আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাজ করে থাকলে আপনারাও বিলবোর্ডে দিন: হানিফ

বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে যদি কোনো উন্নয়ন কাজ হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলোও বিলবোর্ডের মাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সভায় তিনি বলেন, “সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিএনপির চোখে পড়ে না। তাই বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখানোর জন্যই বিলবোর্ডের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। ”
ঈদের আগে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে স্থাপিত বিলবোর্ডগুলো মহাজোট সরকারের সাড়ে চার বছরের ‘উন্নয়নচিত্রের’ ডিজিটাল ব্যানারে ছেয়ে যায়।
‘উন্নয়নের অঙ্গীকারের ধারাবাহিকতা দরকার’ বলে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় পাঠাতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে এসব বিলবোর্ডে।


হানিফ বলেন, “বিএনপি আমাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নাকি তাদের চোখে পড়ে না। তাই তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের উন্নয়ন দেখাচ্ছি। আমাদের সরকারের এই উন্নয়ন চিত্র দেখে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
বিলবোর্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের এই প্রচারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি বলছে, এর মধ্য দিয়ে জনগণের মন ফেরানো যাবে না।


দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “সরকারকে বলব, কোথায় কোথায় আপনারা উন্নয়ন করেছেন, তার হিসাব দিন। মিথ্যাচার করে লাভ হবে না। ”
এই সমালোচনার জবাবে হানিফ বলেন, “ক্ষমতায় থাকতে আপনারা (বিএনপি) যদি কোনো উন্নয়ন করে থাকেন, তবে তা জাতির সামনে তুলে ধরেন। বিলবোর্ডে প্রচার করুন। ”
১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনা স্মরণে প্রস্তুতি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন হানিফ।


এম কে আনোয়ারের বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, “রোজা রেখে টুপি পড়ে তিনি মিথ্যাচার করছেন। বিলবোর্ডের কোথায় অসত্য তথ্য আছে তা আমাদেও দেখিয়ে দিন। অন্যথায় এই মিথ্যাচারের জন্য আপনাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ”
সিটি নির্বাচনে সরকারের প্রতি জনগণ ‘অনাস্থা’ দেখিয়েছে- “বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জিতে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আবার তারাই বলছে, সিটি নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন এক নয়।


আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি সঠিকভাবে তাদের সরকারের উন্নয়নের কথা প্রচার করতে পারে তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরাই জয়লাভ করব। ”
ঈদের পর জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতাল ‘রুখে’ দিতেও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী হানিফ।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের এই হরতাল আদালত অবমাননার শামিল। হরতালের নামে তাদের এই অপতৎপরতা মেনে নেয়া হবে না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।


হাই কোর্ট এক রায়ে নিবন্ধন বাতিল করায় আগামী ১২ ও ১৩ অগাস্ট সারাদেশে এই হরতাল ডেকেছে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ‘সময় এসেছে’ মন্তব্য করে হানিফ বলেন, “এই ফ্যাসিস্ট দলকে জাতি আর দেখতে চায় না। ”
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সভায় বক্তব্য দেন।
 
 
 

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।