আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৬ই ডিসেম্বরের ভাবনা

কি বলব

বাংলাদেশে কয়েকটি দিবস আছে যখন এ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিকর্মী নামে পরিচিত লোকদের ভাঁড়ামি ও নেকামি গা ঘিন ঘিন করা মাত্রায় দেখা যায়। ১৬ই ডিসেম্বর এমনই একটি দিন। ওই দিন ঢাকায় পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল নিয়াজী ভারতের পূর্বাঞ্চল কমান্ডের অধিনায়ক জগজিত্ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ওই আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এই অঞ্চলে পাকিস্তান রাষ্ট্র উচ্ছেদ হয়ে এখানে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জেনারেল নিয়াজীর আত্মসমর্পণের ঘটনা যেভাবে ঘটে, তার মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধের একটা দিক খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

বলা হয়ে থাকে যে, নিয়াজী ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। এ এক মহা মিথ্যা। ওই অনুষ্ঠানের সময় বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক কর্নেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। ডেপুটি অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খোন্দকার উপস্থিত থাকলেও তার কোনো ভূমিকা এ ক্ষেত্রে ছিল না। তিনি পেছনে দাঁড়িয়ে অবলোকনকারী হিসেবে অন্য অনেকের মতো এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন মাত্র।

যুদ্ধ এবং যুদ্ধের হারজিত যাদের মধ্যে হয়, যুদ্ধ শেষে সন্ধি বা শান্তিচুক্তি বা আত্মসমর্পণ চুক্তি তাদের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়। অন্যভাবে বলা যায়, যেভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তার থেকেই বোঝা যায় প্রকৃত যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল। ১৬ই ডিসেম্বর যে চুক্তি তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার থেকেও বোঝার অসুবিধা নেই চূড়ান্ত যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল, কাদের কাছে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল সেই যুদ্ধের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবেই বাংলাদেশ ১৬ই ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে। এর অর্থ এই নয় যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কোনো অবদান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছিল না।

এর অর্থ এই নয় যে, ওই যুদ্ধে আমাদের দেশের হাজার হাজার দেশপ্রেমিক সক্রিয়ভাবে যোগদান করে ও নিয়ম মেনে বীরত্বের সঙ্গে নিজেদের জীবন দেননি। এর অর্থ এই নয় যে, এই যুদ্ধে সরাসরি যোগদান না করলেও যুদ্ধে যারা নেপথ্য কর্মী হিসেবে কাজ করেছিলেন তাদের সংখ্যা ও ত্যাগ কম ছিল। ওই যুদ্ধে লাখ লাখ নিরীহ মানুষ যে পাকিস্তানের ফ্যাসিস্ট সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিলেন এবং অসংখ্য অন্যেরা যে ধর্ষিত, পঙ্গু ও জীবিকাবিহীন হয়েছিলেন—এ সত্য সবারই জানা। অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সত্যও সবার জানা। এই যুদ্ধে তিরিশ লাখ মানুষ এবং হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিহত হলেও আওয়ামী লীগ বা তার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো দলের কোনো একজন নেতাও নিহত হননি।

তারা কেউ যুদ্ধ করেননি। কঠিন সত্য হচ্ছে এই যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত যুদ্ধ মূলত ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এখানকার প্রধান রাজনৈতিক দল যেভাবে ওই যুদ্ধে ‘নেতৃত্ব’ প্রদান করেছিল, তাতে তাদের নিজেদের কোনো প্রকৃত নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা ছিল না। প্রকৃত যুদ্ধ হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনী কাজ করেছিল ওই যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে। এটাই ছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক কঠিন বাস্তবতা।

আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ২৫-২৬ মার্চ বাড়িতে বসে থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তার আত্মসমর্পণের ধরন থেকে বোঝা যায় যে, স্বাধীনতা সম্পর্কে অনেক বীরত্বপূর্ণ কথাবার্তা বললেও তার ও তার দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ওই সময় ভেঙে পড়েছিল (ঈড়ষষধঢ়ংবফ)। শেখ মুজিবের সঙ্গে এ সময় ইয়াহিয়া খান ও ঢাকায় উপস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ডের মধ্যে কোন ধরনের কথাবার্তা হয়েছিল, সেই বিষয়ের মধ্যে না গিয়েও বলা চলে যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার সম্ভাবনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের কোনো পূর্ব ধারণা ছিল না। কাজেই সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কোনো রাজনৈতিক লাইন বা পরিকল্পনা তাদের ছিল না। এটা যে ছিল না এর অনেক প্রমাণ আছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ নামে একটি গ্রন্থে উল্লিখিত সাক্ষাত্কারের সময় এয়ার ভাইস মার্শাল একে খোন্দকার, মুয়ীদুল হাসান ও বিমান বাহিনীর অফিসার এমআর মীর্জা স্পষ্টভাবেই বলেছেন যে, স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো ব্যাপার ২৫-২৬ তারিখে ছিল না। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধের কোনো পরিকল্পনাই ছিল না আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের। সেই অবস্থায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আক্রমণের মুখে আওয়ামী লীগের মতো এত বড় জনসমর্থনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের অবস্থা হয়েছিল ছত্রভঙ্গ। রাজনৈতিক ও সামরিক পরিকল্পনাবিহীন দলটির নেতৃত্বের সামনে তখন করণীয় কিছু ছিল না। তাদের সর্বোচ্চ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পতাকা তুলে ধরে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়ার পরিবর্তে আত্মসমর্পণ করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতা-কর্মীরা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আক্রমণের মুখে জনগণকে অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে নিজেরা সাঙ্গপাঙ্গসহ প্রাণরক্ষার জন্য ভারতে পলায়ন করেছিলেন।

