আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাম কমছে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের

বাংলাদেশ

দীন ইসলাম: আরেক দফা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমতে যাচ্ছে। এই দফায় মূল্য তিন ভাগের এক ভাগ কমবে। দাম কমলে মেগাবাইট প্রতি (ভ্যাট ছাড়া) ব্যান্ডউইথের বর্তমান মূল্য ১৮ হাজার টাকা থেকে কমে দাঁড়াবে ১২ হাজার টাকায়। এছাড়া আগামী জুলাই থেকে প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের দাম ১০ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা হবে। শিগগিরই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম বাড়ানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছে ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, ব্যান্ডউইথের দাম মেগাবাইট প্রতি ছয় হাজার টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিরেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। তবে মাস ছয়েক পরে আরও কয়েক হাজার টাকা কমানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। সম্ভব হলে এটাকে ১০ হাজার টাকার নিচে নামিয়ে আনা হবে। ওদিকে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর পাশাপাশি ব্যবহার না হওয়া ব্যান্ডউইথ রপ্তানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

দফায় দফায় ভারত, নেপাল ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন কোম্পানি যোগাযোগ করছে। সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লি. (বিএসসিসিএল) দু’টি কোম্পানিকে চূড়ান্ত করেছে। ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথে যুক্তদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত নভেম্বরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের পর ডিসেম্বরেও একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টারনেটের ব্যবহার গ্রাম থেকে গ্রামান্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যকর করতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওদিকে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর ঘোষণাটি যে দিনই দেয়া হোক না কেন মূল্য কমানোর বিষয়টি কার্যকর হবে ১লা জানুয়ারি থেকে। কয়েক জন গ্রাহকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ব্যান্ডউইথের উৎস মূল্য ব্যাপক আকারে কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে সব সময় তার প্রভাব পড়ে না বলে অভিযোগ রয়েছে। চার বছরে চার দফায় মূল্য কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে সেভাবে ব্যান্ডউইথের খরচের তেমন প্রভাব পড়েনি। অন্যদিকে আইএসপিরা বলছেন, ব্যান্ডউইথের খরচ কমলেও অন্যান্য খরচ না কমে বরং বাড়ার কারণে গ্রাহকদের লাভ হয়নি।

তবে টাকার অঙ্কে লাভ না হলেও আগের টাকাতেই তারা বেশি ব্যান্ডউইথ পেয়েছেন বলেও জানান তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএসসিসিএল’র কাছে থাকা ব্যবহার না হওয়া ব্যান্ডউইথ রপ্তানির ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। কয়েক দফা চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেনটিক এবং বাংলাদেশের দু’টি কোম্পানি ব্যান্ডউইথ নেবে। মার্কিন কোম্পানিটি নেবে এক লাখ মিউকিলোমিটার ব্যান্ডউইথ- তা থেকে বছরে বিএসসিসিএল-এর আয় হবে ২২ কোটি টাকা। আর দেশের মীর টেলিকম এবং বাংলাট্রেক যৌথভাবে নেবে আরও ১৯ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ।

এছাড়া ভারত, নেপাল, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুর ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কোম্পানি উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ কিনতে যোগাযোগ করছে। ইতিমধ্যে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় আটটি রাজ্যে অন্তত ১০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ দেয়ার কথা চলছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।