আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিডিয়া কন্যাদের জীবনচক্র

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
শৈশব কন্যারা মিডিয়ায় ঢুকার বেশ কয়েকটি রাস্তা আছে। কচিকাচাকাল থেকেই অনেকে ঢুকে পড়ে। বিটিভির নতুনকুঁড়ি একসময় বড়সড় দরজা ছিল। ঈশিতা, তারিন এরা ঐপথেই এসেছে। আবার তেমন কিছু ছাড়াও।

যেমন- দীঘি। তবে কচিকালের শিশুতোষ কাজের পরপরই দীর্ঘ বিরতী টানতে হয়। এবং বিরতী শেষে সবার কপালে আর তা জোটেনা। যেমন- মিমের কপালে তেমন সাড়া জুটছেনা। তাই হাইস্কুল শেষ হতে না হতেই আবার ঘষামাজা শুরু! উল্থান এদিকে তাকিয়ে, ওদিকে ঘাড় বাঁকা করে, নানান রংয়ে, নানান ঢংয়ে, নানান বসনে ৩আর সাইজের ছবি নিয়ে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি।

বাজারে চলার মত চামড়া, মাংস, উচ্চতা, যৎকিঞ্চিৎ চেহারা আর বাকশক্তি। সাথে পর্যাপ্ত তদবির করলে ইন্টারমিডিয়েটই ডাক পড়ে যেতে পাড়ে মহাআরাধ্য ফটোসেশনের। এ হাউজ সে হাউজ ঘুরে শেষ অবধি ছবি উঠে যেতে পারে কোন বিলবোর্ড, পোস্টার বা পত্রিকার পাতায়। বাজারে কান পাতলে শুনা যায় এ পর্যায়ে নাকি অনেক কন্যাকে বিবিধ আবদার মেটাতে হয়। বিশেষ করে নামকরা অনেক বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও তার চ্যালাচামুন্ডারা টিভিসিতে ব্রেক দেয়ার জন্য হার্ড বার্গেইন করে! কারো পয়লা কারো বা তেসরা বিজ্ঞাপনে মাঠে 'সাড়া' পড়ে।

যেমন- প্রভার মেরিল সাবানেই সাড়া পড়েছিল, মোনালিসার লিলি সোপে। দুটির ১টি সাবান বিলুপ্ত আরেকটি নিভু নিভু- যদিও তাদের ভাগ্যের দুয়ার এরপরই খুলে যায়। তবে অনেক কসরত করে লাইমলাইটে এসেছে সারিকা। অনেকগুলো কাজ করলেও বাংলালিংক প্রযোজিত নর্তন কুর্দনের পরই তাকে জাতি চেনে। তেমনি আরেকজন- নাফিসা বা শখ।

তবে নেহায়েৎ ভাগ্যচক্রে পড়ে মডেল হয়েছে বীথি (গ্রামীনফোন- কই রৈলারে বন্ধু)। ইদানীং ইউনিলিভারের লাক্স-চ্যানেলআই চামড়া প্রতিযোগিতার কল্যানে প্রতিবছরই গোটা দশেক কন্যা এ বাজারে ইজিগোয়িং মেথডে ঢুকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে! মেহজাবিন, বিন্দু, মম, বাঁধন, মুনমুন এদের প্রকৃস্ট উদাহরন। তবে বুড়া বয়সে মিডিয়ায় ঢুকে ফাটিয়ে দিয়েছেন ১ কন্যার জননী (স্বামীর ব্যাপারে তার বক্তব্য ঝাপসা), খানিকটা মুটকী, নওশিন। যাহোক মোটামুটি ১৭-২০ বছর বয়সেই যার কপালে আছে তার নাম ফেটে যায়। খেলা শুরু হয় তারপর।

টিভি খুললেই রক্ষে ভগবান। অত্যাচার তেল ডাল আটা ঢেউটিন সাবান সোডার সাথে নিজের ছবি বা নৃত্য দেখানোর সীমিত কলা, মডেলিংয়ের মাঝেই তারা আর বন্দী থাকতে চাননা। আর ঘড়েল নির্মাতারাও কদর বুঝেন। কাহিনীর বালাই ষাট। লাইট, ক্যামেরা, একশন! কন্যারা হয়ে যান অভিনেত্রী, চিত্রকর, কন্ঠশিল্পী, উপস্থাপক, রাঁধুনী, আবৃত্তিকার, লেখিকা আরো কত কি! রদ্দিমার্কা একখানা বাংলা ছবি করলেই নাকি এ যাত্রায় কেবল পূর্নতা পায়।

যদিও পয়লা পয়লা অনেকে তাতে নাক সিঁটকায়। অযোগ্য অপদার্থ এসব অভিনয়কন্যাদের প্রকৃস্ট উদাহরন (বুড়ী থেকে ছুড়ী)- মৌসুমী, রোমানা, রিয়া, মম, মোনালিসা, শখ, বিন্দু ও লেটেস্ট সারিকা। সর্বশেষ কন্যাটির অভিনয় অত্যাচার এককথায় নির্মম!! পতন বা নিভতে নিভতে ফুস তুঙ্গে থাকার সময় তাদের কথার তুবড়িতে টেলিভিশনের সামনে বসা দায়। কত কথা বলে রে! এ কথা সে কথা এ কাজ সে কাজ। তারপর আচমকা ফাঁস হয় থলের বিড়াল বা ফেঁসে যান অজান্তে।

অনেকে। পুরাকালের শমীর কথা মনে পড়ে। ৭ কোটি পুরুষে তার কুলোয়নি। কোথাকার কোন রিংগু না ফিংগু- বুড়ো ঘটি! তারিন বাড়ি ছেড়ে পালাল আমজাদ হোসেনের বলদ মার্কা ছেলের সাথে। মাস না পেরুতেই...।

রোমানার মনে ধরল আনজাম নামে এক সন্ত্রাসীকে। অপিকে অনেকে মেধাবী ভাবত। ওমা ধ্বজ এসোসিয়েট প্রফেসরের সাথে তার শুভ পরিণয়। এখন শুনছি অন্যকথা। আর লেটেস্ট প্রভার ধরা খাওয়ার কাহিনী লিখে মাইনাচ খাইতে চাইনা! তবে নীরবেও অনেকের 'গ্ল্যামার ম্লান' হয়ে যায়।

বিপাশা হায়াত, মৌ, তানিয়া। বুড়ীর খ্যামটা নাচ অথবা বিচারপতি প্রাকৃতিক ও সামাজিক কারনেই ৩০এর পর এদেশে চামড়া ব্যবসা আর বিকোয়না। তবুও ৪৫এ গিয়েও একশ্রেনীর বুড়ী খ্যামটা নাচ দিতে থাকেন। অথার্থ বিচারপতি, গরু, মহাগরু ইত্যাদি পেশায় জড়িয়ে পড়েন। এহেন বুড়ী সমিতির যোগ্য সভানেত্রী হতে পারেন সুবর্না।

একথাল মাংসের দলাসর্বস্ব এ মহিলা এখনো জাতির প্রায় সবমহিলার খুতঁ ধরে বেড়ান। তোমার ঠ্যাংটা এভাবে মোচড় দেয়া ঠিক হয়নি এসব অবোধগম্য প্যাঁচাল পাড়তে থাকেন। বিপাশা, শমী, মিমি, রোজিনা, সাবেরী আলম এরা শেষ বেলায় আর দুটো পয়সা কামিয়ে নেবার চেস্টায় আছেন! শেষ পর্দাদখল করে রাখা কন্যারা এভাবেই একসময় কালের গর্ভে হারিয়ে যান। যেমন- শাবানা।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.