আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মীয়স্বজনের অযৌক্তিক আবদারকে গুরুত্ব না দিয়ে ছেলে-মেয়ের পছন্দকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত

একটা ছেলে ও একটা মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছে। ছেলে মেয়েটাকে পছন্দ করে, মেয়েও ছেলেটাকে পছন্দ করে। কিন্তু তারপরেও.... মেয়ের মামাঃ ছেলে সরকারী চাকরি করে না। বেসরকারী চাকরির তো কোনো ভরসা নাই। মেয়ের খালাঃ ছেলে শ্যামলা কেন? ফর্সা হলে ভালো হতো।

মেয়ের খালুঃ ছেলের বাবার তো জায়গাজমি বেশি নাই। মেয়ের মামীঃ ছেলের মাথায় চুল কম কেন? কয়েকদিন পরে যদি টাক পড়ে যায়? মেয়ের চাচাঃ ছেলের বংশে সমস্যা আছে। মেয়ের ফুপাঃ আমি খোঁজ নিয়েছি। এই ছেলের দুঃসম্পর্কের চাচাতো ভাইয়ের নামে থানায় মামলা আছে। মেয়ের ফুপুঃ ছেলের বাপের তো দোতলা বাড়িই নাই! মেয়ের চাচীঃ ছেলের বেতন কয় টাকা? ... ছেলের মামাঃ মেয়ে খাটো।

ছেলের খালাঃ মেয়ের চালচলন ভালো মনে হয়নি। ছেলের খালুঃ মেয়ের বড় ভাই বেকার। ছেলের মামীঃ মেয়ের বাপ যৌতুক না দিক, উপহারসামগ্রীও দিবে না কেন? ছেলের চাচাঃ মেয়ের বাপ উকিল ছিল। নাহ, উকিলের বংশে ছেলে বিয়ে দেয়া ঠিক না। ছেলের ফুপুঃ মেয়ের নাক বোচা।

গায়ের রঙ আরো উজ্জল হওয়ার দরকার। ছেলের ফুপাঃ মেয়ের এলাকায় মেয়ের নামে আজে বাজে কথা শোনা যায়। ছেলের চাচীঃ এই মেয়ের বান্ধবী বিয়ের আসলে পালিয়ে গেছিলো। ... এই ধরনের অজস্র কথা শোনা যায় বিয়ের আগে। এইসব আত্মীয়স্বজনের ভাব দেখলে মনে হয়, বিয়েটা তারা নিজেরাই করছে!! অনেক বাবা মায়েরাও এধরনের কথা বলেন, হাস্যকর প্রশ্ন তোলেন।

বছরের ৩৫৫টা দিন ছেলেটা আর মেয়েটা ভিন্ন কোনো শহরে নিজের সংসার নিয়ে থাকবে। আর বছরের দুই ঈদে/পূজায় ১০টা দিন তারা হয়তো বাবা মা আত্মীয় স্বজনে সবার সাথে একই বাড়িতে থাকবে। তাই, আত্মীয়স্বজনের অযৌক্তিক আবদারকে গুরুত্ব না দিয়ে ছেলে মেয়ের পছন্দকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।