আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজেকে মৃত বানিয়ে মেয়েকে দিয়ে কত বড় বাটপারি!! হায়রে বাঙালি!!

বোবার নাকি কোন শত্রু নাই, কিন্তু বোবা তো থাকতে পারি না......

অভিজ্ঞতাটা কিছুক্ষন আগেরই। শেয়ার করতে মন চাইল। তাই লিখতে বসলাম। উত্তরা থেকে টিউশন শেষে বাসায় ফিরছিলাম! যখন কুড়িল বিশ্বরোডে আসলাম তখন ১ টা কিউট ছোট্ট স্কুল ড্রেস পরা মেয়েকে বাসে এগিয়ে আসতে দেখলাম। আরে একে তো আগেও দেখেছি ওর আব্বার সাথে।

এই তো কয়দিন আগেই! আজকে ওর আব্বাকে দেখলাম না। তো মেয়েটা হেল্প চাচ্ছে। ঐ দিন ও তাই করেছিল। ওর বোনের নাকি কি অসুখ হইছে। ফ্যামিলি বিপর্যস্ত ।

কিছু সাহায্য প্রয়োজন। সাহায্য করেছিলাম। এত সামর্থ্য তো নাই। কিছু টাকা দিয়েছিলাম। যাই হোক আজকেও টাকা দিলাম।

আমার কানে তো ইয়ারফোন, তাই কিছু শুনি নাই। আর শোনার তো দরকার ই নাই। আমি তো ওর প্রব্লেম টা আগে থেকেই জানি! টাকাটা দিয়ে দিলাম। কিছু লোক জিজ্ঞেস করছিল কি প্রব্লেম? কি ব্যাপার? কি মনে করে আমি ইয়ারফোন খুলে ফেললাম কান থেকে। এরপর আমি থ হয়ে গেলাম! সে আজ পুরো উল্টো কথা বলছে।

তার বাবা নাকি অনেক আগেই মারা গেছে। সংসারে মা আর বোন আছে। আমি আর কিছু বলি নাই। আমি তো বুঝেই গেলাম কাহিনি কি? মেয়ে টা আস্তে করে বাস থেকে নেমে গেল। আমরা আজ আছি কোথায়? এটা কি ঐ মেয়ের দোষ!! তাকে যা শিখানো হচ্ছে সে তো তাই শিখছে! দোষ ওর কুলাঙ্গার বাপের! যে বাপ নিজের মেয়েকে দিয়ে অনবরত মানুষকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে, মিথ্যার ট্রেইনিং দিচ্ছে তার দারা কি না করা সম্ভব? হায়রে বাঙ্গালী!! তুমি আজও যে সব কারনে মাথা তুলে দাড়াতে পার নি তার একটি কারন হচ্ছে বাটপারি,লোক ঠকানো প্রবণতা!!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।