আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীত বাড়ছে বাড়ছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ

আমি একজন সাধারন ব্লগার

অরণ্য রিবেল দেশজুড়ে শীত নামছে। ঢাকা শহরে নানা কারণে শীতটা সেভাবে টের পাওয়া না গেলেও দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে শীতের প্রকোপ ভালোই বোঝা যাচ্ছে। কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৬-৭ ডিগ্রিতে নেমে আসছে। শীতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সহযোগী একটি পত্রিকার খবর থেকে জানা যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলে প্রবল শীতে মারা গেছে ১৪ জন।

প্রবল ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বিপদে পড়ে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ সময় ঠাণ্ডাজনিত নানারোগে আক্রান্ত হয় এসব মানুষ। এছাড়া দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষরাও এ সময় প্রচণ্ড সংকটে সময় কাটায়। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ।

সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় শীতের তীব্রতা আরো বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বিশেষত শিশু রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে সন্ধ্যা নামার আগেই উত্তরাঞ্চলের লোকজন ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। শীতবস্ত্রের অভাব প্রকট হওয়ায় এবং দারিদ্র্যের কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে মানুষ।

উত্তরের কোনো কোনো অঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে আকাশ। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে ট্যাক্সি বাসসহ দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে। শীতের এ তীব্রতা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি তা নিরসনে উদ্যোগ খুব কম। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের সে হিসাব পত্রিকা মারফত জানা গেছে তা নিতান্তই অপ্রতুল। বিভিন্ন জেলা থেকে কম্বল বা শীতবস্ত্রের যে চাহিদা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।

তার জোগান দেয়া সম্ভব হয়নি। শীতে রোগ ব্যাধি বাড়ে, বিশেষত জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, চর্মরোগ কিংবা ডায়রিয়া। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ে এ সময়, বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধদের। এবার নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই যেরকম শীতের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে তাতে আগামীতে কি হবে আবহাওয়ার অবস্থা ভেবে শঙ্কিত হতে হয়। সাধারণ মানুষসহ দরিদ্র মানুষের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি দরকার গরম কাপড়।

শীতবস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব নিতে হবে সরকার বিত্তবান মানুষ আর স্বেচ্ছাকর্মীদের। সকলের সম্মিলিত চেষ্টাই শুধু এসব মানুষকে শীতের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।