আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমুসলিমদের জন্য রচিত কোরানে ২৪৫টি মতান্তরে ৭টি মতান্তরে ০ টি ভালো আয়াতের বিপরীতে অমুসলিমদের প্রতি ঘৃনা ছড়ানো ৫২৭টিআয়াতের জীবন্ত নিদর্শন!

ধুমপানে বিষপান
কোরানে বিজ্ঞান খোজার গোবেষনার পাশাপাশি অন্য গোবেষনাও চলে! আসুন নতুন ধরনের এই গোবেষনার ফলাফলটাও একটু চোখ বুলাই। জানতে তো কোন দোষ নাই, নাকি বলেন। এক কোরান-গবেষক হিসেব করে দেখেছেন, অমুসলিমদের উদ্দেশে রচিত ভালো আয়াতের সংখ্যা কোরানে ২৪৫টি। অর্থাৎ কোরানের ২.৬ শতাংশ জুড়ে। নেহাত কম নয়, কী বলেন? কিন্তু কথা আছে।

২৪৫টি ভালো আয়াতের মধ্যে মাত্র ৭টি বাদে প্রতিটির বিপরীতার্থক অথাৎ অমুসলিমদের প্রতি অসহিষ্ণু বক্তব্যের আয়াত আছে সেই একই সুরায়। এর অর্থ, প্লাস-মাইনাসে কাটাকুটি হবার পরেও ৭টি ভালো আয়াত থেকে যাচ্ছে? না, তা নয়। সেগুলো নিউট্রালাইজ করতেও কাউন্টার-আয়াত আছে কোরানেই। পরবর্তীতে। সারাংশ যা দাড়াইল তা হইল, অমুসলিমদের জন্য কোরানে যতগুলো ভাল আয়াত আছে তার প্রত্যেকটি বাতিল হইয়া আসলে তাদের জন্য ভাল কিছুই থাকে না, Not one verse. এই ২৪৫টি মতান্তরে ৭টি মতান্তরে ০ টি ভালো আয়াতের বিপক্ষে অমুসলিমদের প্রতি অসহিষ্ণু ভাবধারার আয়াতের সংখ্যা কোরানে সাকুল্যে ৫২৭টি! আসুন এইবার দেখি আর জানি যে এই শত শত আয়াতে অবিশ্বাষীদের প্রতি আল্লাহপাকের ঘৃনা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আর অবজ্ঞার নমুনা!! এতে অনেকটা কোরানও পড়া হবে, সওয়াবও কামাই হবে আর আল্লাহপাকের নৈকট্য হাসিলও হবে............... ১।

নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। ২:৬-৭ ২। তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন। ২:১০ ৩। তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। ২:১৮ ৪।

আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য। ২:২৪ ৫। যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করেছে, তা খুবই মন্দ; যেহেতু তারা আল্লাহ যা নযিল করেছেন, তা অস্বীকার করেছে এই হঠকারিতার দরুন যে, আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ নাযিল করেন। অতএব, তারা ক্রোধের উপর ক্রোধ অর্জন করেছে।

আর কাফেরদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। ২:৯০ ৬। আর তাদের উপর আরোপ করা হল লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল। এমন হলো এ জন্য যে, তারা আল্লাহর বিধি বিধান মানতো না এবং নবীগনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত।

তার কারণ, তারা ছিল নাফরমান সীমালংঘকারী। ২:৬১ ৭। তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও। ২:৬৫ ৮।

তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। ২:৮৫ ৯। এবং তাদের কুফরের কারণে আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। ফলে তারা অল্পই ঈমান আনে।

২:৮৮ ১০। অতএব, অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। ২:৮৯ ১১। আপনি তাদেরকে জীবনের প্রতি সবার চাইতে, এমনকি মুশরিকদের চাইতেও অধিক লোভী দেখবেন। তাদের প্রত্যেকে কামনা করে, যেন হাজার বছর আয়ু পায়।

অথচ এরূপ আয়ু প্রাপ্তি তাদেরকে শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না। ২:৯৬ ১২। যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ নিজেই সেসব কাফেরের শত্রু। ২:৯৮ ১৩। আর নিশ্চই আমরা তোমার কাছে নাজিল করেছি সুস্পস্ট আয়াত সমূহ।

আর কেউ এতে অবিশ্বাষ করে না দুর্বৃত্তরা ছাড়া। ১৪। হে মুমিন গণ, তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বল এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। ২:১০৪ ১৫।

ইতিপূর্বে মূসা (আঃ) যেমন জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, (মুসলমানগন, ) তোমরাও কি তোমাদের রসূলকে তেমনি প্রশ্ন করতে চাও? যে কেউ ঈমানের পরিবর্তে কুফর গ্রহন করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। ২:১০৮ ১৬। পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে।

২:২১২ ১৭। যে ব্যাক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় যালেম আর কে? এদের পক্ষে মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। ২: ১১৪ ১৮। নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি।

আর আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে না ভয়ংকর আগুনের বাসিন্দাদের সম্পর্কে। ২:১১৯ ১৯। আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।

২:১২১ ২০। যারা অবিশ্বাস করে, আমি তাদেরও কিছুদিন ফায়দা ভোগ করার সুযোগ দেব, অতঃপর তাদেরকে বলপ্রয়োগে দোযখের আযাবে ঠেলে দেবো; সেটা নিকৃষ্ট বাসস্থান। ২:১২৬ চলতে থাকবে ৫২৭টা পর্যন্ত! জানি অনেকেই বলবেন, অপরাধীদের জন্য ঘৃনা আর লান্চনা গন্জনা তো থাকবেই!! ভাইরে আল্লাহপাকই যদি এইহারে ঘৃনার বানী ছড়ায়, তাইলে তার পেয়ারের জিহাদী বান্দারা যদি দুইচারটা কাফের মাইরা হুর পাইবার চায় সেইটাওতো দোষের কিছু না! হায় পরওয়ারদেগার তুমি সবাইরে বোঝার তৌফিক দান কর, ধর্মের বড়ি খাইয়া অন্ধ হইয়া এই সমাজ সংসারটারে যারা জাহান্নাম বানায়া ফালায়, তাদেরকে হেদায়েত দাও হে মাবুদ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.