বলা চলে, এ সময়ে ওই পলাতক ‘মুক্তিযোদ্ধা’ দলটির সমগ্র অংশই দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। এর পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী খুব পরিচিত, যদিও ওই পরিচিত সত্যকে আড়াল করার জন্য আওয়ামী লীগ মহল থেকে হাজারো মিথ্যার জন্ম দেয়া হয়েছে এবং ওই মিথ্যাই ঢাকঢোল পিটিয়ে অনেক উত্সব ও আড়ম্বরের মধ্যে ১৬ই ডিসেম্বর প্রতি বছর প্রচারিত হয়। এ বছরও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। ভারতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কাজ দাঁড়িয়েছিল ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ধরনা দেয়া। যুদ্ধের কোনো অবস্থাই তখন ছিল না।

কারণ নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশের মাটিতে যুদ্ধের জন্য সে দেশের অনুমতি ও সাহায্য অবশ্যই প্রয়োজন হয়। কাজেই আওয়ামী লীগের অবস্থা এমনই ছিল যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের কোলে চড়ে যাওয়া ছাড়া তাদের আর করার কিছুই ছিল না। সে কাজই তারা করেছিল। ভারতের কাছে তদবিরই ছিল তাদের মূল প্রাথমিক কাজ। কিন্তু সেই সঙ্গে তারা ইউরোপ আমেরিকায় গিয়ে সেখানকার সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলোর কাছে ধরনা দিতেও কালক্ষয় করেনি।

ওই ধর্ণার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। যারা এ কাজে নিযুক্ত হয়েছিল তারা যুদ্ধের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত না হলেও পরিচিত হয়েছিল বিরাট মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে! তাদের মধ্যে ছিলেন আমলা এবং আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। কিছুসংখ্যক লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী ভারতে গিয়ে লেখালেখি করে, প্রচার কাজে অংশগ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের পরিচয় জাহির করে, নানাভাবে উপকৃত ও পুরস্কৃত হয়েছিলেন। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত স্বাধীনতার রণাঙ্গন প্রায় ফাঁকাই ছিল। কিছু দেশপ্রেমিক তরুণ ও যুবকরা নিজেদের উদ্যোগে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিযুক্ত হলেও সংগঠিত যুদ্ধ যাকে বলে, সেটা মোটামুটি দানা বাঁধতে সময় লেগেছিল।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর তদারকিতে ও তাদের দ্বারা সরবরাহকৃত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধারা অনেকে সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করে গেলেও ভারত পুরো যুদ্ধটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। মুক্তি যোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহও প্রয়োজনের তুলনায় ছিল সামান্য। সামরিক বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল একে খোন্দকার ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ গ্রন্থটিতে লিপিবদ্ধ তার বিস্তারিত সাক্ষাত্কার এবং ৭ম সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল কাজী নূরুজ্জামান অ ঝবপঃড়ত্ ঈড়সসধহফবত্ জবসবসনবত্ং ইধহমষধফবংয খরনবত্ধঃরড়হ ডধত্ ১৯৭১—এ তাদের বক্তব্যে খুব পরিষ্কারভাবে এসব বিষয়ে বলেছেন। অন্য অনেকের বক্তব্যও এ রকমই। কর্নেল তাহেরের সঙ্গে এসব নিয়ে আমার বাসায় অনেকবার আলাপ হয়েছিল।

তার বক্তব্যও ছিল একই প্রকার। এখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অথবা তার ওপর বিস্তারিত বিশ্লেষণমূলক কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। তবে এখানে যা গুরুত্বের সঙ্গে বলা দরকার তা হলো, নিজেদের দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা এবং সে যুদ্ধে অন্য বন্ধু দেশের সাহায্য-সহযোগিতা নেয়া এক জিনিস এবং নিজের দেশ ছেড়ে পলায়ন করে অন্য দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে অন্য দেশের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল থেকে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা একেবারে অন্য জিনিস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র শক্তি ও স্বাধীনতার স্রষ্টা হিসেবে দাবিদার আওয়ামী লীগ এই কর্মই করেছিল। এর জন্য তাদের কোনো লজ্জা অথবা আত্মসমালোচনা নেই।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু তার বহু আগেই মার্চ-এপ্রিল মাসে আওয়ামী লীগ ভারতে গিয়ে ভারতীয় সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। যেভাবে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর অধিনায়ক ভারতীয় বাহিনীর অধিনায়কের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সেটা ভারত সরকারের কাছে আওয়ামী লীগের আত্মসমর্পণের জের ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। আসল যুদ্ধকারী এবং সেই যুদ্ধকারীর অনুগত সহায়ক শক্তির মধ্যে যে পার্থক্য, সেই পার্থক্যই ১৬ই ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণ ঘটনার মধ্যে দেখা গিয়েছিল। ভারত পাকিস্তানকে যুদ্ধে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল।

এভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যেভাবে নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা সংহত ও জোরদার করার চেষ্টা করেছিল, তার মধ্যে তাদের শ্রেণী চরিত্রেরই পরিপূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেভাবে জনগণের মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলেছিল, দেশের জনগণের সর্বনাশ সাধন করে যেভাবে একটি লুণ্ঠনজীবী (ঢ়ত্বফধঃড়ত্) শাসক শ্রেণীর ভিত্তি স্থাপন করেছিল, তার পরিণামই আমরা তাদের প্রথম সাড়ে তিন বছরের শাসন এবং পরবর্তীকালে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সামরিক শাসন এবং নব্বই-পরবর্তী নির্বাচিত বিএনপি-আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনের মধ্যে দেখে আসছি। এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা বাংলাদেশে ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে হয় না। হওয়ার উপায় নেই। কারণ বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস থেকে নিয়ে সবকিছুই মিথ্যার ওপর ভাসিয়ে রেখে শাসক শ্রেণী এ দেশ শাসন করছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।