আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্ত্রী-লোকের গনোরিয়া রোগ (Gonorrhea in the female)

সাধারণ মানুষ যার জানার কিছু ইচ্ছা আছে।
পূর্ব প্রকাশের পর--------- স্ত্রী-লোকের গনোরিয়া রোগ (Gonorrhea in the female) স্ত্রী-লোকের গনোরিয়া রোগ হলে পুরুষের চেয়ে কম লক্ষন প্রকাশ পায়। সাধারণতঃ প্রসাবের নলীতে বা জরায়ুর সারভিক্সের প্রদাহ হয়ে থাকে। বার্থালান Biathlon ৎ গ্ল্যান্ড খুব কম ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগের প্রকাশের লক্ষন হিসাবে জরায়ু অঞ্চল গরম হয় এবং একটা অস্বস্থি বোধ হয় ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়।

শতকরা ৩০ জন রোগীর মধ্যে প্রথমিক কোন লক্ষন প্রকাশ পায় না। যদি সারভিক্স আক্রান্ত হয় তবে সামান্য রক্ত মিশ্রিত সাদা স্রাব বা হলদেটে সাদাস্রাব দেখা দেয়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে লিউকোরিয়া রোগেও সাদা স্রাব দেখা দিয়ে থাকে। আর বয়স্কদের বেলায় সাধারণতঃ ভাজাইনার প্রদাহ হয় না। কিন্তু শিশু ও মেয়েদের মধ্যে ভাজাইনা প্রদাহ হয়ে থাকে।

ছোটদের ভাজাইনাতে দুর্ঘটাক্রমে গনোরিয়ার জীবানু সংক্রামিত হয়ে থাকে। স্ত্রী-লোকের জরায়ু অভ্যান্তর ভাগে আক্রান্ত হয় এবং ঐখান থেকে ফ্যালোপিয়ান টিউব আক্রান্ত হয়। ইহার আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তীতে এই অবস্থা হতে পারে যে,ঐ স্ত্রী-লোকের আর কোনদিন সন্তানাদি হয় না। জরায়ু অভ্যান্তর ভাগ আক্রান্ত হলে অধিক পরিমান মাসিক স্রাব ও ব্যাথাপূর্ণ স্রাব হতে পারে। স্ত্র-লোকের মলদ্বারে গনোরিয়া জীবানু জনিত প্রদাহ হতে পারে।

আর ইহাকে বলে প্রোকটাইটিজ Proctitis বলে। বহুদিন যাবত পুরানো গনোরিয়া থাকিলে হলদেটে সাদা স্রাব দেখা যায়। গনোরিয়ার সাথে অনেক ক্ষেত্রে সিফিলিজ রোগও থাকে। সিফিলিজ রোগ আছে কিনা তাহা নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করা আবশ্যক। যদি সিফিলিজ থাকে তবে এর চিকিৎসা করা অতি প্রয়োজন।

নন্ এসপেসিফিক ইউরেথ্ রাইটিজ Nonspecific Urethritis ৎ এই রোগ গনোরিয়ার জীবাণু জনিত কারনে নহে। কেননা আত্যাধিব যত্নসহকারে পরীক্ষা করে দেখাগেছে গনোরিয়া রোগের জন্য দায়ী গনেকক্কাস জীবানু এর মধ্যে নাই। উহা যে কি জীবনু দ্বারা হয় তা নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বিভিন্ন পরীক্ষায় যে সকল জীবানু পাওয়া যায় উহা প্রথমিক কারনের জীবানু নয়। ইহা দ্বিতীয় স্তরের ইনফেকশন জীবানু আর উহাদের আক্রমনে গনোরিয়ার মতই লক্ষন প্রকাশ পায়।

এই রোগে আক্রান্ত এই রূপ স্ত্রী সঙ্গমের কারনে এই রোগ দেখা দিয়ে থাকে। গনোরিয়ার মত ২হতে ৮ দিন পরে লক্ষন প্রকাশ পায় তবে কোন কোন ক্ষেত্র আরও পরে লক্ষন প্রকাশ পেতে পারে। সাধারণতঃ এই সকল স্ত্রী-রোকদের প্রদর রোগ থাকিতে দেখায়ায়। প্রকৃত বাপার হইতেছে এই রোগের কারন না জানাই এই রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আনেক জটিলতা দেখা যায়। তবে হোমিওপ্যাথি রোগের চিকিৎসা করেনা করে রগীর চিকিৎসা আর এই জন্য রোগীর মানষিক ও শারীরিক লক্ষনের মাধ্যমে এমন ভাবে আরোগ্য সম্ভব যা অন্য প্যাথি দ্বারা কোন দিন সম্ভব নয়।

গনোরিয়া স্রাব মূল গত ভাবে চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ভালো না করলে রোগটি চাপা পরে যায় । অর্নিমুল পদ্ধতির স্থুলো মাত্রার ঔষধ সেবনে রোগটি চাপা পরাই রোগী মনে করে সে আরোগ্য লাভ করিল কিন্তু মুল জীবানু তার শরীর অভ্যান্তরে লুকিয়ে থাকে আর কিছু দিন পরে আরও গরুতর কোন অসুখ হিসাবে ঐরোগ শক্তি প্রকাশ লাভ করে। এই জন্যে বর্তমানে দেখা যায়,যারা রোগী তারা কিছুদিন পর পর এক অসুখ থেকে আর এক অসুখে ভুগে থাকে। আর এর কারন হল আরোগ্য দান কারী চিকিৎসা পদ্ধতি মতে চিকিৎসা না করার কারনে রোগী সাময়ীক লক্ষন গুলো দুরভিত হয় কিন্তু মূল রোগ শক্তি তার দেহের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকে যা সুযোগ মত অন্য নাম অন্য রোগ হিসাবে আত্নপ্রকাশ করে। আর রোগী মনে করলো তার নতুন অসুখ হলো কিন্তু প্রকৃত বাপার লুকায়িত রোগ শক্তি অন্য প্রকাশে তার কাছে আগোমন করেছে এটা তার ধারনার বাহিরে।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।