আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কম খরচে ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সার্ভিস ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি

মা বাবার সেবা করা সবচেয়ে বড় ইবাদত

ওয়াইম্যাক্স বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি। উন্নত বিশ্বের মত আমাদের দেশেও এর ব্যবহার শুরম্ন হয়েছে। আমাদের দেশের ৭টি বিভাগীয় শহরের বেশ কয়েকটি থানা এখন এই নেটওয়ার্কের অধীনে। এছাড়াও দেশের প্রথম সারির বেসরকারী এবং সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ক্যাম্পাসে ওয়াইম্যাক্স অ্যাভেইলেবল করেছে। কম্পিউটার বার্তার পাঠকের সামনে দেশের ওয়াইম্যাক্স ও তারহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তি এবং এর বর্তমান অবস্থার একটি পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরতেই এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।

তারহীন ইন্টারনেট বলতে আমরা ওয়াই ফাইকে বুঝি। তবে ওয়াই ফাই এর অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন ওয়াই ফাই এর কার্যৰমতা কয়েকশ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এছাড়া ওয়াই ফাই এর স্পীডও খুব বেশী গতি সম্পন্ন নয়। ওয়াই ফাই এর সীমাবদ্ধতা সমুহকে অতিক্রম করেছে ওয়াই ম্যাক্স।

ওয়াই ম্যাক্স এর নেটওয়ার্ক অত্যনত্দ শক্তিশালী। কার্য পদ্ধতি অনেকটা মোবাইল ফোনের মতো বেজ স্টেশন ভিত্তিক। ওয়াইম্যাক্সের একটি স্টেশন ৩০ মাইল ব্যাসার্ধের যেকোন পিসিতে ৭০ মেগাবিট পার সেকেন্ড গতিতে তথ্য আদান প্রদানে সৰম। সেই সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে এক সাথে অধিক সংখ্যক গ্রাহককে ইন্টারনেট সেবা দিতে সক্ষম। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তিওয়াইম্যাক্স হলো ওয়ার্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি ফর মাইক্রোওয়েব এক্সেস।

এটি ৮০১.১৬ স্ট্যান্ডার্ড এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে। ওয়াইম্যাক্স এর মাধ্যমে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে ট্রু ব্রডব্যান্ড স্পিড পাওয়া যায়। বর্তমানে দুই ধরনের ওয়াইম্যাক্স এপিস্নকেশন হলো পয়েন্ট টু মাল্টিপয়েন্ট এনাবেলিং ব্রডব্যান্ড এক্সেস হোম অফিস এবং বিজনেস অফিস এর ৰেত্রে। অন্যদিকে মোবাইল ওয়াইম্যাক্স অফার করে সেলুলার নেটওয়ার্ক এর ফুল মোবিলিটি ট্রু ব্রডব্যান্ড স্পিডের ৰেত্রে। তবে ওয়াইম্যাক্স এর ফিক্সড এন্ড মোবাইল এপিস্নকেশন উভয়ই কম খরচে ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস সার্ভিস প্রদানের জন্য উপযোগী।

মোবাইল ওয়াইম্যাক্স এর বেইজ হলো ওএফডিএমএ (অর্থেগোনাল ফ্রিকুয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপল এক্সেস) টেকনোলজি। এতে স্পেক্ট্রাল ইফিসিয়েন্সি এবং এডভান্স এন্টিনা সাপোর্ট এর ৰেত্রে ওয়াইড এরিয়া ওয়্যারলেস টেকনোলজি অপেৰা উচ্চতর পারফরমেন্স সুবিধা রয়েছে। এছাড়া অনেক নেক্সট জেনারেশন ৪জি ওয়ারলেস টেকনোলজি এই ওএফডিএমএ টেকনোলজি এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং সমসত্দ আইপি বেইজড নেটওয়ার্ক কস্ট ইফেক্টিভ ওয়্যারলেস ডাটা সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে আদর্শ। ইন্টেল নিয়ে এসেছে ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক এর ৰেত্রে ফিক্সড সলূ্যশনের ইন্টেল প্রো/ওয়্যারলেস ৫১১৬ ওয়্যারলেস মডেম। এর রয়েছে ফিক্সড/ মোবাইল ডুয়েল মুড সলূ্যশন ইন্টেল ওয়াইম্যাক্স কানেকশন ২২৫০।

