আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যদি লাইগ্যা যায় : বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকিট !!!

ব্যস্ত হাতুড়ে !!! "টাইম কম, সিরিয়াল বিরাট! কাজেই কথা তাড়াতাড়ি শেষ করেন" "মডুদের কাছ থেকে ভিজিট নেওয়া হয় না"
লটারি সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এ পর্যন্ত যারা লটারি টিকিটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন তাদের কপালই আলাদা বলা যায়। কত মানুষ নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে লটারির টিকিট কিনে। কিন্তু কপাল খুলেছে হাতে গোনা কজনারই। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অবস্থাও হয়েছে তাই।

এবারই প্রথম বাংলাদেশে দুনিয়া কাঁপানো এ আসর বসছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, আর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্যাট বলের বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। চট্টগ্রামেও দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নিজেদের দেশে ক্রিকেটের বিশ্ব লড়াই, কেউ কি আর স্বচক্ষে খেলা দেখার লোভ ছাড়তে পারেন। যতই লোভ বা প্রত্যাশা থাকুক না কেন, বিশ্বকাপ দেখার আশা কজনার আর পূর্ণ হবে।

কেননা খেলা দেখতে চাইলে তো টিকিট পেতে হবে। বিনা টিকিটে কেউ তো আর স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন না। টিকিট কিনতে অর্থের প্রয়োজন। তবে অর্থ এখানে তেমন ফ্যাক্টর হবে না। কারণ অনেক খেলাপাগল দর্শক আছেন যারা প্রচুর অর্থ দিয়েও টিকিট কিনতে চান।

কিন্তু বিশ্বকাপে যে অবস্থা হবে তাতে তো চড়া দাম দিতে চাইলেও হাতে টিকিট কেউ পাবেন কিনা সংশয় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বা মিরপুরের ম্যাচগুলোতে গ্যালারি ভরতে টিকিট ছাড়া হবে না। নিরাপত্তা ও সংরক্ষিত আসনের চিন্তা করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট ছাড়া হবে। ক্রিকেট বোর্ডের ঘোষণা অনুযায়ী পহেলা জানুয়ারি থেকে সাধারণ দর্শকদের জন্য বিশ্বকাপের টিকিট ছাড়া হবে। অনেকের ধারণা ছিল বিশ্বকাপ বলে টিকিটের মূল্য থাকবে অনেক।

বিসিবি ও আইসিসিকে ধন্যবাদ দিতে হয় যে, তারা সাধারণ গ্যালারির টিকিটের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখেছেন। সব ঠিক ছিল, কিন্তু টিকিট পাবেন কজনা। লটারি টিকিটে পুরস্কার পাওয়াটা যেমন ভাগ্যের তেমনি বিশ্বকাপ টিকিটেরও একই অবস্থা। ১ জানুয়ারি দেশের সর্বত্র টিকিট বিক্রি শুরু হবে। দেখা যাবে ভোর থেকেই কাউন্টারের সামনে দীর্ঘলাইন।

অনেকে হয়তো টিকিট পাওয়া নিশ্চিত করতে চড়াদামে লাইনও কিনে রাখবেন। ভিসা পেতে গুলশানে বিদেশি দূতাবাসের সামনে এই ঘটনায় ঘটছে। যাক তারপরেও তো অনেকের ভাগ্যে ভিসা মিলে। কিন্তু বিশ্বকাপের টিকিট পাবেন কোন ভাগ্যবানরা। দর্শকদের সুবিধার জন্য ব্যাংকগুলোতে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

বাস্তবে তো এখানে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাটাই হবে বেশি। কারণ ব্যাংক কর্মচারীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খেলা দেখা নিশ্চিত করতে আগেই নিজেদের পকেটে টিকিট ভরে রাখবেন। এক্ষেত্রে আবার বাণিজ্য করতে বিসিবির কর্মকর্তারাও ব্যাংক কর্মচারীদের সঙ্গে সন্ধি করতে পারেন। ঢাকার বাইরে তো আরও খারাপ অবস্থা হতে পারে। কেননা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা টিকিটের নিয়ন্ত্রণ করবেন।

সত্যিই যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে তারা কি বাণিজ্য ছাড়া টিকিট ছাড়তে চাইবেন। ক্রীড়াঙ্গনে তাদের চরিত্রের কথাতো কারোর অজানা নেই। নিজ দেশে বিশ্বকাপ হলেও অনেক দর্শককে টিভির দিকেই চেয়ে থাকতে হবে। উপায় কি, টিকিট না পেলে খেলাপাগল দর্শকরা খেলা না দেখে কি আর থাকতে পারবেন। সত্তর দশকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি লটারির টিকিটের বিজ্ঞাপনে 'যদি লাইগ্যা যায়' বলে চমৎকার এক স্লোগান ছিল।

সারাদেশে এ বিজ্ঞাপন ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এখনতো বিশ্বকাপ টিকিটেও 'যদি লাইগ্যা যায়'-এর মতো অবস্থা হবে। কার কপালে যে এ সোনার হরিণ জুটবে তা বলা মুশকিল। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।