আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহা প্রাণবিলোপের সময়কার বিপুল জীবাশ্মের সন্ধা!!!!!

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে নাকি একলা চলতে হয়।

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো প্রায় ২০ হাজার ফসিল এক জায়গায় খুঁজে পেলেন। চীনের ইউনান প্রদেশের লুপিং অঞ্চলের পাহাড়ের গায়ে চাপা পড়ে থাকা এসব ফসিলের মধ্যে রয়েছে পুরো একটি সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের সব সদস্য। প্রায় ২৫ কোটি বছরের পুরনো এসব জীবাশ্ম পারমিয়ান যুগের শেষের দিকের। সে সময় পৃথিবীজুড়ে প্রাণী বিলুপ্তির এক মহাপ্রলয় ঘনিয়ে এসেছিল।

দিনের দিন পর দিন ধরে আগ্নেয়গিরির ভয়াল অগ্ন্যুৎপাত এবং বিধ্বংসী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পারমিয়ান যুগের শেষের দিকে পৃথিবী থেকে ৯০ শতাংশ প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছিল। সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় ঘটেছিল সামুদ্রিক প্রজাতির। স্থলভাগের ৭০ শতাংশ এবং সমুদ্রভাগের ৯৬ শতাংশ প্রজাতি সে সময় চিরতরে হারিয়ে যায়। এটাকে বলা হয় পৃথিবীর সর্বকালের ভয়াবহ প্রাণবিলুপ্তি। পরবর্তী 'ট্রায়াসিক' যুগে এই বিপুল প্রজাতি ধ্বংসের বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় একটি সুষম ইকোসিস্টেম প্রাণ-পরিবেশ তৈরি করে।

এর জন্য পৃথিবীর এক কোটি বছর লেগে যায়। সমুদ্রের পলি কঠিন আকার ধারণ করার সময় এর তলানির জোড়ামুখে এসব জীবাশ্মের সন্ধান মেলে। চুনাপাথরের এই জোড়ামুখ প্রায় ৫০ ফুট পুরু। এ সময় এই এলাকা ছিল বিষুবরেখার উত্তর বরাবর চীনের একটি বৃহৎ দ্বীপ। চীনের 'চেংদু জিওলোজিক্যাল সেন্টার' এর বিজ্ঞানীরা এ গবেষণা পরিচালিত করেন।

এদের একজন, অধ্যাপক শিচু হু বলেন, প্রাপ্ত জীবাশ্মগুলোর অর্ধেকের বেশি সম্পূর্ণ অবিকৃত রয়েছে। এমনকি এসব ফসিলের নরম টিস্যু পর্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। হু বলেন, 'শত শত টন পাথর সরিয়ে এই এলাকা খনন করতে আমাদের তিন বছর লেগেছে। এর পর আমরা এই হাজার হাজার অবিশ্বাস্য জীবাশ্মের সন্ধান পাই। এ জীবাশ্ম নিয়ে আমাদের ব্যাপক গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি হলো।

আগামী ১০ বছর সেসব কাজ শেষ করা হবে। যদিও এখনো অনেক অনুসন্ধান এখানে বাকি রয়েছে। ' তাঁর মতে, পারমিয়ান যুগের শেষে প্রজাতির বিপুল বিলুপ্তির পর সামুদ্রিক প্রাণিজগৎ কিভাবে পুনরায় একটি সুষম ইকোসিস্টেমে ফিরে এল এবং নববিকাশ ঘটাল_আবিষ্কৃত ফসিলের ভেতরে এসবের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে। সুত্রঃ-http://www.kalerkantho.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।