আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবাহ পরবর্তী আপুদের যে দশটা বিষয় ভাইয়ারা বুঝতে চায়না

আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি
বিবাহ পরবর্তী সিরিজ নিয়ে আবার হাজির হলাম। আশাকরি এই পোষ্ট বিবাহিত ও অবিবাহিতদের উভয়ের কাজে লাগবে। ১। আপুদের এত বেশী জুতা থাকে কেনো: আপুরা সাধারণত সাজুগুজু করতে বেশী পছন্দ করে থাকেন। উনাদের আবার সবকিছু ম্যাচিং হওয়া চাই।

নাহলে আবার প্রেসটিজ থাকে না? তাছাড়া একই জুতা কি বারবার রিপিট করা যায়? সবজায়গায় কি হিল পরে যাওয়া যায় নাকি? ২। আপুদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি: ইলেকট্রিকের তারের উপরে কাকটাও যখন যেখানে খুশী যেতে পারে। অথচ আমি একটু মার্কেটে যাবো বললেই গরম তেলে পানি পড়েছে অবস্হা হয়। মন কি চায় না একটু বাপের বাড়ি যাই, তাতেও স্বাধীনতা নাই। আর স্বাধীনতার কথা বললে সুনামী বয়ে যাওয়ার চান্স বেশী।

তবে শপিংয়ে ব্যাগ বেশী হয়ে গেলে যদি কিছু হাতে নেয় কিংবা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দরজাটা খুলে ধরে রাখলে খুব ভালো লাগে। ৩। প্রতিদিন আপুদের বিছানা পরিস্কার নিয়ে খিটিমিটি: হররোজ বিছানা পরিস্কার করা আর মশারি খাটানো কতটা বিরক্তিকর তা ভুক্তভোগীই জানে। কেনো বাপু, তুমি কি মাঝে মাঝে করতে পারোনা? আর যদি না পারো তাহলে বিছানা এলোমেলো কর কেনো? ৪। আপুদের তৈরী হতে সময় বেশী লাগে: সময় তো লাগবেই, আমাকে সবচেয়ে সুন্দরী দেখতে চাইবে আর মেকআপ করতে সময় দিবেনা এইটা কেমন কথা? শাড়ী পরা কি কম ঝক্কির কাজ? আচছা এত অলংকার পরতে হয় যে একটা একটা করে পরতেও তো সময় লাগে।

এত বড় শাড়ী ইস্ত্রী করতেও তো সময় লাগে। এত ব্যাজর ব্যাজর না করে শাড়ীটা ইস্ত্রী করে দিয়ে হেল্প করলেই তো পারো। ৫। আপুদের শপিংয়ে খুব বেশী সময় লাগে: জিনিস দেখে শুনে না নিলে ঠকতে হয়। ভালো জিনিস না দেখলে ওইটা আবার বদলাতে যাবে কে? আবার পছন্দের একটা ব্যাপার আছে না।

কোন কাপড় কিনলে কোন রঙের পার্সের বা জুতার সাথে যাবে তাতো একটু চিন্তা করে নিতে সময় একটু লাগবে বৈকি। ৬। আপুদের ঘন ঘন চকলেট বা আইসক্রীম খেতে চাওয়া: স্বামীরা কি বুঝবে সারাদিনের সংসারের ঝামেলার পর একটু আইসক্রীম বা একটা চকলেট কতটা রিফ্রেশ করে দেয়। ৭। আপুদের অশ্লীল কৌতুকে অনাগ্রহ: বাজে কৌতুক না করলে কি হয় না? আরে বাবা কত সুন্দর কৌতুক আছে ঐগুলা বললেই তো হয়।

তাছাড়া বাজে কৌতুকে হাসতে হবে বলে কথা নাই। পারসোনালিটির একটা ব্যাপার আছে না! ৮। মাসের বিশেষ সময়ে মেজাজ খিচঁড়ে থাকা: প্রাকৃতিক ব্যাপার একটু অসুস্হ লাগেই। তাই মেজাজ খারাপ থাকাই স্বাভাবিক। কোথায় একটু সহানুভূতি থাকবে..................... ৯।

আপুদের ঘন ঘন ফোন করা/ মেসেজ দেয়া: যা দিনকাল পড়েছে। একটু ইনসিকিরউড লাগে। তাই খবর নিলেই কি দোষ হয়ে যায়? একটা মেসেজ যে কত স্বস্তি দেয় তা কি করে বুঝাই। ঘন ঘন ফোন করলে ভাইয়ারা কাজ করবে কি? ১০। টেলিফোনে বেশী কথা বলা: আপুরা সাধারণত ফোনে বেশী কথা বলে থাকেন।

এতে যে পরিমাণ বিল মাস শেষে ভাইয়াদের দিতে হয় তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক ফোনটা কানের সাথেই সেলাই করা ছিলো। মোবাইলে টাকা ভরে দিলে তা জুয়েল আইচের জাদুর মত নিমিষেই ভ্যানিশ হয়ে যায়। অতএব, সাধু সাবধান। MSN life & Style অবলম্বনে বিবাহ পরবর্তী ভাইয়াদের যে দশটা অভ্যাস আপুদের পাগল করে দেয় বিবাহ পরবর্তী আপুদের যে দশটা অভ্যাস ভাইয়াদের পাগল করে দেয়
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।