ব্লগে মনে হয় নিজেদের জাহির করতে কিছু ছাগু ঢাবির বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই লিখে যাচ্ছে। মনে হয় ইন্টারনেটের গতি,আর ফাস্টফুডের দোকান থাকলেই ভালো বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যায়।
ঢাবির ৯০ ভাগ ছাত্র মধ্যবিত্ত পরিবারের । তারা রাজনীতি নিয়ে ভাবে না। ছাত্রদল আর ছাত্রলীগের ৯৯ ভাগ নেতাদের ছাত্রত্ব নেই।
কিন্তু তারাই আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করছে। সাধারণ ছাত্রদের মতামত এখানে প্রাধান্য পায় না। কিন্তু তাই বলে পুরো প্রতিষ্ঠানকে দোস দেয়া যায় না।
অনেকেই শিক্ষকদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় দেয়ার কথা বলবেন। আপনি প্রভাষক হয়ে বেতন পাবেন ১৩ হাজার ৯০ টাকা আর প্রথম শ্রেণী থাকার জন্য ৫০০ টাকা বেশি।
আমার পরিচিত একজন ওরিয়ন গ্রুপের মালিক ওবায়দুল করিমের গাড়ি চালাতেন। তিনিই ১৮ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। আপনি যদি বেতন না বাড়ান,তাহলে বেচে থাকার কারণে তারা বাইরে পড়াবেন,এটাই স্বাভাবিক।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অনেকে ঢাবির তুলনা করেন। কিন্ত তারা কি কখনো এ খোজ নিয়েছেন যে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কজন বিসিএস দিয়ে টিকেছেন।
আর বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাগু প্রতিবাদ করেনি,বুটের লাথি
খায়নি। প্রতিবাদ করেছে ঢাবির মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আমাদের সমাজের সব জায়গায় অস্থিরতা বিরাজ করছে,ঘূণে ধরেছে । ঢাবিও সমাজেরই অংশ। তাই ঢাবির সমালোচনার আগে আমাদের এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।