আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তামিম হাসলেও হাসেনি লুসিয়া

দেখতে দেখতে ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে তামিম ইকবালের সেন্ট লুসিয়া জুকস। আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেয়েছিলেন তামিমরা। গতকাল চতুর্থ ম্যাচে আবারও হারের তিক্ত স্বাদ পেল তামিমের দল। ৩৩ রানে হেরেছে অ্যান্টিগা হঙ্বিলসের কাছে। আসরে হঙ্বিলসের এটা প্রথম জয়।

দল হারলেও উজ্জ্বল ছিলেন তামিম। হেসেছে তার ব্যাট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন এই বাঁ হাতি ওপেনার।

সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করতে নামে জুকস। ড্যারেন স্যামি, প্রোটিয়াস বোলার আলভি মরকেল, দুই স্পিনার গেরে মাথুরিন ও শেন শিলিংফোর্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান করে অ্যান্টিগা হঙ্বিলস।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওপেনার জনসন চার্লস। ৩০ বলের ইনিংসটিতে কোনো ছক্কা ছিল না। ছিল ৫টি বাউন্ডারি। এছাড়া কিয়েরন পাওয়েল ২৭ রান করেন মাত্র ১৬ বলে ৬ চারে। শেষ দিকে ডেভন থমাস মাত্র ১৮ বলে ২ ছয় ও ৩ চারে ৩২ রানের আক্রমণাত্দক ইনিংস খেললে হঙ্ভিলসের ইনিংস পেঁৗছায় ১৬৬ রানে।

অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংও রান করেছেন। ২০ রান করেছেন ২৪ বলে ২ চারে। জুকসের পক্ষে আলভি মরকেল ২ উইকেট নেন ২৭ রানে।

১৬৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জুকসের দুই ওপেনার তামিম ও আন্দ্রে ফ্লেচার ২৯ রানের ভিত দেন ২.৪ ওভারে। ফ্লেচার ২০ রান করেন ২৮৫.৭১ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৭ বলে।

যাতে ছিল ২টি চার ও সমান সংখ্যক ছয়। ফ্লেচারের বিদায়ের পর দ্রুতলয়ে উইকেট হারাতে থাকে জুকস। এরমধ্যে দলীয় ৬৯ রানে সাজঘরে ফিরেন তামিম। ব্যক্তিগত ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন ৩৯ বলে ২ চারে। আগের ম্যাচে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের পক্ষে ৬ রান করেছিলেন।

প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টের বিপক্ষে ২২ রান করেছিলেন তামিম। হারের জন্য মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই দায়ী। কেউই রান করতে পারেননি। আগের ম্যাচের নায়ক মিসবাহ-উল-হক ব্যর্থ হয়েছেন। গতকাল রান করেছেন মাত্র ৮।

১০ বলের ইনিংসটিতে ছিল না কোনো চার কিংবা ছক্কার মার। অথচ আগের ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৯৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে যখন দলের হার একেবারেই নিশ্চিত হয়ে যায়, তখন ২৫ রানের আক্রমণাত্দক ইনিংস খেলেন সেবাস্টিয়ান মাত্র ১৮ বলে। অবশ্য অ্যান্টিগার প্রথম জয়ের নায়ক ছিলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার মারলন স্যামুয়েলস। ব্যাটিংয়ে ১২ রান করলেও বোলিংয়ে ধারণ করেন রুদ্রমুর্তি।

৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে নেন ৩ উইকেট। এই পারফরম্যান্সই তাকে ম্যাচ সেরা করে।

আজ তামিমের দল সেন্ট লুসিয়া আবারও মুখোমুখি হবে সাকিবের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টের বিপক্ষে। দুই দলের ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছিল সিপিএল। ওই ম্যাচে তামিমরা হেরেছিলেন ১৭ রানে।

 

অ্যান্টিগা হঙ্বিলস : ১৬৬/৬, ২০ ওভার ( জনসন চার্লস ৩৬, কিয়েরন পাওয়েল ২৭, রিকি পন্টিং ২০, মারলন স্যামুয়েলস ১২, ডেভন থমাস ৩২, জাস্টিন কেম্প ১৩*, অতি. ১৩। ড্যারেন স্যামি ১/২৯, অ্যালভি মরকেল ২/২০, গ্যারে মাথুরিন ১/৩১, শেন শিলিংফোর্ড ১/২১)।

সেন্ট লুসিয়া জুকস : ১৩৩/৮, ২০ ওভার ( তামিম ইকবাল ৩৩, আন্দ্রে ফ্লেচার ২০, হার্শেল গিবস ৫, মিসবাহ-উল-হক ৮, ডেভন স্মিথ ১২, সেবাস্টিয়ান ২৫*। কেমার রোচ ১/৪০, শেল্ডন কোট্টেরেল ১/১৭, টংগে ১/১৬, মারলন স্যামুয়েলস ৩/১০, রাহকিম কর্নওয়েল ১/১৩, ডেভন থমাস ১/৩৬)।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।