এই উচ্চতর প্রযুক্তির মূল্য সাশ্রয়ী সলূ্যশন ডিজাইন করা হয়েছে ফিক্সড এবং মোবাইল উভয় ৰেত্রে ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক সাপোর্ট দেয়ার জন্য। ওয়াইম্যাক্স সার্ভিস বাংলাদেশে ওয়াইম্যাক্স এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে মতামতের ভিন্নতা রয়েছে। বেশ কিছু আইএসপি এই সেবার জন্য আবেদন করলেও মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হল বাংলালায়ন এবং কিউবি। বাংলাদেশে ওয়াইম্যাক্স এর বর্তমান খরচ ছয়শত টাকা থেকে শুরম্ন করে নব্বই হাজার টাকা পর্যনত্দ।

এবং ব্যবহারকারী হল ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরম্ন করে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আপনি ওয়াই ম্যাক্স ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা পকেটে নিয়ে বেরম্নতে হবে। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের দেশের জন্য এটাকে অনেকই “একটু বেশি” বলতে চান। আবার অনেকে বলেন ওয়াই ম্যাক্স এর গতি ভাল অল্প সময়ে অনেক কাজ করা যায় তাই পোষায়। তবে যে যাই বলুক না কেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এটি একটি অপরিহার্য উপাদান।

এ ছাড়াও আমাদের দেশের কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল, টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার যারা দেশের বাইরে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের গুরম্ন দায়িত্ব পালন করছেন এবং বহুদেশীয় প্রতিযোগীতা সমুহে বিশেষ-বিশেষ পুরস্কার জিতে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছেন তাদের জন্য দেশেই চাকুরির সুযোগ করে দিচ্ছে এসকল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা চিনত্দা না করে দেশের স্বার্থের কথা চিনত্দা করে তাহলেই দেশ উপকৃত হবে। তারা প্রধানত কোন ব্যপারটা চিনত্দ করে এগুচ্ছে সেটা খুব সহজেই বোঝা যাবে। আর সেটা বোঝার জন্য পাঠককে কিছু ক্লু দিয়ে দেই। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে শিৰাপ্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট অফিস এবং ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা বেশি।

আর এরকম শহরে নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা মানেই হলো যথেষ্ট গ্রাহক পাওয়া যাবে। ফলে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যাবসায়িক ভাবে সফল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের কথা চিনত্দা করলে ওয়াইম্যাক্সকে শহর গুলোর পাশাপাশি গ্রামেও পৌছে যেতে হবে। সেখানে হয়তো গ্রাহক কম হবে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে গ্রাহক বাড়বে। লোকজন আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হবে।

তথ্য পাওয়া ও দেয়ার ৰেত্রে আরও বেশি নিশ্চিত হবে গ্রাম ও শহরের মানুষ। খাঁটি বাংলায় বললে “গ্রামের তিন টাকার পটল, শহরে এসে তেইশ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ” আমাদের দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার খুব অল্প কিছু স্থানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এখনই মানুষ শুধুমাত্র একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে তিন ঘন্টার জ্যাম এ ধৈর্য পরীৰায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এখনও প্রতিদিন একেকটা কোম্পানীর ১০/২০ জন বা তারও বেশি কর্মকর্তা কে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তলনের জন্য সকাল থেকে বিকেল অবধি ওমুক কোম্পনী থেকে তমুক ব্যাংক পর্যনত্দ ছোটাছুটি করতে হয়।

অথচ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব কাজ করা যায় ঘরে বসে, কয়েক সেকেন্ডেই। দেশে সর্বত্র প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত না করা গেলে ১০/২০ টা ফ্লাইওভার আমাদের যানজট সমস্যার কিছুই করতে পারবে না। আর ফ্লাইওভারতো শুধু বানালেই হবেনা। উদ্ভোধনের মাত্র কয়েক বছর না যেতেই যমুনা সেতুর মত একটা বিশাল নির্মাণশৈলীতে আঠা লাগাতে হয় আমাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশে বড় ভুমিকম্পের ঝুকি বাড়ছে।

কাজেই ভূমিকম্পরোধী স্থাপনা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই আমাদের জন্য, আধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে ওয়াইম্যাক্স এরই মধ্যে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছ থেকে কুড়িয়েছে অগনিত বিশ্বাস ও ভালবাসা। ওয়াইম্যাক্স এর বর্তমান মাসিক খরচ বাংলালায়নঃ বাংলালায়ন এর মডেম এর দাম যথাক্রমে ২৯৫০ টাকা ও ৩,০০০ টাকা। এর পর প্রতিমাসে মান্থলি চার্জ প্রযোজ্য হবে। প্যাকেজ শুরম্ন ১২৮ কেবিপিএস থেকে। এবং এর মাসিক খরচ মাত্র ৬০০ টাকা।

