আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ ভ্রমণ

............................................

গতকাল দুপুর দুইটায় মালিবাগে এসে বসেছিলাম। তিনটার বাসে খুলনা যাবার উদ্দেশ্যে। তিনটা বেজে গেল কিন্তু বাস আসার নাম নেই। সাড়ে তিনটার সময় একটা বাসে করে সব যাত্রীদের কল্যাণপুরের উদ্দেশ্যে উঠিয়ে দেয়া হলো। কল্যাণপুরে যেয়ে ছয়টা পর্যন্ত বসেছিলাম গালে হাত দিয়ে অথচ বাস আসার নাম নেই।

বাসে ওঠার পর আব্বু ফোন করে বলে, আম্মু তোমরা এখন কোথায়? আমার বোন বললো, আব্বু আমরা এখন কল্যাণপুরে। আব্বু বলে, কি! কিছুক্ষণ পর আম্মুও ফোন করলো। সেও একই উত্তর শুনে ‘কি’ করে উঠলো। বাস ছাড়ার পরে মামী ফোন করে জানতে চাইলো আমরা কোথায়। শোনার পর তিনি ১৫ সেকেন্ড কথা বলতে পারেননি।

তারপরে অবশ্য একটা চিতকার দিয়ে মামাকে বলেছিল, শুনেছো আউলাদের বাস নাকি এখন ছাড়লো! বাস ছাড়ার পর জানতে পারলাম আমরা পদ্মার উপর দিয়ে না যমুনার উপর দিয়ে খুলনা যাবো। অর্থাত সারা দেশ ঘুরে যেতে হবে। এটা শুনে আমার বোনটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লো। আব্বু কিছুক্ষণ পর ফোন করে বললো, বাস আধ ঘণ্টার জন্য সিরাজগন্জ থামবে তখন তোমরা ভারী কিছু খেয়ে নিও। যমুনা হয়ে খুলনা যাবো শুনে আব্বুর ঘুম নষ্ট হয়ে গেল।

সে আধ ঘণ্টা পরপর জিজ্ঞেস করে আমরা কোথায়! অবশেষে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালাম সবুজ মরিচ রেস্টুরেন্টের সামনে। প্রথমেই কফি খেয়ে বোনকে বললাম, কি খাবো আমরা? ভাত? আমার বোন নাক সিঁটকে বললো, জীবনেও না। এরপর সে ফাস্টফুড কিনলো বেশি করে যাতে করে পথে সমস্যা না হয়। সিরাজগঞ্জ থেকে খুলনা যেতে প্রায়ই ৭ ঘন্টা লাগে। এমন জঘন্য বার্গার আমি জীবনে খাইনি সিরাজগঞ্জে যা খেয়েছি কাল! খুলনার কুইকের বার্গারও এর চেয়ে ভালো।

বার্গার আর কোক খেয়ে আমার শরীর খারাপ হয়ে গেল তিনটার সময় যশোরে গিয়ে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। বমি হয়ে গেল। আমি ভাবলাম আমার চাদরের উপর করেছি। এটা ভেবে অস্বস্তি লাগতে লাগলো। কিন্তু আলো জ্বালানোর পর দেখা গেল বাস আলাদের কম্বলের উপর বমি করেছি।

কম্বলটা ফেলে দিলাম নিচে। তখন মনে অনেক শান্তি লাগলো। আর ভাবলাম, উচিত শিক্ষা দিয়ে গেলাম শয়তানগুলোকে বমি করে কোনোদিন এত খুশি হইনি। রাত চারটায় খুলনায় পৌঁছালাম। বাস থেকে নামার পর ঠান্ডা বাতাসে মনে হলো কে যেন গায়ের উপর পানি ঢেলে দিয়ে গেল।

কিন্তু কিন্তু বাড়িতে পৌঁছানোর আনন্দে মনটা ফুরফুরা হয়ে গেল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।