আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নওগাঁয় ৩ দিনের সফর শেষে বন্য হাতিটি অবশেষে ভারতে চলে গেল

www.nationalnews.com.bd

কিউ,এম,সাঈদ টিটো-(নওগাঁ প্রতিনিধি): দলছুট একটি বন্যহাতি ৩ দিন নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অবশেষে পতœীতলা উপজেলার হাটশাওলী সীমান্ত এলাকা দিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ভারতে চলে গেছে। শুক্রবার সকালে হাতিটিকে চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তের গোপালপুর গ্রামের একটি আখক্ষেতে দেখা যায়। সেখান থেকে গত ৩ দিন ধরে হাতিটি চাপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে শনিবার পোরশা উপজেলার বড়গ্রাম এলাকায় আসে। পোরশা থানার ওসি জাহিদুর রহমান চৌধুরী জানান,সারাদিন হাতিটিকে অনুসরণ করেও তাকে ধরা যায়নি। তবে হাতিটি কারও কোন ক্ষতি করেনি বলেও তিনি জানান।

দুপুরে হাতিটি সাপাহার উপজেলার রামপুর এলাকায় ঢুকলে থানা পুলিশের একটি টিম ও পাইকবান্ধা বনবীট অফিসার সাইদুর রহমান হাতিটির গতিবিধি লক্ষ্য করে চলেন। শনিবার দিবাগত রাতভর হাতিটি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সকালে পতœীতলা উপজেলার হাটশাওলী সীমান্তের ২৫৩ নং পিলারের ৫শ গজ উত্তরে ভারতের অর্জুনপুর বিএসএফ ক্যাম্পের নিকটে একটি ব্রীজের কাছে অবস্থান নেয়। ভারতীয় বিএসএফ হাতিটিকে দেখতে পেয়ে ব্রীজের নিচের কাঁটাতারের বেড়া কেটে পরিস্কার করে দেন। রবিবার বিকেলে হাতিটি ধরার জন্য বাংলাদেশের “জনতা সার্কাসে”র একটি হাতি ধরা দল ওই এলাকায় গিয়ে হাতিটিকে ধরতে চাইলে বিডিআর-বিএসএফ দলের মধ্যে তাৎক্ষনিক পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ হতে হাটশাওলী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শরিফ উদ্দীন ও পাইকবান্ধা বনবীটের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান এবং ভারতের পারিলা বিএসএফ ক্যাম্পের ইন্সপ্যাক্টর মিঃ রামকুমার ও পশ্চিমবঙ্গের বিভাগীয় ফরেস্ট অফিসার মিঃ অপূর্ব সেন নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে বিএসএফ হাতিটি ভারতীয় বন্যহাতি বলে দাবী করে এবং বাংলাদেশের হাতিধরা দলকে হাতিটিকে ধরার অনুমতি দেন। এরপর বিডিআর-বিএএফ এর উপস্থিতিতে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা বিভিন্ন কৌশল অলম্বন করেও হাতিটিকে ধরতে ব্যর্থ হয়ে হাতিধরা দল ফিরে আসে। পতাকা বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে আসে। এর কিছুক্ষন পরই সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাতিটি স্বেচ্ছায় ব্রীজের নীচ দিয়ে ভারত অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.