এতে গ্রাহক পাচ্ছেন আনলিমিটেড ডাউনলোড সুবিধা। ২৫৬ কেবি পিএসএর আনলিমিটেড প্যাকেজ-টির মাসিক খরচ ১,০০০ টাকা এবং ৫গিগাবাইট লিমিটেড প্যাকেজটির মাসিক খরচ ৮০০ টাকা। ৫১২ কেবিপিএস এর রয়েছে ৩টি প্যাকেজ। আনলিমিটেড, ৫জিবি এবং ১০জিবি। এদের মাসিক খরচ যথাক্রমে ২১৫০ টাকা, ১২৫০ টাকা এবং ১৪৫০ টাকা।

বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্স এর ১এমবিপিএস স্পীড এর চারটি প্যাকেজ রয়েছে। ১এমবিপিএস আনলিমিটেড প্যাকেজটির মাসিক চার্জ ৫১৫০ টাকা, ৫জিবি ডাউনলোড লিমিট বিশিষ্ট প্যাকেজটির ২২৫০ টাকা। ১০জিবি ডাউনলোড লিমিটবিশিষ্ট প্যাকেজটির ২৭৫০ টাকা, । ২০জিবি ডাউনলোড লিমিট বিশিষ্ট প্যাকেজটির (৪৭৫০ টাকা) মাসিক চার্জ নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানটি ২ ও ৫ এমবি পিএস এর সেবা ও দিয়ে থাকে।

এটা গেল বাংলালায়ন এর হিসাব-নিকাশ। কিউবিঃ এবার কিউবি নামে যে প্রতিষ্ঠানটি ওয়াইম্যাক্স সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের হিসাব-নিকাশটা দেখে নেয়া যাক। কিউবির প্রায় প্রতিটি প্যাকেজেই তিন রকম ডাউনলোড লিমিট রয়েছে। ৫জিবি, ১০জিবি এবং স্কাই। আলোচনার সুবিধার্থে আমরা প্রতিটি প্যাকেজের তিনটি মাসিক চার্জ জানবো যার প্রথমটি ৫জিবি, দ্বিতীয়টি ১০জিবি এবং শেষেরটি স্কাই সাব প্যাকেজের জন্য।

আনলিমিটেড শব্দটি কিউবি ব্যবহার করেনা। তবুও স্কাই দিয়ে সেরকমই একটি অর্থ প্রকাশ করা হয়। এখানে ২৫৬ কেবিপিএস এর তিনটি সাব প্যাকেজের মাসিক চার্জ যথাক্রমে ৮৫০, ৯৫০, এবং ১২৫০ টাকা, ৫১২ কেবিপিএস এর ১২৫০, ১৪৫০ এবং ১২৫০ টাকা, ১এমবিপিএস এর ২২৫০, ২৭৫০ এবং ৫২৫০ টাকা। সকল চার্জ এর ওপর ১৫০ শতাংশ হারে ভ্যাট যোগ হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি মোটামুটি নতুন।

দেশের ইন্টারনেট ব্যবহার কারীদের অনেকেই এর সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে এখনও খুব একটা ভাল জানেন না। আমাদের এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটি যদি দেশের ওয়াইম্যাক্স এর বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে একটি তথ্যও আপনাকে দিতে পারে তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে ধরে নেব। নিত্যনতুন প্রযুক্তির চমক, দেশের প্রথম ও প্রধান সমস্যা প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ও খাদ্য থেকে শুরম্ন করে শিৰা পর্যনত্দ প্রতিটি সত্দরে মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাক নিশ্চিত সাফল্যের সোপান বেয়ে। তারহীন ইন্টারনেট ও ওয়াইম্যাক্স পেঁৗছে যাক শহরের গন্ডি পেরিয়ে গ্রামের সবজি চাষীর হাতের নাগাল পর্যনত্দ। সবাইকে ধন্যবাদ।

খুব সহজ, এক কপি ছবি এবং মোট ৩৬৪০ টাকা নিয়ে বাংলালায়নের যে কোন সেলস পয়েন্টে আসতে হবে একটা ফরম পুরন করতে এবং একটি মডেম কিনতে হবে। বাংলালায়ন আপাতত ঢাকায় তিনটি সেলসপয়েন্ট আছে একটি বাইতুল আমান। একটা প্রিন্স পস্নাজা এবং একটা রয়েছে গুলশান পস্নাজায়। এছাড়াও বাংলালায়নের হটলাইন নম্বর ০১১৯৮৯৮৯৮৯৮ এ কল করে বললে গ্রাহকের বাসায় গিয়ে সবকিছু করে দিয়ে আসে। Click This Link


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।