শিক্ষা সনদের ফটোকপি ১০। সকল স্পন্সরের ছবি সহ একটি করে আর্থিক নিশ্চয়তা ফর্মের মূল কপি ১১। স্পন্সরের যথাযথ এ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্টের মূল কপি ১২।

ফান্ড সংক্রান্ত সকল কাগজের ফটোকপি ১৩। স্পন্সরের আয় সংক্রান্ত সকল কাগজের ফটোকপি সেট-২ঃ ১। আবেদনকারীর পাসপোর্ট (এমআরপি বা কাগজ) ২। আইইএলটিএস ফলাফলের মূল কপি ৩। অফার লেটারের মূল কপি ৪।

সকল প্রয়োজনীয় শিক্ষা সনদের মূল কপি ৫। ফান্ড সংক্রান্ত সকল কাগজের মূল কপি ৬। স্পন্সরের আয় সংক্রান্ত সকল কাগজের মূল কপি -------------------------------------------------------------------- আজ এ পর্যন্তই এডিটঃ VFS এর যোগাযোগ তথ্য-- VFS Bangladesh Pvt. Ltd. ZN Tower, 1st Floor, Plot # 2, Road # 8, Block SW(1), Gulshan Avenue, Dhaka 1212. Email: Helpline No: + 88 02 9895894 (Sunday to Wednesday : 08:30 hrs - 13:00 hrs & 14:00 hrs - 16:30 hrs) Application lodgment Timings: Sun - Wednesday 8:30 hrs - 12:00 hrs & 14:00 hrs - 15:30 hrs Thursday : 8:30 hrs to 13:30 hrs Information, Form Collection & Additional Documents Submission: Sunday to Wednesday :08:30 hrs - 13:00 hrs & 14:00 hrs - 16:00 hrs Thursday : 8:30 hrs – 13:30 hrs Passport & Document Collection: Sunday to Wednesday 14:00 hrs - 16:30 hrs Thursday: 12:00 to 14:00 VFS Sylhet Office Garden Towers, 1st Floor, Shahjalal Bridge Link Road, Mendhibagh Sylhet- 3100 Helpline No: +88 02 9895894 Timings for the Helpline: Sunday to Wednesday : 08:30 hrs - 13:00 hrs & 14:00 hrs - 16:30 hrs) Thursday: 08:30 hrs -13:30 hrs Timings for VFS Sylhet Office are: Application Submission: Sunday to Thursday 08:30 h rs to 12:30 hrs. Passport Collection : Sunday to Thursday 08:30 hrs - 13:00 hrs and 14:00 hrs - 15:30hrs Australian High Commission Bangladesh Street Address 184 Gulshan Avenue Gulshan 2, Dhaka - 1212 Bangladesh Telephone: 8802 881 3105 Fax: 8802 881 1125 Email: Website: http://www.bangladesh.embassy.gov.au/

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.